Homeএখন খবরনজির বিহীন তৎপরতা কোতোয়ালি পুলিশের, ৬ঘন্টার মধ্যেই মেদিনীপুর শহর থেকে উদ্ধার মেডিক্যাল...

নজির বিহীন তৎপরতা কোতোয়ালি পুলিশের, ৬ঘন্টার মধ্যেই মেদিনীপুর শহর থেকে উদ্ধার মেডিক্যাল কলেজ থেকে চুরি যাওয়া সদ্যজাত

চুরি যাওয়া সদ্যজাতকে নিয়ে আসছে পুলিশ 

নিজস্ব সংবাদদাতা: প্রায় অসাধ্য সাধন করল পশ্চিম মেদিনীপুর পুলিশ, সকাল ১১টায় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে চুরি যাওয়া সদ্যজাতকে সন্ধ্যা ৫টার মধ্যেই উদ্ধার করল শহরের একটি এলাকা থেকে। পুলিশের এই তৎপরতায় খুশিতে ফেটে পড়েছে শিশুর মা বাবা সহ গোটা পরিবার। স্বস্তিতে সাধারন মানুষও।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
উল্লেখ্য রবিবার সকালেই এক পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন ওই মা। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতার চন্দ্রকোনা রোড লাগোয়া দ্বারিগেড়িয়া হাসপাতাল থেকে রেফার করা হয়েছিল ওই থানারই কাঞ্চনগিরি গ্রামের বাসিন্দা সুমিত্রা খামরুইকে। প্রসব যন্ত্রনা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে আজই অর্থাৎ রবিবার সকালে স্বাভাবিক প্রসব হয় তাঁর। ১১টা নাগাদ মা আর শিশুকে রেখে ভাত খাওয়ার জন্য হাসপাতালের বাইরে গেছিলেন প্রসূতির শাশুড়ি। প্রসব জনিত ক্লান্তিতে পলকের জন্য চোখ লেগে গেছিল মায়ের সেই ফাঁকেই শিশুটি চুরি হয়ে যায়।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
ঘটনায় হৈচৈ পড়ে যায় হাসপাতাল চত্বরে। শুরু হয় বিক্ষোভ। মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ছুটে আসে। খতিয়ে দেখা হয় সিসিটিভি ফুটেজ। আর সেখানেই দেখা যায় শাঁখা সিঁদুর বিহীন এক মধ্য বয়সীনী ফর্সা মহিলা এদিক ওদিক তাকাতে  তাকাতে শিশুটিকে নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে হাসপাতালের গেট দিয়ে।
  ফুটেজ দেখার পর কয়েকটি সুত্র ধরে পুলিশ তল্লাশি চালায় মেদিনীপুর শহরের মিঞা বাজার এলাকায় আর সেখান থেকেই উদ্ধার হয় শিশুটি। মহিলাটিকেও আটক করেছে পুলিশ। যদিও তদন্তের স্বার্থে মহিলার নাম পরিচয় এখুনি প্রকাশ করতে রাজি হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে শুধুই মহিলা একাই এই কান্ডে জড়িত নাকি আরও অনেকে আছে তা দেখা দরকার তাই এখুনি মহিলার পরিচয় প্রকাশ করা যাচ্ছেনা।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
পুলিশের এটা কেন মনে হচ্ছে যে আরও কেউ এই কান্ডে জড়িত এই প্রশ্নের উত্তরে এক আধিকারিক জানান, ” সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে মহিলা নিচে নেমে এদিক ওদিক দেখছে এবং একবার ভুল দিকে বেরুনোর চেষ্টা করছে। তার মানে ওই মহিলা হাসপাতালের সমস্ত দিক সম্পর্কে জ্ঞাত নয়। যে মহিলা হাসপাতালের যাতায়তের রাস্তা চেনেনা সে একা একা একটি শিশু চুরি করে নেবে এটা হতে পারেনা। আমাদের মনে হয়েছে এটা একটা চক্র এবং এর ভেতরে আরও এক বা একাধিক ব্যক্তি রয়েছে এবং সম্ভবত তারা হাসপাতালের ভেতরেই রয়েছেন।”
পুলিশি তদন্তের এই পদ্ধতি যাই হোকনা কেন দিনের শেষে জীবনের প্রথম সন্তানকে স্তন্য পান করাতে গিয়ে পুলিশকে বারংবার প্রনাম করছেন সুমিত্রা। 

RELATED ARTICLES

Most Popular