Homeএখন খবরচলে গেলেন খড়গপুরের অশীতিপর কবি মিহির কর

চলে গেলেন খড়গপুরের অশীতিপর কবি মিহির কর

নিজস্ব সংবাদদাতা: খড়গপুর শহরের অশীতিপর কবি মিহির কর চলে গেলেন না ফেরার দেশে। বেশ কয়েকদিন সপরিবারে জ্বরে ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবার সেই অবস্থায় পড়ে যান ঘরে। অচেতন হয়ে পড়েন। এরপরই তাঁকে পরিবারের সদস্যরা মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি করেন। সেখানে শুক্রবার ভোরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলে পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছে। আইআইটি খড়গপুর থেকে অবসর নিয়ে শহরের হিজলী -কো- অপারেটিভ এলাকার প্রেমবাজারে বসবাস করতেন মিহির কর। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। কবির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন শহরের কবি সাহিত্যিক ভবেশ বসু, সুনীল মাজী সহ বিশিষ্ট জনেরা।

বীরভূম জেলার বোলপুর শান্তিনিকেতন এলাকার সিঙ্গি গ্রামের বাসিন্দা মিহির করের লেখালেখির সূত্রপাত যৌবনে হলেও সে ভাবে বহিঃপ্রকাশ হয়নি কারন অত্যন্ত অন্তর্মুখী ছিলেন। অবসর নেওয়ার পরও দীর্ঘ সাহিত্য চর্চা করে এসেছেন। প্রায় ৮৪ বছর বয়সে তাঁর দুটি কাব্যগ্রন্থ কুমিক’র কবিতা ও পাতাঝরা ফুল প্রকাশ পায়। প্রকাশ পায় সোনার বাংলা ও পশ্চিমে পুবের মুখ নামে আরও দুটি গ্রন্থ। খড়গপুর সাহিত্য সমাজে সমাদৃত হয় সেগুলি। কবি মান্যতা পান সাহিত্য অনুরাগীদের মধ্যে। সদালাপী অথচ মিতভাষী কবি মন জয় করে নেন কবি সাহিত্যিকদের।

সাহিত্যিক ভবেশ বসু জানিয়েছেন, ‘দারুন দুঃসময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি আমরা। প্রায়দিনই প্রিয়জন হারানোর সংবাদ আসছে। মিহিরদার মত মানুষকে হারাতে হল আমাদের। কয়েকদিন আগেও আমরা কত কথা বলেছি। বৌদি এবং পরিবারের বাকি সদস্যদের সমবেদনা জানানোর ভাষা খুঁজে পাচ্ছিনা।’ কবি সুনীল মাজী জানিয়েছেন, ‘ধূমকেতুর মত যেন উদয় হয়েছিল তাঁর। ৮৪ বছর বয়সের দুটি কাব্যগ্রন্থ, তার নরম পেলব ভাষায় মুগ্ধ হয়েছিলাম। সাবেকি শব্দে আধুনিক ভাবনার আশ্চর্য মেলবন্ধন। তাঁর আসা আর যাওয়া দুই যেন হতচকিত করে দিয়ে গেল। পায়ে হাত রাখার মত আরও একটি মানুষ চলে গেলেন। পরিবারের সদস্যদের আন্তরিক সমবেদনা জানাই।’

পরিবার সূত্রে জানা গেছে গত কয়েকদিন ধরে প্রায় সবারই জ্বর। কোভিড টেষ্ট করানোর পর পজিটিভ ফলাফল আসেনি। ফলে মেডিকেল কলেজ দেহ তুলে দিয়েছে পরিবারের হাতে। যদিও হিজলী প্রেমবাজার এলাকা থেকে গত কয়েকদিন ধরেই ক্রমাগত করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর আসছে। গত ৭দিনে ১০জনের কাছাকাছি আক্রান্ত হয়েছেন এই এলাকাতে। মিহির কর রেখে গিয়েছেন স্ত্রী ছাড়াও দুই কন্যা, পুত্র ও পুত্রবধূকে। পুত্র দেবব্রতও কবি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন সাহিত্যিক মহলে।

RELATED ARTICLES

Most Popular