Homeএখন খবরবিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ, অধ্যাপককে ক্যাম্পাসে ঢুকতে নিষেধ

বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ, অধ্যাপককে ক্যাম্পাসে ঢুকতে নিষেধ

                     
নিজস্ব সংবাদদতা:ছাত্রীর সাথে অশালীন আচরণের অভিযোগ এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। অভিযোগ, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রো বাইয়োলজি বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযোগকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রো বায়োলজি  বিভাগের এমএসসি ফার্স্ট সেমিস্টারের ছাত্রী।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
জানা গিয়েছে, ঐ বিভাগের এক শিক্ষক প্রজেক্ট করানোর নামে তাঁর অফিস রুমে ডেকে নানা রকম অশালীন আচরণ করেছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগও জানানো হয়েছে। অভিযোগ জানানোর পর ছাত্রীকে নানা ভাবে হুমকি, শাসানি দেওয়া হচ্ছে বলেও দাবি করেন প্রতিবাদী ছাত্রী। ঘটনায় আতঙ্কিত ছাত্রীর পরিবার।  ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ব বিদ্যালয় সূত্রে খবর, অনির্দিষ্ট কালের জন্য অভিযুক্ত শিক্ষককে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
ছাত্রীর অভিযোগ, ‘বিভাগের এক শিক্ষকের অধীনে একটি প্রজেক্ট করতে হয়। ওই শিক্ষক তাঁর রুমে ডেকে নানা রকম অশালীন আচরণ করেন। বাধা দিলে ফেল করিয়ে দেওয়া, ইত্যাদি হুমকিও দেওয়া হয়। ছাত্রীটি বলেন, প্রথম ঘটনা গত ২৫শে অক্টোবর। প্রোজেক্ট করার জন্য স্যার তাঁর রুমে ডাকেন। সেখানে আমাকে দরজা বন্ধ করতে বলেন। ওইদিন আমাকে পাশের চেয়ারে বসিয়ে প্রথমে আমার মাথায় হাত দেয়। পরে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় টাচ করে।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
প্রথমে আমি বুঝতে পারিনি, উনি গুড টাচ করছেন, না ব্যাড টাচ করছেন? তখন কিছু বলিনি। পরে গত ৫ নভেম্বর আবার রুমে ডাকেন। প্রোজেক্টের সমস্ত কিছু নিয়ে স্যারের অফিস রুমে গেলে, দরজার ছিটকিনি লাগাতে বলেন। আমি তা লাগায়নি। আমার বসার চেয়ারে বসলে উনি এসে আমার মাথায়, ঘাড়ে এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় হাত দেয়। বাঁধা দেওইয়ার চেষ্টা করলে উনি আমাকে রামায়ন, মহাভারত, উপনিষদের নানা বাণী শোনান। আমার দু’গালে হাত বুলিয়ে মুখ আমার খুখের কাছে নিয়ে আসলে আমি হাত ছাড়িয়ে বেরিয়ে চলে আসি। বাড়ি গিয়ে মা-বাবাকে পুরো ঘটনা জানাই।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বাবা বলেন, লেখাপড়া ছেড়ে দাও ইত্যাদি। ওইদিন এক সহপাঠী বান্ধবীর সাথে ঘটনার কথা শেয়ার করি। পরদিন থেকে স্যার ক্লাসে নানা ধরনের কথা আমাকে ইঙ্গিত করে বলতে থাকেন।  ছাত্রীটি বলেন, ঘটনার কথা আমার সিনিইয়ার দিদিদেরকে জানালে, স্যারের বিরুদ্ধে নানা কথা জানতে পারি। সকলের পরামর্শে বিভাগের এক ম্যাডামকে, বিভাগের প্রধানকে, ছাত্রসংসদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সেক্সচুয়্যাল হ্যারেসমেন্ট সেল সহ বিভিন্ন বিভাগে লিখিত অভিযোগ জানায়। এরপর আমাকে নানা ভাবে হুমকি দেয়। খুব আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আধিকারিক জানান, ‘ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত যতদিন চলবে ততদিন ওই শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেতে নিষেধ করা হয়েছে’।

RELATED ARTICLES

Most Popular