Homeএখন খবরখড়গপুরের পর মেদিনীপুর, ভর দুপুরে একই কায়দায় বন্দুক ঠেকিয়ে ব্যাঙ্ক কর্মীর টাকা...

খড়গপুরের পর মেদিনীপুর, ভর দুপুরে একই কায়দায় বন্দুক ঠেকিয়ে ব্যাঙ্ক কর্মীর টাকা লুট

কি হয়েছিল? বলছেন ব্যাঙ্ক কর্মী 

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ কয়েক মাস আগে খড়গপুর শহরের গা ঘেঁষে মিরপুর এলাকায় যে কায়দায় ব্যাঙ্ক কর্মীর টাকা লুট করা হয়েছিল ঠিক একই কায়দায় বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্ককর্মীর টাকা লুট করল দুষ্কৃতিরা এমনটাই আভিযোগ এবার মেদিনীপুর শহরেও। দিনে দুপুরে লক্ষাধিক টাকা ছিনতাইয়ের এই  ঘটনাটি ঘটেছে মেদিনীপুর শহরের কবরডাঙ্গা দাসপাড়া এলাকায়।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
আক্রান্ত ব্যাঙ্ক কর্মী জানিয়েছেন, জান গিয়েছে, গ্রাহকদের লোন নেওয়া টাকা আদায় করে ফেরার পথে পথ আটকায় তিন দুষ্কৃতি। কপালে আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে সমস্ত টাকা দিয়ে দিতে বলে। ভয়ে ব্যাগ ও পকেটের সব টাকা দিয়ে দেয় বন্ধন ব্যাঙ্কের কর্মী অভিজিত মিদ্যা।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
অভিজিৎ বলেন , মেদিনীপুর শহর লাগোয়া খয়রুল্লাচক থেকে ফিরছিলেন তিনি। অভিজিৎ বলেন, তখন দুপুর প্রায় সাড়ে বারোটা হবে। তাঁতিগেড়িয়া কবরডাঙার সামনে আসার পর রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা তিনজন আমার বাইকের সামনে এসে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে দেয়। সমস্ত টাকা দিয়ে দিতে বলে। না দিলে গুলি করে দেওয়ার ভয় দেখায়। ভয়ে সমস্ত টাকা বের করে দিয়। একটি পালসার বাইক চেপে তিনজনে পালিয়ে যায়। ‘

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
অভিজিতের দাবি,  তার কাছে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা ছিল। সমস্ত টাকা নিয়ে চলে গেছে। যাওয়ার সময় আমার বাইকের চাবিও তুলে নিয়ে চলে গেছে। তিনি বলেন, কিছুটা দূরে লোকজন থাকলেও কপালে বন্দুক ঠেকিয়ে রাখায় ভয়ে চিৎকার করতে পারিনি’। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানার পুলিশ। এলাকাটি ঘুরে ফিরে দেখার পর তদন্ত শুরু করেছে তারা।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এদিকে প্রকাশ্য দিবালোকে শহরের মধ্যে রাস্তার উপর কপালে আগ্নেইয়াস্ত্র ঠেকিয়ে এমনছিনতায়ের ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে। কয়েকমাস আগে ওই কবরডাঙা এলাকার একটি ঘরে ভাড়া নিয়ে থাকা কয়েকজন দুস্কৃতিকে আগ্নেইয়াত্র সহ গ্রেপ্তার করে ছিল পুলিশ। যদিও স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন,’ এই এলাকায় চুরি, ছিনতাইয়ের  ঘটনা এর আগে কোনদিন ঘটেনি। আমরা অবাক হচ্ছি। ঘটনার কথা শুনে স্বাভাবিক ভয় হচ্ছে। তবি বলেন, আমরা সামনেই ছিলাম। উনি চিৎকার করলেও আমরা লোক গুলোকে ধরার চেষ্টা করতাম। আমরা জানতেই পারলাম না।’

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
উল্লেখ্য ঠিক একই কায়দায় আরেক ব্যাঙ্ক কর্মীর টাকাই লুট হয়েছিল খড়গপুরের মিরপুরে। সেখানেও দুস্কৃতিকারীরা সংখ্যায় তিনজনই ছিল। এর কিছুদিন পরেই কেশিয়াড়িতেও তিনজন বাইক আরোহী এক ব্যক্তির আদায়ের লক্ষাধিক টাকা লুট করেছিল। প্রশ্ন হচ্ছে একই দল কি ঘুরিযে ফিরিয়ে বিভিন্ন জায়গায় এই কাজ করছে? নাকি একটি নির্দিষ্ট দলের বিভিন্ন অংশ একই কায়দা মেনে অপারেশন চালাচ্ছে?  

RELATED ARTICLES

Most Popular