Homeএখন খবরশিক্ষিত মেদিনীপুরকে লকডাউনে বাধ্য করতে লাঠি ধরতে হল পুলিশকে

শিক্ষিত মেদিনীপুরকে লকডাউনে বাধ্য করতে লাঠি ধরতে হল পুলিশকে

নিজস্ব সংবাদদাতা: রবিবার জনতা কার্ফ্যুর দিন ৭০০টাকা কিলো চর্বি বাদ দেওয়া খাসির মাংস কিনতে লম্বা লাইন দিতে দেখা গেছিল মেদিনীপুর শহরকে। আর সোমবার বিকাল ৫টার থেকে লকডাউন ঘোষনার পরেও মেদিনীপুর শহরে দোকান বাজার খুলে রেখে জম জমাটি বাজারে নামতে দেখা গেল ‘শিক্ষিত’ মেদিনীপুরকে।

‘শিক্ষিত’ এই কারনেই যে শিক্ষক , অধ্যাপক, চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ার, উচ্চপদস্থ অধিকারিকের শহর মেদিনীপুর। শুধুই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা নয়, আশেপাশের যে কোনও জেলার শহরের চাইতে শিক্ষিত চাকুরের সংখ্যা বেশি এই শহরে। বছর ভর শিক্ষা আর সংস্কৃতি চর্চায় বেশ নাম ডাক এই শহরের। সেরকমই এক শহরের ওই শিক্ষিত মানুষ জনদের লকডাউন ঘোষনার পরও যেভাবে রাস্তায় নেমে, দোকানপাট , রেস্তোরাঁয় ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখা গেল তা অবাক করে দিয়েছে সাধারন মানুষকে । অবাক হয়ে দেখা গেল লকডাউন ঘোষনার পরেও মেদিনীপুর শহরে হেলদোল নেই মানুষের , চা দোকানে
আড্ডা থেকে রেষ্টুরেন্টে ভিড় একই রকম ছিল ৷

শহরের মোড়গুলিতে সন্ধা সাতটাতেও জমজমাট আড্ডা৷ পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করেও কোনো পরিবর্তন হয়নি ৷ এরপরই বাধ্য হয়ে নামে কোতয়ালী থানার পুলিশ ৷ শহরের বটতলা চক এলাকা থেকে শুরু করে গোলকুয়া, কেরানীতলা, পরে স্কুলবাজার সহ বিভিন্ন এলাকায় হানা দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে সকলকে ৷ ওষধ দোকান , মুদি দোকান ছাড়া অন্যান্য দোকান, রেষ্টুরেন্টগুলি বন্ধ করতে বাধ্য করা হয়েছে ৷ কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে মঙ্গলবার লকডাউন ভাঙলে ঠাঁই হবে শ্রী ঘরে।

RELATED ARTICLES

Most Popular