Homeএখন খবরনন্দীগ্রামে হাওয়া খারাপ তৃনমূলের, বুঝিয়ে দিলেন মোদি! বললেন, দিদি যেন আবার অন্য...

নন্দীগ্রামে হাওয়া খারাপ তৃনমূলের, বুঝিয়ে দিলেন মোদি! বললেন, দিদি যেন আবার অন্য কেন্দ্র থেকে দাঁড়াবেন না

নিজস্ব সংবাদদাতা: পরিকল্পনা মতই বাংলায় ছিলেন তিনি। দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের দিন তৃতীয় দফার নির্বাচনে প্রচারে ছিলেন দক্ষিণ ২৪পরগনা এবং হাওড়ায়। ওদিকে সুন্দরবনের চার বিধানসভার ভোট যার থেকে সামান্য দুরে জয়নগরে সভা করেছেন নরেন্দ্র মোদি এদিকে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম সহ ৮বিধানসভা কেন্দ্র তার থেকে কিছুটা দুরে উলুবেড়িয়ায় সভা করলেন প্রধানমন্ত্রী। আর সেই সভাতেই জানিয়ে দিয়ে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হারছেন নন্দীগ্রামে। আরও বললেন, নন্দীগ্রামের পথেই হাঁটছে অবশিষ্ট বাংলা।

জয়নগর থেকে প্রধানমন্ত্রী যখন উলুবেড়িয়ার সভায় বক্তব্য রাখতে হাজির হন তখন নন্দীগ্রামের বয়াল-২ য়ের ৭ নম্বর বুথে ২ঘন্টা আটকে থাকার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেরিয়ে গেছেন। একটা বুথে এভাবে প্রার্থী থাকতে পারেনন কিনা বা বুথের মধ্যে থেকে ফোনে কথা বলতে পারেন কী না তাই নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়ে গেছে ততক্ষনে। এখন থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্যপাল ধনকড়কে ফোন করে জানান, ভোটের নামে কী হচ্ছে নন্দীগ্রামে! এখানেই অভিযোগ করেছেন, বিজেপি ছাপ্পা দিচ্ছে, বাইরে থেকে লোক আনিয়েছে, তৃনমূলের লোকজনকে ধমকানো চমকানো হচ্ছে।

আর সেই প্রসঙ্গ তুলেই উলুবেড়িয়ার জনসভা থেকে মোদি সরাসরি দাবি করেন, মমতাদিদি বুঝে গিয়েছেন তিনি হারছেন। তাঁর মুখই এক্সিট পোল। এমনকী তিনি অন্য কোনও আসন থেকে মনোনয়ন জমা দিচ্ছেন কিনা কটাক্ষের সুরে সে প্রশ্নও ছুঁড়ে দেন মোদি। তাঁর দাবি, “শোনাও যাচ্ছে অন্য কোনও আসনে দিদি মনোনয়ন জমা দিতে চলেছেন। তবে যেখানেই যান বাংলার মানুষ তৈরি রয়েছেন। মানুষ আপনাকে সাজা দিয়েই ছাড়বেন।”

নন্দীগ্রামে যে বিজেপি জিতছেই সেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে মোদিকে বলতে শোনা গেল বললেন, ‘‘বাংলা যা চাইছে সেটাই হয়েছে নন্দীগ্রামে। দিদি, প্রথমে ভবানীপুর ছেড়ে নন্দীগ্রামে গিয়েছিলেন। পরে বুঝলেন সেটা ভুল করেছি।’’ তিনি বলেন, ‘‘দিদিকে দেখুন। তা হলেই সব বুঝে যাবেন। দিদিই ওপিনিয়ন পোল, দিদিই এক্সিট পোল। ওঁর চোখ-মুখ, হাব-ভাবেই সব পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে।’’

দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে শুরু থেকেই সারা দিন নন্দীগ্রামের ভোটগ্রহণ নিয়ে একের পর এক অভিযোগ করে গেছে তৃণমূল। সকালেই এক গুচ্ছ বেনিয়মের অভিযোগ জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ান। তৃনমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়ান কয়েকটি বুথের নাম করে জানিয়েছেন যে সেখানে অবাধ ভোটের পরিস্থিতি নেই। যদিও তাঁর কোনও অভিযোগ নেই জানিয়ে নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, তাঁর কোনও অভিযোগ নেই। শান্তিপূর্ণ ও অবাধ ভোট হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

বেলা গড়ানোর সময় অবশ্য তৃনমূল কিছুটা অন্য রকম সুরে ফিরতে শুরু করে। মাত্র ৬০ আসনে ভোট সম্পন্ন হয়েছে এই দফায়। এখনও বাকি ২৩৪ আসন। সেই জায়গায় বারবার দলের তরফে এত অভিযোগ থাকলে বাকি অংশের কর্মীদের মধ্যে হতাশা ছড়িয়ে পড়বে বুঝতে পেরেই হয়ত উল্টো পথে হাঁটা শুরু করে তৃনমূল। মমতা ব্যানার্জী ভিকট্রি দেখিয়ে বলেন, ‘‘নন্দীগ্রামে তৃণমূল ৯০ শতাংশ ভোট পাবে। মা-মাটি-মানুষের আশীর্বাদে আমিই জিতব।’’ অন্যদিকে যে নন্দীগ্রামে তৃনমূল ৬৩টি অভিযোগ জানিয়েছে বলে তৃনমূল দাবি করেছিলেন সেই নন্দীগ্রামের ১০টি বুথ ছাড়া সব বুথেই শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে বলে বিকালের দিকে জানিয়েছেন রাজ্যসভার তৃনমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। রায় বলেন, ১০টি বুথ ছাড়া বাকি নন্দীগ্রামে ভোট হয়েছে শান্তিপূর্ণ ভাবেই। এমনকি, পূর্ব মেদিনীপুরের বাকি কেন্দ্র এবং বাকি তিন জেলাতেও তৃণমূলের পক্ষেই অধিকাংশ ভোট পড়েছে।’

এরপরই মোদির জনসভার প্রত্যুত্তরে তৃনমূলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, আর কোনও জায়গা থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নন্দীগ্রামের মানুষের ভোটে ব্যাপক ব্যবধানেই জয়ী হবেন।

RELATED ARTICLES

Most Popular