Homeএখন খবরমানুষ নিজের চরকায় তেল দিক, ক্যাব নিয়ে ভোটাভুটিতে অংশ না নিয়েও তোপ...

মানুষ নিজের চরকায় তেল দিক, ক্যাব নিয়ে ভোটাভুটিতে অংশ না নিয়েও তোপ নুসরতের

নিত্য গুপ্ত : নাগরিক সংশোধনী বিল নিয়ে উদ্বিগ্ন তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জী। ‘রক্ত দেব তবুও মানবনা এন.আর.সি’ বক্তব্য মমতা ব্যানার্জীর। এনআরসি আর ক্যাব বা নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আসলে একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। কে বলেছেন ? মমতা ব্যানার্জী। সেই ক্যাব নিয়ে ভোটাভুটিতে অংশ নেননি তৃণমূলের একগুচ্ছ সাংসদ। যাঁর অন্যতম হলেন অভিনেত্রী নুসরত। আর সেটা নিয়ে সমালোচনা শুরু হতেই ক্ষুব্ধ নুসরত ট্যুইট করে বলেছেন,”কেন মানুষ শুধু নেতিবাচক ভাবেই কথা বলে? যদি মানুষ নিজের চরকায় তেল দেয়, পৃথিবীটা বসবাসের পক্ষে অনেক কম বিরক্তিকর হয়।”

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
অর্থাৎ যে মানুষ তাঁকে ভোট দিয়ে জিতিয়েছিলেন সেই মানু্ষের অধিকার নেই তাঁদের সাংসদ বা বাংলার সাংসদ হিসাবে তিনি কি ভূমিকা পালন করছেন সেটা জানার বা প্রশ্ন তোলার।
মানুষ খালি ভোট দেওয়ার সময় আর তার আগে রাজনৈতিক মানুষ। ভোট ফুরালে নেতানেত্রীরা সাংসদ বা বিধায়ক আর মানুষ তখন শুধুই জনতা। খাটবে খাবে আর নিজের চরকায় তেল দেবে!

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
ক্যাব নিয়ে যখন দেশ তোলপাড় আর খালি তৃনমূল কংগ্রেস একাই নাকি সত্যিকারের বিপ্লব করে চলেছে তখন এই আলোচনা বা ভোটাভুটিতে দেখা যায়নি নুসরতের মত আরেক অভিনেত্রী মিমিকেও যাঁর প্রথম দিন সংসদের অলিন্দে ‘সেলফি’ তুলেছিলেন নুসরত। দেখা যায়নি অভিনেতা দেবকেও। তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন নুসরত। বলেছেন,  , ‘‘মিমি চক্রবর্তী এবং দেব অধিকারী আমার এই দুই সতীর্থের পক্ষ থেকে জানাতে চাই যে, তাঁরা শ্যুটিং এ ব্যস্ত রয়েছেন। এটাও আমাদের বাড়তি দায়িত্বের মধ্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেট-এ তিনশোরও বেশি মানুষ থাকেন।’’

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বোঝো বাঙালি, সেটে তিনশ মানুষ থাকেন আর দেশে মানুষ নেই! কাদের দিয়েছ রাজার পাঠ! তাঁরা শ্যুটিং করবেন, দেশ, বিদেশ বেড়াবেন আর সময় পেলে সংসদে যাবেন। তাঁদের পেশা নেশা বজায় রাখার পরই তাঁরা আম জনতার জন্য সংসদে হাজির হবেন এমন শর্তেই কি বাঙালি তাঁদের ভোট দিয়েছিলেন?

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সবাই জানে যে লোকসভায় বিজেপির বিল আটকানোর ক্ষমতা বিরোধীদের নেই অন্তত সংখ্যাগরিষ্ঠতার জেরে। তাহলে সংসদ কিসের জন্য? আলোচনার জন্য, বিতর্ক উত্থাপনের জন্য যে বিতর্ক, আলোচনা ভোটাভুটিতে হেরে যাওয়ার পরেও ইতিহাস হয়ে থাকে। যদি শুধু বাংলার কথা ধরা হয় তবে এমন ইতিহাস হয়ে আছেন সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়,  ইন্দ্রজিৎ গুপ্ত, গুরুদাস দাশগুপ্ত প্রমূখরা।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
পেশার দোহাই দিয়ে কোনও বাঙালি সাংসদ সংসদের অধিবেশনে গর হাজির থেকেছেন এমন নজির বোধহয় নেই। আর তাই যদি করবেন তবে এঁদের সংসদে পাঠানো কেন? শুধুই সেলফি তুলতে? মানুষকি এখন চাইলেও পারবেন বিকাশ ভট্টাচার্যর মত বাগ্মীকে সাংসদ করে পাঠাতে?

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে নির্দেশ ছিল, চলতি সপ্তাহে লোকসভা এবং রাজ্যসভার সাংসদদের উপস্থিত থাকতে হবে। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে লড়াই করতে হবে অধিবেশন কক্ষে।কিন্তু দেখা গেল, লোকসভায় বিল পাশের ভোটাভুটির সময় গরহাজির। যাঁরা ছিলেন মিমি চক্রবর্তী, দেব অধিকারী, চৌধুরী মোহন জাটুয়া, শিশির অধিকারী, দিব্যেন্দু অধিকারী , খলিলুর রহমান নুসরত জহান, এবং সাজদা আহমেদরা ।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
জানা গেছে, খলিলুর রহমানের নিকটাত্মীয় বিয়োগ হয়েছে। তাঁর আসা সম্ভব ছিল না। শিশির অধিকারী এবং দিব্যেন্দু অধিকারী রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। তাঁরা যে আসবেন না, তা আগে থেকেই স্থির ছিল। চৌধুরী মোহনের বয়স ৮৪। শরীরও সম্পূর্ণ সুস্থ নয়। তাঁকে মধ্যরাত পর্যন্ত বসিয়ে রাখা হয়নি। সাজদা আহমেদের উড়ান বিলম্বিত থাকার কারণে দুপুরে পৌঁছতে না পারলেও রাতে এসে ভোট দিয়েছেন।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
প্রশ্ন তো এখানেও! এত গুরুত্বপুর্ন একটা বিষয়। সেখানে মমতা ব্যানার্জী দিঘায় থাকবেন বলে শিশির দিব্যেন্দুকে সংসদ ছেড়ে তাঁর কাছে থাকতে হবে? শুভেন্দু অধিকারী একাই সামলে নিতে পারতেননা? প্রশ্ন ৮৪বছরের চৌধুরি মোহন কে সাংসদ পদে প্রার্থী করা হল কেন? নাকি এবারও  নুসরত জাহানের ভাষাতেই বলা হবে, ‘এত প্রশ্ন কেন? জনতা নিজের চরকায় তেল দিক!’ 

RELATED ARTICLES

Most Popular