Homeএখন খবরকরোনা জয় নাইসেড অধিকর্তার, ক্যাম্পাসে খুশির হাওয়া

করোনা জয় নাইসেড অধিকর্তার, ক্যাম্পাসে খুশির হাওয়া

ওয়েব ডেস্ক: মাত্র ৮ দিনেই করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরলেন নাইসেড অধিকর্তা শান্তা দত্ত। গত ১ লা জুলাই করোনার একাধিক উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন নাইসেড অধিকর্তা। মাঝে তাঁর শারীরিক অবস্থা বেশ খানিকটা আশঙ্কাজনক ছিল বলেই জানা গিয়েছিল। এরপর বুধবার রাতেই হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়েছে তাঁকে। আশঙ্কাজনক অবস্থা কাটিয়ে মাত্র ৮ দিনে করোনাকে হার মানিয়ে রাজ্যবাসীকে আশার আলো দেখালেন শান্তা দত্ত। এই মূহুর্তে তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ। তবে সরকারী নিয়ম অনুযায়ী এখনও ১৪ দিন তাকে হোম আইসোলেশনে থাকতে হবে। গোটা ঘটনায় খুশির হাওয়া বেলেঘাটা আইসিএমআর-নাইসেড ক্যাম্পাসে।

জানা গিয়েছে, জুনের শেষদিক থেকেই জ্বরে ভুগছিলেন শান্তাদেবী। তবে প্রথমদিকে সেভাবে করোনার উপসর্গ লক্ষ্য করা যায়নি৷ কিন্তু দিন কয়েক যেতেই করোনার একাধিক উপসর্গ লক্ষ্য করায় সন্দেহবশত তড়িঘড়ি তাঁর নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এরপর ৩০ জুন তার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। সেই সময় অবশ্য তাঁর সেভাবে কোনোরকম শারীরিক অসুবিধা না হওয়ায় প্রথমে হোম আইসোলেশনেই ছিলেন তিনি।

কিন্তু পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসাপাতালে ভরতি করা হয়। সেখানে নানা পরীক্ষার পর জানা যায় শুধু করোনা নয় পাশাপাশি ফুসফুসে সংক্রমণ ও নিউমোনিয়াতেও ভুগছেন নাইসেড অধিকর্তা। সে অনুযায়ী তার চিকিৎসা শুরু হয়। একসময় তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনকও শোনা যায়।

এরপর চিকিৎসায় সাড়া দিয়ে ধীরে ধীরে শান্তাদেবীর অবস্থার উন্নতি হতে শুরু করে। এরপর মাত্র ৮ দিনের মধ্যেই মারণ ভাইরাসকে হারিয়ে করোনাযুদ্ধে জয়ী হয়ে বুধবার রাতে বাড়ী ফেরেন নাইসেড অধিকর্তা শান্তা দত্ত। তবে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, করোনা তো উপলক্ষ্য মাত্র, এছাড়াও তাঁর অন্যান্য একাধিক সমস্যা থাকার কারণেই তাকে হাসপাতালে ভরতি করতে হয়েছিল। সে যাই হোক তবে শরীরে একাধিক জটিল রোগ থাকা সত্ত্বেও মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই শান্তাদেবীর সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠা নিঃসন্দেহে বাংলার মানুষের মনে আশার আলো জাগালেন।

শান্তা দত্ত একজন বিশ্বশ্রুত জীবাণু বিজ্ঞানী শুধু তাই নয় দেশ জুড়ে কলেরা ইত্যাদি জলবাহিত জীবাণুর বিরুদ্ধে সংগ্রামে সারা দেশজুড়ে বিজ্ঞানীদের যে অংশটি লড়াই করে চলেছেন তার প্রথম সারিতে তিনি। অসংখ্য জুনিয়র গবেষক বিজ্ঞানী তাঁর পরামর্শে কাজ করে চলেছেন। একজন স্পষ্ট বক্তা হিসাবে তিনিই প্রথম প্রশ্ন তোলেন তাঁদের কাছে যথেষ্ট পরিমাণ কিটস থাকা স্বত্ত্বেও কেন রাজ্য পর্যাপ্ত করোনা পরীক্ষা করাচ্ছে না। সেই ঘটনায় হইচই পড়ে যায়। নবান্ন রুষ্ঠ হয় কিন্তু ঘটনা হচ্ছে তারপরই টেস্ট বাড়াতে শুরু করে রাজ্য। বৃহস্পতিবার তার সুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়তে ক্যাম্পাসে ভিড় করেন তরুণগবেষক বিজ্ঞানীর দল। তাঁরা জানান, ম্যাডামের অফিসে ফেরার অপেক্ষায় অধীর হয়ে আছেন তাঁরা।

RELATED ARTICLES

Most Popular