Homeদক্ষিণবঙ্গদক্ষিন ২৪পরগনাঅধীর গড়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে নাজেহাল শাসকদল, বিধানসভার আগে শক্তি বাড়াচ্ছে কংগ্রেস

অধীর গড়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে নাজেহাল শাসকদল, বিধানসভার আগে শক্তি বাড়াচ্ছে কংগ্রেস

নিজস্ব সংবাদদাতা: বিধানসভা নির্বাচনের আগেই নীরবেই গড় সাজিয়ে চলেছেন মুর্শিদাবাদের বেতাজ বাদশা অধীর চৌধুরী। জেলায় শাসকদলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব যখন তীব্র তখন সেই শাসকদল থেকেই নিজের দলে যোগদানের ঢল নামালেন বহরমপুরের সাংসদ। করোনা অবহের মধ্যেই মুর্শিদাবাদে ঘাসফুল শিবির ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিলেন বেশ কিছু কট্টর তৃণমূল কর্মী। বুধবার মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি ব্লকের খয়রামারি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় ৭০ জন তৃণমূল কর্মী কংগ্রেসে নৌকায় পা রাখলেন।

এদিন দলবদল প্রসঙ্গে তারা জানান, মূলত কংগ্রেসের কাজে মুগ্ধ হয়েই তারা এই দলে এসেছেন। দলবদলের সময় এদিন উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাত্তার, অঞ্চল সভাপতি আব্দুসমাদ সহ প্রায় দুইশতাধিক দলীয় কর্মী।

অন্যদিকে এদিনই তৃণমূল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে রঘুনাথগঞ্জের অঞ্চল সভাপতিকে। রঘুনাথগঞ্জ ২নং ব্লক অঞ্চল সভাপতি বাপি ঘোষকে দল থেকে বহিষ্কার করা হল। অভিযোগ, বিজেপির সাথে যোগসাজশ করে দুষ্কৃতি নিয়ে এসে হামলা করেছে দলীয় কার্যালয়ে।
বুধবার সকালে জেলা সভাপতি আবু তাহের খানের উপস্থিতিতে বহিষ্কার করা হয় অঞ্চল সভাপতি বাপি ঘোষকে। মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ ২নম্বর ব্লকের জোতকমল অঞ্চলে অঞ্চল সভাপতিকে বদলি করা নিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামনে আসে। এর জেরে ব্যাপক মারামারি হয়।

ঘটনায় দুই পক্ষের অঞ্চল সভাপতি বাপি ঘোষের সাথে ব্লক সভাপতি সমিরুদ্দিন বিশ্বাসের বচসা থেকে হাতাহাতি শুরু হয়। একাধিক তৃণমূল কর্মীর আহত হন। জোতকমল অঞ্চলে অঞ্চল সভাপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই পরিস্থিতি বেগতিক হয়ে পড়ে। যদিও ঘটনার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। প্রকাশ্যে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। দলীয় কার্যালয়ে চেয়ার টেবিল নিয়ে ব্যাপক মারামারি ও ভাঙচুর হয়। হাসুয়া নিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। এই হামলায় একাধিক তৃণমূল কর্মী রক্তাক্ত অবস্থায় আহত হওয়ার পর চিকিৎসার জন্য জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।

RELATED ARTICLES

Most Popular