Homeএখন খবরঅক্ষয় ঠাকুরের প্রানভিক্ষার আবেদন খারিজ করলেন রাষ্ট্রপতি, এক সপ্তাহের মধ্যেই একই সাথে...

অক্ষয় ঠাকুরের প্রানভিক্ষার আবেদন খারিজ করলেন রাষ্ট্রপতি, এক সপ্তাহের মধ্যেই একই সাথে চারজনের ফাঁসি

এবার সত্যি কি ফাঁসির মুখে এরা 

নিজস্ব সংবাদদাতা: প্রায় সব রাস্তাই শেষ।  নির্ভয়া কাণ্ডে তিন নম্বর আবেদনকারী  অক্ষয় ঠাকুরের প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। বুধবারই সেই খবর এসে পৌঁছাল তিহার জেলে যেখানে চারজনের ফাঁসির স্থান ঠিক হয়েছে। শনিবার রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আর্জি জানিয়েছিল সে। এই নিয়ে দণ্ডিতদের মধ্যে তিন জনের প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ করলেন রাষ্ট্রপতি। এখন একমাত্র পবন গুপ্তই প্রাণভিক্ষার আর্জি জানাতে পারে তবে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
কারণ আজই দিল্লি হাইকোর্ট এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দিয়েছে তাদের। তার মধ্যেই যাবতীয় আইনি সংস্থানের সুযোগ নিতে হবে। হাইকোর্টের নির্দেশ এক সপ্তাহের মধ্যেই শেষ করতে হবে ফাঁসির কাজ।
আইনের ফাঁক ফোকর গলে ফাঁসি পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু তাদের আর বেশি সময় দেওয়া যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিল আদালত। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে যাবতীয় আইনি সংস্থানের সদ্ব্যবহার করতে হবে দণ্ডিত চারজনকে। বুধবার এমনটাই জানিয়ে দিয়েছে দিল্লির হাইকোর্ট। আদালতের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছে কেন্দ্র এবং দিল্লি সরকার।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সরকারের চেয়েছিলেন যদি আইনের ফাঁকে কেউ আপাতত পার পেয়ে গেছে তো তাকে বাদ দিয়ে বাকিদের ফাঁসি দেওয়া হোক। কিন্তু   বিচারপতি সুরেশ কাইত বলেছেন , ‘‘দিল্লির কারা আইন অনুযায়ী, কোনও মামলায় দণ্ডিত একজনের প্রাণভিক্ষার আর্জি স্থগিত থাকাকালীন বাকিদের ফাঁসি দেওয়া যায় না। সুপ্রিম কোর্ট যেহেতু একটি অভিন্ন রায়ে চার জনের ভাগ্য একই সুতোয় বেঁধে দিয়েছে, তাই আলাদা আলাদা না হয়ে, সকলের মৃত্যু পরোয়ানাও একই সঙ্গে কার্যকর হওয়া উচিত বলে আমার মনে হয়।’’
আদালতের নির্দেশে খুশি নির্ভয়ার মা আশা দেবী । আদালতে বাইরে তিনি বলেন, ‘‘আদালত সময়সীমা বেঁধে দেওয়ায় আমি খুশি হয়েছি। ইচ্ছাকৃত ভাবে ফাঁসি পিছোতে চাইছিল দোষীরা। এ বার এক সপ্তাহের মধ্যে এই সব সেরে ফেলতে হবে ওদের।’’ তবে আদালতে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে বিশেষ আবেদন জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আবেদন জমা পড়েছে দিল্লি সরকারের তরফেও।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
২০১২-র ডিসেম্বর দিল্লির রাস্তায় চলন্ত বাসে ২৩ বছরের তরুণীকে গণধর্ষণ এবং খুনের দায়ে বিনয় শর্মা, পবন গুপ্ত, মুকেশ সিংহ এবং অক্ষয় ঠাকুর সিংহকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। ১ ফেব্রুয়ারি তাদের ফাঁসি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিনয় শর্মা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন জানানোয় তা স্থগিত হয়ে যায়। তবে সেই রাস্তা এবার বন্ধ হয়ে গেল অনেকের অভিমত। অবশ্য দণ্ডিতদের আইনজীবী আবার অন্য কোনও ফাঁক বের করে নাকি সেটাই দেখার। 

RELATED ARTICLES

Most Popular