Homeএখন খবরআমফানের তালিকা প্রকাশের দাবিতে নারায়নগড়ের আধিকারিকদের গ্রামে আটকে রাখল বাসিন্দারা

আমফানের তালিকা প্রকাশের দাবিতে নারায়নগড়ের আধিকারিকদের গ্রামে আটকে রাখল বাসিন্দারা

নিজস্ব সংবাদদাতা: আমফান ঘূর্ণি ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের অনুসন্ধান করতে গিয়ে গ্রামবাসীদের তীব্র ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে নারায়নগড় ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক দপ্তরের আধিকারিকদের। প্রায় ৪ ঘন্টার ওপর গ্রামে আটকে থাকা আধিকারিকদের মুক্ত করার জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি দল পৌঁছালেও অনেকক্ষন অবধি আধিকারিকদের উদ্ধার করে নারায়নগড়ে ফিরিয়ে আনা যায়নি বলেই খবর পাওয়া গেছে। ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের দাবি তাঁদের দীর্ঘ দিনের দাবি দাওয়া অনুন্নয়ন ইত্যাদি বিষয়ে খোদ বিডিওকেই এসে কথা বলতে হবে নচেৎ তাঁরা ওই আধিকারিকদের ঘটনাস্থল ছেড়ে যেতে দেবেননা। পুলিশ আধিকারিকরা আপ্রান চেষ্টা করছেন গ্রামবাসীদের শান্ত করে আধিকারিকদলটিকে ফিরিয়ে আনার জন্য। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নারায়নগড় থানার কুনারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে।

গ্রামবাসীদের দাবি, আমফানের পরে পরেই প্রাথমিক ভাবে সরকার যাঁদের ক্ষতিপূরণ প্রদান করেছে তাঁরা কেউই প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত ছিলনা। স্থানীয় পঞ্চায়েতকে এড়িয়ে যাঁদের এই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে তাঁরা সম্পন্ন পরিবারের লোকজন এবং শাসকদলের উঁচু তলার ঘনিষ্ট। বিক্ষোভকারীদের দাবি, এলাকার লোধা-শবর, তফসিলি জাতি উপজাতি ভুক্ত গরিব মানুষ সেই ক্ষতিপূরণ পায়নি। শুক্রবার ফের দ্বিতীয় দফার তালিকা তৈরি করার আগে সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আসা আধিকারিক দলটিকে ঘিরে জনতার দাবি আগে প্রথম দফার তালিকা প্রকাশ করতে হবে।

গ্রামবাসীদের আরও দাবি, এলাকার বৃদ্ধ বৃদ্ধা বিধবা ইত্যাদি যাঁদের পেনশন পাওয়ার কথা তাঁরা সেই পেনশন পাননা বিশেষ করে দরিদ্রতর মানুষ। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য চন্দন দাস অভিযোগ করেন, “বয়স্ক, বিধবা ইত্যাদি ভাতার জন্য গরিব আদিবাসী বৃদ্ধ বৃদ্ধা বিধবারা নিজেদের পয়সায় গাড়ি ভাড়া করে গিয়ে বিডিওর কাছে দরবার করেছেন আর ভাতা পাচ্ছেন শক্ত সামর্থ্য পরিবার। আদিবাসী জনজাতির পরিবার ভাতা পাচ্ছেননা অথচ একই পরিবারে ২/৩জন পেনশন পাচ্ছে এই কারনেই আজ ক্ষুব্ধ জনতা ওই আধিকারিক ও কর্মীদলটিকে ঘেরাও করে।”

স্থানীয় মানুষদের আরও দাবি কোনও আজানা কারনে কুনারপুর এলাকায় পঞ্চায়েত সমিতির তরফে কোনও উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছেনা। পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের কোনও টাকাই বরাদ্দ করা হয়নি এই গ্রাম পঞ্চায়েতে। উপস্থিত পুলিশ আধিকারিকরা গ্রামবাসীদের বোঝায় বর্তমান করোনা আবহে এক সঙ্গে এত মানুষের জমায়েত হওয়াটা আইন এবং স্বাস্থ্য বিরোধী কাজ। তাঁরা যেন তাঁদের দাবি দাওয়া যথাযথ পদ্ধতিতে বিডিও কিংবা আরও উচ্চতর অধিকারিককে জানান। প্রায় চার ঘণ্টা টানা পোড়েনের পর আধিকারিকদের মুক্ত করে পুলিশ।

RELATED ARTICLES

Most Popular