Homeএখন খবরমোবাইলে মগ্ন সিভিক! চার মাসের মধ্যেই ফের দুর্ঘটনা জাতীয় সড়কের খড়গপুর গ্রামীনে,...

মোবাইলে মগ্ন সিভিক! চার মাসের মধ্যেই ফের দুর্ঘটনা জাতীয় সড়কের খড়গপুর গ্রামীনে, মাদপুর ঘাটে পথ অবরোধ জনতার

নিজস্ব সংবাদদাতা: চার মাসও হয়নি, ২০২০, অক্টোবর মাসের ১৮ তারিখে হাওড়া-মুম্বাই ৬নম্বর জাতীয় সড়কে লাশ হয়ে গিয়েছিলেন খড়গপুর গ্রামীন থানার লছমাপুর এলাকার চারজন গ্রামবাসী। সেই ঘটনার চার মাস না পেরুতেই ফের এক দুর্ঘটনার স্বাক্ষী রইল খড়গপুর গ্রামীনের মাদপুর ঘাট সংলগ্ন এলাকার চারজন। ঘটনায় একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলেও ভয়াবহ সর্বনাশের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন ওই চারজনই কিন্তু জনতার ক্রোধ ফেটে পড়েছে রাস্তার পারাপার সামলানোর দায়িত্বে থাকা সিভিক ভলেনটিয়ারদের ওপর।

জনতার অভিযোগ জাতীয় সড়কে পথ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিভিকের দল সারাক্ষন মোবাইলেই ব্যস্ত থাকেন ফলে সাধারণ মানুষ থেকে যানবাহন , সবাইকে নিজের দায়িত্বেই রাস্তা পারাপার করতে হয়। শুক্রবার ঘন্টা খানেকেরও বেশি সময় ধরে জাতীয় সড়ক অবরোধ করা জনতা জানিয়েছে। এদিন রাস্তার দক্ষিণ দিক থেকে যাত্রী বোঝাই একটি মোটর ভ্যান উঠে আসছিল জাতীয় সড়কের ওপরে উঠে আসছিল। ওই সময় একটি দশ চাকার লরি মোটর ভ্যানটিকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়।

ঘটনায় চারজন আহত হয়েছেন যার মধ্যে ১জনের কোমরের অংশে জোরালো চোট রয়েছে বলেই জানা গেছে। স্থানীয়মানুষদের তৎপরতায় আহতদেরকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপরই শুরু হয় জাতীয় সড়ক অবরোধ।
অবরোধকারী জনতার অভিযোগ, জাতীয় সড়কের ওপর দিয়ে যাওয়া গাড়ি গুলির পক্ষে জানা সম্ভব নয় যে কোথায় কোন রাস্তা জাতীয় সড়কে উঠে আসছে। ঠিক তেমনি গ্রামের রাস্তা থেকে জাতীয় সড়কে উঠে আসা মানুষ বা গাড়ির পক্ষে জানা সম্ভব নয় একই পাশের তিনটি লেনে কটা গাড়ি আছে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত মোটরভ্যানটির ক্ষেত্রেই তাই হয়েছিল। একটি গাড়ি চলে যেতে দেখেই মোটরভ্যানটি রাস্তায় উঠে আসে আর তখুনি চলে যাওয়া গাড়ির আড়ালে থাকা একটি ১০চাকার লরি ধাক্কা মারে ভ্যানটির সামনের অংশে। ভ্যানটি ঘুরে গিয়ে উল্টে পড়ে।

বিক্ষোভ রত মানুষের অভিযোগ, সিভিক ভলেনটিয়াররা সতর্ক থাকলে এই ঘটনা ঘটত না এবং পালিয়ে যাওয়া লরিটিকে চিহ্নিত করা সম্ভব হত। এরপরই জনতা দুর্ঘটনার জন্য দায়ী লরিটিকে ধরে আনার দাবিতে পথ অবরোধ শুরু করে।
ঘন্টা খানেক এই অবরোধ চলার পরই দীর্ঘ জ্যাম সৃষ্টি হয়ে যায় জাতীয় সড়কে। দ্বিমুখী ৬টি লেনেই দাঁড়িয়ে পড়ে একের পর এক বাস, ট্রাক, লরি, টেম্পো।

ঘটনার খবর পেয়েই ছুটে আসেন খড়গপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দীপক সরকার। উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে জনতাকে শান্ত করে অবরোধ প্রত্যাহার করান তিনি। জনতার অভিযোগ, চারমাসের আগের দুর্ঘটনায় যে চারজনের মৃত্যু হয়েছিল ঘটনাক্রমে তারমধ্যে একজন ছিলেন এক সিভিকের বাবা। তারপরও হুঁশ ফেরেনি সিভিকদের।

RELATED ARTICLES

Most Popular