Homeএখন খবরপরিযায়ী শ্রমিকের কাঁধে নতুন বোঝা, পেইড কোয়ারেন্টাইন!বিজেপি শাসিত রাজ্য গুলিরই উৎসাহ বেশি

পরিযায়ী শ্রমিকের কাঁধে নতুন বোঝা, পেইড কোয়ারেন্টাইন!বিজেপি শাসিত রাজ্য গুলিরই উৎসাহ বেশি

নিজস্ব সংবাদদাতা: লকডাউনে কাজ হারিয়েছেন কোটি কোটি পরিযায়ী শ্রমিক। ভারতে সংখ্যাটা নাকি ১২ কোটি। নিজের পায়ে অথবা গাঁটের কড়ি খসিয়ে ঘরে ফিরছেন তাঁরা। ফিরতে গিয়ে পথ দুর্ঘটনায় মারা যাচ্ছেন কেউ কেউ তবুও ঝুঁকি নিয়েই চলছে ঘরে ফেরা। সেই শ্রমিকদের ওপর এবার নতুন বোঝা, পেইড কোয়ারেন্টাইন! অর্থাৎ ঘরে ফিরলে নিজের পয়সা দিয়ে থাকতে হবে কোয়ারেন্টাইনে। নিজের রাজ্যের সরকার কোনও খরচ বহন করবেনা। শোনা যাচ্ছে করোনা সংক্রমন আটকাতেই ঘরে ফেরা শ্রমিকদের রুখতেই এই নয়া কৌশল। এই মুহূর্তে দেশ জুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। কেন্দ্র সরকার স্বীকার করুক অথবা না করুক, এই মুহূর্তে তাদের বড় চিন্তার কারণ এই সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি। সরকারের তরফ থেকে সবরকম চেষ্টা করার পরেও যেভাবে প্রতিদিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, সেটা আদৌ দেশবাসীর জন্য সুখবর নয়। এমত পরিস্থিতি তে ১৮ই মে অর্থাৎ সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে চতুর্থ পর্যায়ের লকডাউন। ফলে ফের রাস্তায় ঢল নামতে চলেছে শ্রমিকদের।
বাস্তবে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য সরকারের কোনও সুনির্দিষ্ট ঘোষনা নেই। মালিক, ঠিকাদার বেতন দিচ্ছেনা। নির্দিষ্ট রাজ্য অর্থাৎ যেখানে তাঁরা কাজ করতেন তারা কোনও দায় নিচ্ছেন না। ঘরে টাকা পাঠাতে পারছেন না। ফলে উৎকন্ঠায় তাঁরা। এই অবস্থায় ঘরে ফেরার সিদ্ধান্ত শ্রমিকদের। মানবিকতার দিক থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরার বিষয়টি মানা ছাড়া উপায় নেই আবার বৃহত্তর স্বার্থে সংক্রমনের সম্ভবনা উড়িয়ে দেওয়া যায়না। এই অবস্থায় তাদের কোয়ারেন্টাইন করার দায়িত্ব রাজ্যেরই নেওয়া উচিৎ আর জাতীয় ইস্যু হওয়ায় কেন্দ্রের উচিৎ ছিল রাজ্যগুলিকে সাহায্য করা। না, মোদির ২০ লাখ কোটির প্যাকেজে সে সব কোনও বন্দোবস্ত নেই।
এই অবস্থাতেই পরিযায়ী শ্রমিকদের আটকাতে ইতিমধ্যেই ‘পেইড কোয়ারেন্টাইন’ এর ব্যবস্থা করেছে বেশ কয়েক টি রাজ্য। আর এসব ব্যাপারে এগিয়ে বিজেপি শাসিত রাজ্য গুলি। পেইড কোয়ারেন্টাইন, অর্থ নিজের খরচায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকতে হবে পরিযায়ী শ্রমিকদের। কর্ণাটক, তেলেঙ্গানা, গুজরাট, গোয়া সহ বেশকিছু রাজ্যের এই সিদ্ধান্তেই দানা বাঁধতে শুরু করেছে ক্ষোভ।
‘পেইড কোয়ারেন্টাইন’ সেন্টারে থাকার সামর্থ্য তাদের নেই বললেই চলে। যদিও কর্ণাটক সরকার মনে করছে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে  থাকার খরচ টানতে সামর্থ্য তাদের রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকরা। আর যারা নিতান্তই অপারগ তাদের কথা আলাদা ভাবে ভাবা হবে।
অন্যদিকে গোয়া সরকার বিদেশ ফেরত নাগরিকদের ‘পেইড কোয়ারেন্টাইনে’ থাকতে বাধ্য করছে । সেক্ষেত্রে মাথাপিছু দৈনন্দিন খরচ ১ থেকে ৩ হাজার টাকা।
তবে শ্রমিক দের দুর্দশার কথা মাথায় রেখেই তাদের কয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকার খরচ পুরোপুরি মুকুব করে দেওয়া হয়েছে বলে সরকারি সূত্রের খবর। তবে আগামী দিনে বাকি রাজ্য গুলি কী সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই দেখার ।

RELATED ARTICLES

Most Popular