Homeএখন খবররাতারাতি বদলি সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের 'সুপার'

রাতারাতি বদলি সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের ‘সুপার’

ওয়েব ডেস্ক : বেশ কিছুদিন ধরেই চলছিল সমস্যা, এরপর আচমকাই বুধবার অপসারিত করা হল সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজের সুপার পলাশ দাসকে। বুধবার রাতেই স্বাস্থ্যদফতরের তরফে তাকে বদলি করার নির্দেশ আসে। জানা গিয়েছে, তাঁর পরিবর্তে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের নতুন সুপার হচ্ছেন সুজয় মিস্ত্রি। তিনি এতদিন রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের সুপারের দায়িত্বে ছিলেন৷ এর বদলে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের মেডিক্যাল সুপারিন্টেন্ডেন্ট এবং ভাইস প্রিন্সিপাল হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে পলাশ দাসকে।

কিন্তু আচমকা সাগর দত্তের সুপারকে বদলির সিদ্ধান্ত নিল কেন স্বাস্থ্য দফতর? জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নানান সমস্যা লেগেই রয়েছে। সংক্রমণের মধ্যে গত মাসেই বিক্ষোভ দেখান ইন্টার্নরা। তাঁদের দাবি ছিল, গোটা হাসপাতালকে কোনোভাবেই করোনা হাসপাতাল করা যাবে না। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে ফের সাগরদত্ত মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে বিক্ষোভ শুরু করেন নার্সরা। তাদের অভিযোগ, করোনা ওয়ার্ডে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম নার্স রয়েছে। এর ফলে একেকজন নার্সকে প্রায় ১০-১২ ঘন্টা ডিউটি করতে হচ্ছে৷ শুধু তাই নয় একই সাথে হাসপাতালে গ্রুপ ডি স্টাফও কম৷ এমনকি ওয়ার্ডগুলিতে নেই সাফাই কর্মীও। এর জেরে একেবারেই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। কিন্তু এর মধ্যেই দিনের পর দিন কোনোরকম ছুটি ছাড়াই কাজ করতে হচ্ছে। সেকারণে কর্মবিরতির ডাক দেন নার্সরা। টানা ৬ ঘন্টা চলে সেই বিক্ষোভ।

এরপরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে নার্সদের জানানো হয়, হাসপাতালে স্বাস্থ্যভবনের প্রতিনিধিরা এলে নার্সরা তাদের যাবতীয় অভিযোগ করতে পারবেন। এছাড়াও বিভিন্ন সময় চিকিৎসার গাফিলতি সহ নানা বিষয়ে লাগাতার অশান্তিতে হাসপাতালের সুপারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। পরবর্তীতে স্বাস্থ্যভবনের প্রতিনিধিরা হাসপাতালে গিয়ে সমস্ত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। এর তাদের মনে হয়েছে যে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে একেবারেই ‘ব্যর্থ’ সুপার। সেই কারণেই তড়িঘড়ি তাকে বদলির সিদ্ধান্ত নেন স্বাস্থ্য দফতর।

RELATED ARTICLES

Most Popular