Homeরাজ্যদক্ষিণবঙ্গপশ্চিম মেদিনীপুরের বাস কর্মীদের জন্য বরাদ্দ লক্ষ লক্ষ টাকার মাস্ক,গ্লোভস আর স্যানিটাইজার...

পশ্চিম মেদিনীপুরের বাস কর্মীদের জন্য বরাদ্দ লক্ষ লক্ষ টাকার মাস্ক,গ্লোভস আর স্যানিটাইজার উধাও

নিজস্ব সংবাদদাতা: লকডাউনের চাল, আমফানের ত্রানের পর এবার পশ্চিম মেদিনীপুরের জন্য বরাদ্দ বাস কর্মচারীদের জন্য বরাদ্দ মাস্ক, গ্লোভস ও স্যানিটাইজার খেয়ে ফেলার অভিযোগ উঠে এল কতিপয় বাস মালিক সংগঠন গুলির বিরুদ্ধে।। লক্ষ লক্ষ টাকার ওই সামগ্রী কোথায় হাপিস হয়ে গেল সেটাই এখন প্রশ্নের।

উল্লেখ্য লকডাউন শিথিল হওয়ার পর রাজ্যের জনজীবন স্বাভাবিক করার উদ্দেশ্যে নিয়ে রাজ্য পরিবহন দপ্তর নিয়ে সরকারি বাসের পাশাপাশি বেসরকারি বাস চালানোর উদ্যোগ নেন। এ বিষয়ে বাস মালিক সংগঠন গুলির সঙ্গে আলোচনায় বসেন সরকার। কম যাত্রী নিয়ে বাসের লোকসান হওয়ার পাশাপাশি বাস মালিকদের সংগঠন জানায় যে করোনা আতঙ্কের জন্য বাসের চালক ও অন্যান্যরা কাজ করতে রাজি হচ্ছেননা আর তাঁদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা দিয়ে বাস চালানো মালিকদের পক্ষে সম্ভব নয়। এরপরই রাজ্য সরকারের পরিবহন দপ্তর। সিদ্ধান্ত নেয় বাস চালাতে ইচ্ছুক বাস মালিকদের কর্মচারীদের জন্য প্রতিদিন ৩ জোড়া করে গ্লোভস, মাস্ক ও ৫০০এম.এল স্যানিটাইজার বরাদ্দ করবে পরিবহন দপ্তর।

কলকাতা ও জেলার পরিবহন আধিকারিকদের জানিয়ে দেওয়া হয় ইচ্ছুক বাস মালিকদের তালিকা পাঠাতে পাশাপাশি বাস মালিক সংগঠন গুলির কাছ থেকেও তালিকা সংগ্ৰহ করে পরিবহন দপ্তর আর সেই মত সংগঠনগুলির কলকাতা নেতৃত্বের হাতেই গ্লোভস, মাস্ক ও স্যানিটাইজার তুলে দেওয়া হয়। মজার ব্যাপার হল গত ১লা জুন থেকে শুরু হওয়া এই প্রক্রিয়ায় এখনও অবধি কোনও গ্লোভস, মাস্ক, স্যানিটাইজার এসে পৌঁছায়নি জেলায় অথচ লক্ষ লক্ষ টাকা মূল্যের ওই সামগ্রী পরিবহন দপ্তর বাস মালিক সংগঠনকে হস্তান্তরিত করেই চলেছে।

রাজ্যের ইন্ট্রা এন্ড ইন্টার রিজিওন বাস ওনার্স আ্যশোসিয়েশনের সদস্য তথা ঘাটাল বাস মালিকদের সংগঠন প্রভাত পান জানিয়েছেন, “সিদ্ধান্ত এরকম হয়েছে বটে, পরিবহন দপ্তর ওগুলো সরবরাহ করছে বলেও জানি কিন্তু জেলার বাস মালিকরা সরকারের দেওয়া ওই জিনিস চোখেও দেখেননি। নিজেদের গাঁটের কড়ি খসিয়ে মালিক কিংবা কর্মচারীরা নিজেদের প্রান বাঁচাতে বাধ্য হচ্ছেন।”

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিবহন দপ্তরের প্রধান বা আরটিও বিশ্বজিৎ মজুমদার জানিয়েছেন যে রাজ্য পরিবহন দপ্তর জেলাগুলি থেকে এমন তালিকা সংগ্ৰহ করেছে। তা’হলে প্রশ্ন হল লক্ষ লক্ষ টাকার সেই সামগ্রী গেল কোথায়? উত্তর দেননি প্রভাত পান। বলেছেন, সেটা আপনারাই খোঁজ নিয়ে দেখুন। সূত্র মারফৎ জানা গেছে বেশির ভাগটাই বাজারে ফিরে গেছে।

RELATED ARTICLES

Most Popular