Homeএখন খবর১০ বছরের ছেলের সামনেই সরকারি হাসপাতালের নার্সকে গুলি করে খুন স্বামীর

১০ বছরের ছেলের সামনেই সরকারি হাসপাতালের নার্সকে গুলি করে খুন স্বামীর

নিজস্ব সংবাদদাতা: স্ত্রীর সাথে অন্য কারও বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে এমনই সন্দেহের বশে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি চলছিল তারই ৩৫ বছরের স্ত্রীকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। গোটা ঘটনাই ঘটেছে ১০বছরের ছেলের সামনেই। প্রথমিক ভাবে এমনটাই জানা গেছে। নদিয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জে ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাত ৮ টা নাগাদ। মৃতা স্বপ্না বিশ্বাস সরকারি নার্স ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

কৃষ্ণগঞ্জ থানার অধীন স্বর্ণখালি গ্রামে ১০ বছরের ছেলেকে নিয়ে থাকতেন স্বপ্না বিশ্বাস এবং জয়দেব বিশ্বাস। ১২বছরের বিবাহিত জীবন তাঁদের। স্বপ্না পেশায় সরকারি হাসপাতালের নার্স ছিলেন। কৃষ্ণগঞ্জ হাসপাতালের অধীন জয়ঘাটা সাব সেন্টারে কাজ করতেন তিনি। অন্যদিকে স্বামী জয়দেব একটি স্টেশনারি দোকান চালাতেন। স্বপ্না এবং জয়দেবের প্রতিবেশিরা জানিয়েছেন রাত আটটা নাগাদ স্বপ্নার চিৎকার এবং গুলির আওয়াজ পেয়ে ছুটে আসেন তাঁরা।

এরপরই তাঁরা দৌড়ে গিয়ে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের মেঝেয় পড়ে রয়েছেন স্বপ্না। তাঁরাই উদ্ধার করে স্বপ্নাকে যান কৃষ্ণগঞ্জ ব্লক হাসপাতালে। কিন্তু অবস্থা এতটাই আশঙ্কাজনক ছিল তৎক্ষণাৎই চিকিৎসকরা তাঁকে কৃ্ষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। সেখানেই অস্ত্রোপচার শুরু করেন চিকিৎসকরা আর সেই অস্ত্রোপচার চলাকালীনই মৃত্যু হয় স্বপ্নার।

জয়দেবের বাড়ির লোকেদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পেরেছে কিছুদিন ধরেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে চরম অশান্তি চলছিল। পুলিশ এও জানতে পারে যে এই অশান্তির মূলে ছিল সন্দেহ। জয়দেবের ধারনা হয়েছিল স্বপ্না কারও সাথে সম্পর্ক স্থাপন করেছে। প্রতিবেশীদের কাছ থেকে জানা গেছে স্বপ্নাকে অনেকটাই জোর করে বিয়ে করেছিল জয়দেব। তখন পাড়ার দাদা ছিল সে। নিজের কিছুটা ইচ্ছার বিরুদ্ধেই বিয়ে হয়। পরে অবশ্য স্বপ্না মানিয়ে নেয়।

তবে ইদানিং জয়দেবের মনে হচ্ছিল সুন্দরী এবং চাকুরিরতা স্ত্রী তাঁকে অবজ্ঞা করছে। আর এই নিয়েই অশান্তি শুরু হয়। জয়দেবের পরিবারের লোকেরাও পুলিশকে জানিয়েছে এই কাজ জয়দেবেরই। অশান্তির কথা তাঁরাও জানত। পুলিশ এও মনে করছে যে বেশ কিছুদিন ধরেই জয়দেব এই খুনের পরিকল্পনা করেছে যে কারনে
আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি যোগাড় করেছিল।

পুলিশ সব চেয়ে আশ্চর্য হয়েছে যে ছেলের সামনেই এই খুন করেছে জয়দেব। ঘটনার পর থেকেই অবশ্য পলাতক জয়দেব। আপাতত অভিযুক্তর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। বালকের সাথে কথা বলেছে পুলিশ।

RELATED ARTICLES

Most Popular