Homeএখন খবরবে'হাত' জ্যোতিরাদিত্য, ২২জন বিধায়ক নিয়ে চললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীত্ব নিতে , বড় ঘোড়া...

বে’হাত’ জ্যোতিরাদিত্য, ২২জন বিধায়ক নিয়ে চললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীত্ব নিতে , বড় ঘোড়া কিনে মধ্যপ্রদেশের ক্ষমতার পথে বিজেপি

নিজস্ব সংবাদদাতা: দিল্লির হিংসার পর তাঁর ট্যুইটই বলে দিয়েছিল বিজেপির রথেই সওয়ারি হতে চলেছেন তিনি। ২৬ফেব্রুয়ারি দিল্লি দাঙ্গার তৃতীয় দিনে কেন্দ্র আর রাজ্য সরকারকে হিংসা বাড়তে দেওয়ার জন্য দায়ী করে ট্যুইট করার কয়েকঘন্টা পরেই ফের ট্যুইট করে বলেছিলেন, বিজেপি নেতাদের জন্যই হিংসা নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় সীমায়িত হয়ে গেছে। এবার উচিৎ রাজ্য ও কেন্দ্রের এক সাথে কাজ করা। গোটা দেশ মায় দিল্লি হাইকোর্ট যখন হিংসার পেছনে বিজেপি নেতাদের নাম আর ভিডিও ধরে ধরে হিংসায় উস্কানির দেওয়ার আভিযোগ এনেছিল তখনই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল বাবা নয়, ঠাকুমা আর পিসিদের পথেই পা বাড়াচ্ছেন গোয়ালিয়রের রাজকুমার।

 

আর সেটাই হল অবশেষে বাবা মাধবরাও সিন্ধিয়ার ৭৫তম জন্মবর্ষকেই বেছে নিলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া।

গত কয়েকদিন নাটকীয় পরিস্থিতি চলছিল মধ্যপ্রদেশে। হঠাৎই গায়েব হয়ে যান প্রায় দেড় ডজন কংগ্রেস বিধায়ক। তখনও বোঝা যায়নি এর পেছনে রয়েছে খোদ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াই। যাকে দাবার বোড়ে করেই এগুচ্ছে বিজেপি। বিজেপির চালাকি প্রকাশ্যে আসার পরই শুরু হয়ে যায় মধ্যপ্রদেশ মন্ত্রী সভার বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও বিধায়কদের পদত্যাগ। যা কিনা মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার সময় তা বেড়ে হয়েছে ২২।

এদিকে মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মোদীর সঙ্গে সাক্ষাতের পরেই চার বারের সাংসদ জ্যোতিরাদিত্য কংগ্রেসের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দেন। মঙ্গলবার অথবা শনিবার তিনি বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে মনে করছেন অনেকে। বিজেপি সম্ভবত তাঁকে মধ্যপ্রদেশ থেকে রাজ্যসভা আসনে প্রার্থী করবে। আর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট মন্ত্রী করেও যে তাকে আনা হচ্ছে এও মোটামুটি পাকা হয়ে গেছে।

প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য ইস্তফা দেওয়ার পরেই মধ্যপ্রদেশে তাঁর অনুগামী ১৯ জন বিধায়ক রাজ্যপালের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন। তারপর আরও তিনজন তাঁর অনুগামী কংগ্রেস বিধায়ক ইস্তফা দেন। রাজ্যপাল যদি ইস্তফা গ্রহণ করেন, তাহলে ১৫ মাসের কমলনাথ সরকার সংখ্যালঘু হয়ে পড়বে। এর আগে শোনা গিয়েছিল, জ্যোতিরাদিত্যের সঙ্গে ২৫ জন বিধায়ক ইস্তফা দেবেন। পরে শোনা যায়, ২২জন ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন। এই সংখ্যা শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে এখন সেদিকেই চোখ রাজনৈতিক মহলের।

 

হোলির সকালে জ্যোতিরাদিত্য প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। পরে টুইটারে ইস্তফাপত্র পোস্ট করেন। তাতে তারিখ দেওয়া আছে ৯ মার্চ। চিঠিতে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর উদ্দেশে তিনি লিখেছেন, “আমি এমন পথে যাত্রা করেছি, তা এক বছর আগে থেকেই তৈরি হচ্ছিল।” পরে তিনি লেখেন, “শুরু থেকে আমার উদ্দেশ্য একটাই। তা হল জনগণকে সেবা করে। আমি এই দলে থেকে জনগণ ও দেশের সেবা করতে পারছিলাম না।”

জ্যোতিরাদিত্য এই চিঠি পোস্ট করার কয়েক মিনিটের মধ্যে কংগ্রেস তাঁকে ‘বহিষ্কার’ করে। দলের সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল বলেন, ‘দলবিরোধী’ কাজের অভিযোগে তাঁকে তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে লোকসভার বিরোধী দল নেতা অধীর চৌধুরী জানিয়েছেন, মন্ত্রীত্বের লোভেই কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে গেছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া।

RELATED ARTICLES

Most Popular