Homeএখন খবররাজ্যের প্রতিটি পূজো মন্ডপে ঝোলাতে হবে নো-এন্ট্রি বোর্ড! রায় দিল হাইকোর্ট

রাজ্যের প্রতিটি পূজো মন্ডপে ঝোলাতে হবে নো-এন্ট্রি বোর্ড! রায় দিল হাইকোর্ট

ওয়েব ডেস্ক : ‌করোনা পরিস্থিতিতে এ রাজ্যে দুর্গোৎসব পালন করার অনুমতি দেওয়ায় ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের বিরোধীতা করেছে গেরুয়া শিবির। এরই মধ্যে দিনকয়েক আগেই দুর্গাপূজা বন্ধ রাখার দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। সোমবার সেই মামলারই শুনানি ছিল। এদিন দুপুর ২ টো নাগাদ মামলার রায়ে রাজ্যের প্রতিটি পুজোমণ্ডপে ‘‌নো এন্ট্রি’‌ বোর্ড ঝোলানোর নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি, আরও জানানো হয়, করোনা আবহে এবছর প্রতিটি মণ্ডপ কন্টেনমেন্ট জোন করা হবে। সে অনুযায়ী, মণ্ডপগুলির বাইরে ব্যারিকেড দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, একই সাথে ছোট ও বড়ো মণ্ডপ নির্বিশেষে মণ্ডপের বাইরে ‘নো এন্ট্রি’ বোর্ড ঝুলিয়ে দিতে হবে। ছোট মণ্ডপের ক্ষেত্রে ৫ মিটার দূরত্বে ঝোলাতে হবে ‘‌নো এন্ট্রি’‌ বোর্ড আর বড় মণ্ডপের ক্ষেত্রে সেই দূরত্ব হবে ১০ মিটার। অর্থাৎ করোনা পরিস্থিতিতে দর্শনার্থীরা কোনোভাবেই যাতে মণ্ডপের ভেতরে প্রবেশ করতে না পারে সেই ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সুতরাং মণ্ডপসজ্জা কিংবা প্রতিমা দর্শন এবছর সবটুকুই করতে হবে চিহ্নিত ব্যারিকেডের বাইরে থেকে।

শুধু তাই নয়, এদিন একইসাথে দুই বিচারপতি বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এই জনস্বার্থ মামলায় রায় দিয়েছেন। রায় অনুসারে, মণ্ডপের ভেতরে কোনো দর্শনার্থী যেমন ঢুকতে পারবে না, তেমনই পুজো কমিটির সব সদস্যও মণ্ডপের ভিতর প্রবেশ করতে পারবে না। পুজো সংক্রান্ত কাজ কিংবা অন্যান্য কাজকর্ম পালনের ক্ষেত্রে সর্বাধিক ২০ থেকে ২৫ জন থাকতে পারবেন। যারা মণ্ডপের ভিতরে প্রবেশ করবেন, একমাত্র সেই সদস্যরাই প্রতিদিন মণ্ডপের ভিতিরে যেতে পারবেন। পাশাপাশি ওই ২০-২৫ জন সদস্যের নামের তালিকা জমা দিতে হবে পুলিশের কাছে। একই সাথে পুলিশের কাছে একবার নামের তালিকা জমা পড়ার পর আর কারো নাম সংযোজন কিংবা বাতিল করা যাবে না। পাশাপাশি তালিকাভুক্ত সদস্যের নামের তালিকা মণ্ডপের বাইরে টাঙাতে হবে।

তবে এদিন আদালতের এই রায়ে একেবারেই অখুশি ও অসন্তুষ্ট রাজ্য সরকার। জানা গিয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের তরফে মঙ্গলবারই সুপ্রীম কোর্টে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত রায়ের কপি হাতে পায়নি রাজ্য। কপি হাতে পেলেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে রাজ্য। এদিকে চলতি বছর রাজ্য সরকারেএ তরফে এরাজ্যের ৩৪ হাজার পুজো উদ্যোক্তা ক্লাব বা কমিটিকে ৫০ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে রাজ্য সরকারের দেওয়া ওই ৩৪ হাজার ক্লাব কিংবা কমিটিগুলির প্রত্যেকটি পুজো কলকাতা হাইকোর্টের এই নির্দেশের আওতায় পড়ছে। পাশাপাশি এদিন কলকাতা হাইকোর্টের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, হাইকোর্টের এই নির্দেশ মানতে হবে রাজ্যের সমস্ত পুজো কমিটিকে। পাশাপাশি আদালতের এই নির্দেশ সঠিকভাবে পালন করা হয়েছে কিনা তা লক্ষ্মীপুজোর পর হলফনামা দিয়ে আদালতে জানাতে হবে রাজ্য পুলিশের ডিজি–কে।

RELATED ARTICLES

Most Popular