Homeএখন খবরকরোনায় মৃত্যু হল নদিয়ার তেহট্ট বিধানসভার প্রবীণ বিধায়কের! কমিশনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা...

করোনায় মৃত্যু হল নদিয়ার তেহট্ট বিধানসভার প্রবীণ বিধায়কের! কমিশনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত তৃনমূল প্রার্থীর স্ত্রীর

নিজস্ব সংবাদদাতা: করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হলেন নদিয়া জেলার তেহট্ট বিধানসভার প্রবীণ বিদায়ী বিধায়ক গৌরিশঙ্কর দত্ত। কয়েকদিন আগেই করোনা চিহ্নিত হওয়ায় কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। বুধবার সন্ধ্যায় সেই হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। এমনিতেই গত কয়েকবছর বেশ কয়েকবার অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন আবার ফিরেও এসেছিলেন কিন্তু এবার করোনা তাঁকে ফিরতে দিলনা। এদিকে স্বামীর মৃত্যুর জন্য  কমিশনকে দায়ী করে খুনের মামলা দায়ের করলেন মৃত তৃণমূল প্রার্থীর স্ত্রী

১৯৯৮ সাল থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গি এই প্রবীণ মানুষটির সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় চলতি বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগেই। ২০১১ সালে তিনি নির্বাচনে পরাজিত হলেও ২০১৬ জয়ী হন তেহট্ট থেকে কিন্তু এবার টিকিট দেওয়া হয়নি তাঁকে। তাঁর জায়গায় আনা হয় পলাশীপাড়ার বিধায়ক তাপস সাহাকে। দীর্ঘদিন জেলার সভাপতির পদ সামলানো গৌরিশঙ্কর সেই অপমান সহ্য করতে পারেননি। যোগ দেন বিজেপিতে। যদিও মূলত বয়সের কারনেই তাঁকে তৃণমূল প্রার্থী করেনি বলে দাবি। যদিও তা মানতে নারাজ ছিলেন তিনি। কার্যত ক্ষোভ নিয়েই সপুত্র দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন গৌরীশঙ্কর দত্ত।

নদিয়ার লোকসভা ভোটে বিপর্যয়ের পর তৃণমূলের জেলা সভাপতির পদ থেকে গৌরীশঙ্কর দত্তকে সরিয়ে দেওয়া হয়। নদিয়াকে দু’টি সাংগঠনিক জেলায় ভাগ করা হয়। সেইসময় রানাঘাটের দায়িত্ব পেয়েছিলেন শঙ্কর সিংহ। কৃষ্ণনগরের দায়িত্ব দেওয়া হয় মহুয়াকে। গত বছর আবার দুই জেলাকে মিলিয়ে সভাপতি করা হয় মহুয়াকে। এই সময় থেকেই পুরোপুরি কমতে থাকে গৌরী দত্তের প্রভাব। বলা যেতে পারে নদিয়ায় গৌরী যুগের অবসান ঘটে। বিজেপিতে যোগ দিয়ে অবশ্য দলের হয়ে ভাল মতই কাজ করে যাচ্ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

চলতি নির্বাচনে একাধিক প্রার্থী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। করোনায় মৃত্যু হয়েছে দুই প্রার্থীর। যার শেষ বলি খড়দার তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহা। বুধবারই এই মৃত্যুর জন্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করেছেন প্রার্থী কাজল সিনহার স্ত্রী। তাঁর দাবি, স্বামীর মৃত্যুর জন্যে দায়ী নির্বাচন কমিশনই। উল্লেখ্য কয়েকদিন আগেই মাদ্রাজ হাইকোর্টের একটি রায়ে করোনার বাড়বাড়ন্তের জন্য কমিশনকেই দায়ী করা হয়েছে। বিচারপতি বলেছেন এরজন্য কমিশনের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা করা যেতে পারে। তারই পরে প্রথম এমনই একটি খুনের মামলা দায়ের হল।

RELATED ARTICLES

Most Popular