Homeএখন খবরনিহত দলীয় কর্মীর বাড়িতে ঢুকতে বাধা, পূর্ব মেদিনীপুরে সায়ন্তন বসুর গাড়ি আটকালো...

নিহত দলীয় কর্মীর বাড়িতে ঢুকতে বাধা, পূর্ব মেদিনীপুরে সায়ন্তন বসুর গাড়ি আটকালো পুলিশ

ওয়েব ডেস্ক : নিহত দলীয় কর্মীর পরিবারের সাথে দেখা করতে যাওয়ার পথে পুলিশি বাধার মুখে পড়লো রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। শুক্রবার সকালে পূর্ব মেদিনীপুরের রাতুলিয়ায় তাঁর গাড়ি আটকে দেয় পুলিশ। এই ঘটনায় পুলিশের দাবি, করোনা পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা আঁটোসাটো। এই সময় সায়ন্তনবাবু এলাকায় ঢুকলে স্বাভাবিকভাবেই তাঁর সাথে দেখা করতে দলীয় কর্মীরাও ভিড় জমাবে। ফলে নষ্ট হবে আইনশৃঙ্খলা। মূলতঃ আইনশৃঙ্খলার কথা মাথায় রেখেই তাঁকে আটকে দেওয়া হয়। যদিও পুলিশের এই দাবি মানতে নারাজ বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। এ নিয়ে ঘটনাস্থলে এদিন পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন সায়ন্তনবাবু। এদিনের ঘটনায় বিজেপি নেতার পালটা দাবি, পুলিশ বিজেপি নেতৃত্বকে নিহত দলীয় কর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে দিতে চায় না। সেকারণেই পুলিশ মাঝ রাস্তায় তাঁর গাড়ি আটকেছে।

প্রসঙ্গত, গত বুধবার সকাল থেকেই নিখোঁজ ছিলেন রামনগর ২ নম্বর পূর্ব মণ্ডলের হলদিয়া ২ অঞ্চলের ৪১ নম্বর অর্জুনি বুথের সভাপতি পূর্ণচন্দ্র দাস। সারাদিন অনেক খোঁজাখুঁজির পর অবশেষে এদিন বিকেলে পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর থানা এলাকায় একটি পানের বরোজের পাশ থেকে ওই বিজেপি নেতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রামনগর থানার পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। ওই বিজেপি নেতার মৃত্যুর পিছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র অভিযোগ মৃতের পরিজনেরা। তাঁদের দাবি, আত্মহত্যা নয় বরং পূর্ণচন্দ্র দাস নামে ওই বিজেপি কর্মীকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এদিকে নিহত দলীয় কর্মীর পরিবারের সাথে দেখা করতে শুক্রবার সকালে সড়কপথে পূর্ব মেদিনীপুরের উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু৷ অভিযোগ, পূর্ব মেদিনীপুরের রাতুলিয়ার কাছে আচমকা তাঁর গাড়ি আটকে দেয় পুলিশ। এমনকি পুলিশের সঙ্গে বচসার সৃষ্টি হয় বিজেপি নেতার। এরপরই এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু অভিযোগ করেন, অকারণে তাঁকে হেনস্তা করা হয়েছে। যদিও পুলিশের তরফে এই অভিযোগ একেবারেই অস্বীকার করা হয়েছে। তাদের দাবি, এই মূহুর্তে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার উপরই বেশী নজর দেওয়া হচ্ছে৷ সেকারণে আইনশৃঙ্খলা নষ্ট জতে পারে বলেই এদিন সায়ন্তনবাবুকে আটকানো হয়।

RELATED ARTICLES

Most Popular