Homeআবহাওয়াপয়লা বৈশাখে স্বস্তির খবর, টানা ঝড়বৃষ্টিতে ভাসতে চলেছে খড়গপুর মেদিনীপুর ঝাড়গ্রাম

পয়লা বৈশাখে স্বস্তির খবর, টানা ঝড়বৃষ্টিতে ভাসতে চলেছে খড়গপুর মেদিনীপুর ঝাড়গ্রাম

নিজস্ব সংবাদদাতা: সারা চৈত্র মাস জুড়ে তীব্র গরমের অস্বস্তিকর আবহাওয়া থেকে মুক্তি দিতে বৈশাখের শুরুতেই বাংলায় আসছে ঝেঁপে বৃষ্টি আসার পূর্বাভাস পাঠালো আবহাওয়া দপ্তর। এই পূর্বাভাস অনুযায়ী বৈশাখের প্রথম দিনই কিংবা তার কাছাকাছি সময়েই ব্যাপক ঝড়বৃষ্টি হতে চলেছে গাঙ্গেয় উপকূল সহ সংলগ্ন এলাকায়। সুখের এবং স্বস্তির খবর এই যে এই এলাকার মধ্যে খড়গপুর মেদিনীপুর সহ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা ও ঝাড়গ্রামেরও একটি অংশ রয়েছে।

যদিও কালবৈশাখী নয় এর পেছনে রয়েছে মধ্যপ্রদেশে ঘূর্ণাবর্তের জের। যার ফলে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এই ঘূর্ণাবর্তের জেরেই আগামী কয়েকদিন বাংলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বুধবার থেকেই বাংলার বেশকিছু এলাকায় বিশেষত বাংলার উত্তরদিকে কিছুটা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

সেইসঙ্গে দক্ষিণের কয়েকটি জায়গায় পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব এবং পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়া বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়াও বইতে পারে। বৃহস্পতিবার রাত অথবা শুক্রবার থেকেই বইতে শুরু করবে ঝোড়ো হাওয়া। চৈত্র সংক্রান্তি এবং নববর্ষেই থাকছে বৃষ্টির আভাস। উত্তরবঙ্গের কালিম্পং, কোচবিহার, দার্জিলিং এবং আলিপুরদুয়ারে পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদে রয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাস।

এমনিতেই গত কয়েকদিন ধরেই দিনের বেলায় প্রচন্ড দাবদাহ থাকলেও বিকালের পর থেকে কিছুটা নরম হয়ে উঠছে প্রকৃতি। সন্ধ্যার পর থেকে মৃদুমন্দ হাওয়া কিছুটা হলেও স্বস্তি দিচ্ছে।
বুধবার মেদিনীপুর ও তার আশেপাশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। সকালের দিকে বেশ কিছু এলাকায় মূলত রৌদ্রোজ্জ্বল আকাশ এবং রাতের দিকে আংশিক মেঘলা আকাশ থাকতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সঙ্গে থাকছে শিলাবৃষ্টিরও পূর্বাভাস। সেইসঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে দমকা বাতাসও বইতে পারে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে। ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলে, তা বিক্ষিপ্তভাবেই রয়েছে। যদিও স্বস্তির পাশাপাশি কোথাও কোথাও এটি সমস্যারও কারন হতে পারে কারন বাংলার বিস্তীর্ণ অংশে এই সময় মাঠে পাকা ধান কাটার কাজ চলছে। তাছাড়া রয়েছে বিভিন্ন সবজি ও তরমুজ জাতীয় মরশুমের ফল। রয়েছে আম, জাম, জামরুল ইত্যাদি। ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে তাদের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও থেকে যাচ্ছে।

RELATED ARTICLES

Most Popular