Homeএখন খবরচিকিৎসক দিবসে সামনে এল ভয়াবহ রূপ, গোটা দেশে করোনায় সংক্রমিত প্রায় ৫...

চিকিৎসক দিবসে সামনে এল ভয়াবহ রূপ, গোটা দেশে করোনায় সংক্রমিত প্রায় ৫ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী, মৃত ৭০

ওয়েব ডেস্ক : ১ জুলাই জাতীয় চিকিৎসক দিবস। সে অনুযায়ী চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সম্মান জানাতে বুধবার এরাজ্যে সরকারি ছুটির ঘোষণাও করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তাঁদের লড়াইকে বারবার কুর্ণিশও জানিয়েছে কেন্দ্র সরকারও। কিন্তু চিকিৎসক দিবসের দিনই এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে দেশবাসীর সামনে। তথ্য অনুযায়ী গত ৫ মাসে এই মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে গোটা দেশে এখনও পর্যন্ত ৭০ জন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন বহু চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মী। ফলে এই পরিস্থিতিতে যখন গোটা দেশে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রয়োজন, সেই সময় মারণ ভাইরাসের কাছে হেরে গিয়ে এত পরিমাণ স্বাস্থ্যকর্মীদের মৃত্যু যে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে বহু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থার অভাবে স্বাস্থ্যকর্মীদের পিপিই ছাড়াই রোগী পরিষেবা দিতে বলা হলে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন চিকিৎসক- নার্স সকলেই। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই পরিস্থিতিতে দেশের প্রথম সারির যোদ্ধা অর্থাৎ চিকিৎসক-নার্স সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর্মীদের যদি উপযুক্ত সুরক্ষার ব্যবস্থার না করা হয় তবে এই মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠবে।

সরকারি হিসেব অনুযায়ী, দেশে প্রথম করোনা আক্রাতের হদিশ মেলে চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি। মার্চের প্রথম থেকে তা ক্রমশ বাড়তে বাড়তে জুনে সেই সংখ্যাটা ৬ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। বিগত ৫ মাস যাবত এই সংক্রমণের বিরুদ্ধে গোটা দেশের চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মীরা লড়ছেন। বাদ পড়েননি সাফাইকর্মীরাও। কিন্তু বিগত ৫ মাসে বহু ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে এই চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মীদের চরম হেনস্থা হতে হয়েছে। কখনো পাড়া প্রতিবেশীদের কাছে কখনো বা কর্মক্ষেত্রেই। বারংবার তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন। কখনও আবার এই পরিস্থিতির মধ্যেই উপযুক্ত পিপিএই কিট না থাকায় বিক্ষোভ করতে হয়েছে হাসপাতাল চত্ত্বরে। এর মাঝে আব্র বেতন সমস্যাও রয়েছে। সময় মতো বেতন পাওয়া তো দূর, এমনকি চিকিৎসকদের প্রাপ্ত বেতন থেকে টাকা কেটে নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে বারংবার। এবিষয়ে দিল্লি মেডিক্যাল কাউন্সিলের রেজিস্টার গিরীশ ত্যাগী জানিয়েছেন, “করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে ৭০ জন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে।”

তাই করোনা রোগীদের চিকিৎসা করছেন না, এমন চিকিৎসকদের জন্য বিশেষ গাইডলাইলস প্রকাশ করা হয়েছে। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত ৫ মাসে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। যদিও অন্যান্য রাজ্যে সেই সংক্রমণের হার মাত্র ১%। তবে দিল্লির অবস্থা খুবই ভয়াবহ। সেখানে যতজন করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন তার মধ্যে ২ হাজার জনই স্বাস্থ্যকর্মী। জানা গিয়েছে দিল্লিতে ১০৭৩ জন স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যান্য রাজ্য মিলিয়ে সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে প্রায় ৫ হাজারে। ফলে দিল্লি সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের এই পরিসংখ্যানটা যে স্বাভাবিকভাবেই ক্রমশ সরকারের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে তা বোঝাই যাচ্ছে।

RELATED ARTICLES

Most Popular