Homeএখন খবরটানা ৭ দিনের লকডাউন ঘোষণার পরও মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে লকডাউন বাতিল করলো নদিয়ার...

টানা ৭ দিনের লকডাউন ঘোষণার পরও মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে লকডাউন বাতিল করলো নদিয়ার জেলা প্রশাসন

ওয়েব ডেস্ক : রাজ্যে করোনা সংক্রমণ যেহারে বাড়ছে তাতে সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে রাজ্যের সাপ্তাহিক লকডাউনের পাশাপাশি যেসব এলাকায় সংক্রমণ বেশি সেইসব এলাকাতে পুরসভা ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ৭ দিনের লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে রাজ্য সরকার। সে অনুযায়ী নদিয়ায় ৮ ই আগস্ট থেকে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত টানা ৭ দিন লকডাউনের ঘোষণা করেছিলেন নদিয়ার জেলা প্রশাসক৷ এবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সেই ঘোষণা বাতিল করলেন জেলাশাসক বিভু গোয়েল। তবে তিনি জানিয়েছেন, টানা ৭ দিন লকডাউনের ঘোষণা বাতিল করা হলেও চলতি মাসের ১৩ ও ১৪ তারিখ নদিয়া জেলার নির্দিষ্ট কিছু এলাকা, যেখানে সংক্রমণের মাত্রা তুলনামূলকভাবে বাড়ছে, সেই এলাকাগুলিকে বর্ধিত কন্টেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করে প্রশাসনের তরফে সেখানে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেলাগুলিতে যে হারে মারণ ভাইরাস থাবা বসাচ্ছে তাতে সংক্রমণ রুখতে জেলা প্রশাসক চাইলেই প্রয়োজন মত লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। কিছুদিন আগে এমনটাই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সে অনুযায়ী বুধবারই নদিয়া জেলা প্রশাসনের তরফে জেলার ৮টি পুর এলাকা ও প্রায় ৩০টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ৭ দিনের টানা লকডাউন করার কথা ঘোষণা করা হয়। কিন্তু এর পরের দিনই আচমকা নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “একসঙ্গে ২ দিনের বেশি লকডাউন করবেন না। টানা ৪–৫ দিন লকডাউন থাকলে মানুষের অসুবিধা হয়।” কিন্তু এর আগে কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগণা মতো পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতেও টানা ৭ দিনের লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল। সেক্ষেত্রেও লকডাউন বাতিল করতে দেখা যায়নি। তবে এক্ষেত্রে কেন আচমকা লকডাউন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী? তা নিয়েই ইতিমধ্যে জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে।

যদিও বুধবার থেকে লকডাউনের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী পরপর সাত দিনের ওষুধ, খাবার, সহ যাবতীয় জিনিসপত্র ঘরে তুলতে স্বাভাবিকভাবেই দোকান–বাজারে মানুষের ভিড় জমতে দেখা যায়৷ একই দৃশ্য দেখা গেল কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, শান্তিপুর, চাকদা, কল্যাণীর মতো জনবহুল এলাকায়। সামাজিক বিধিনিষেধের কোনও পরোয়া না করে রীতিমতো ঝাঁপিয়ে পড়ে জিনিসপত্র কিনতে দেখা গেল মানুষজনকে। এই ভিড় দেখার পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে আদৌ কি লকডাউন ঘোষণার প্রয়োজন ছিল জেলাশাসকের?

RELATED ARTICLES

Most Popular