Homeএখন খবরখড়গপুরে মুরগির খামারে আগুন, পুড়ে ছাই ৫০হাজার মুরগি বাচ্চা, লক্ষ লক্ষ টাকা...

খড়গপুরে মুরগির খামারে আগুন, পুড়ে ছাই ৫০হাজার মুরগি বাচ্চা, লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষতি

নিজস্ব সংবাদদাতা: ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল একটি অত্যাধুনিক মুরগি খামার। বুধবার ভোর বেলায় লাগা আগুনে খামারের উন্নতমানের যন্ত্রপাতির সঙ্গে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ৫০ হাজার মুরগির বাচ্চাও। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান এখনও নিরুপন করা সম্ভব না হলেও প্রাথমিক হিসাবে ২৫ লক্ষ টাকার কাছাকাছি বলে একটি সূত্রে জানা গেছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে খামার কর্তৃপক্ষ। ঘটনাটি ঘটেছে খড়গপুর গ্রামীন থানার অন্তর্গত উত্তর গোমারাশোল গ্রামে, খড়গপুর শহর থেকে প্রায় ২০কিলোমিটার দুরে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে জায়গাটি খড়গপুর শহর থেকে দক্ষিন পশ্চিমে খড়গপুর ১ পঞ্চায়েত সমিতির ভেটিয়া ও হরিয়াতাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মাঝামাঝি। ভেটিয়া গ্রামপঞ্চায়েতের মধ্যেই অবস্থিত এই উত্তর গোমারাশোল গ্রাম। তারই ফাঁকা মাঠে বিশালাকার প্রাচীরের মধ্যেই অবস্থিত এই খামার যা স্থানীয়দের ভাষায় মাইতি হ্যাচারি নামেই পরিচিত। আধুনিক পদ্ধতিতে তৈরি এই মাইতিদের অধীনে পর পর একাধিক খামার রয়েছে। যার মধ্যে একটিতে বুধবার ভোর বেলায় আগুন লাগে। আশেপাশের গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন মুহূর্তের মধ্যে কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় আশেপাশের গোমারাশোল, পশ্চিম ভুরকুন্ডি, গুড়িয়ামারি প্রভৃতি গ্রামগুলি। ধোঁয়া দেখেই আশপাশের লোক ছুটে আসেন।

কিন্তু ততক্ষনে আগুন এতটাই ছড়িয়েছে যে কিছুই করার ছিলনা। খামারের ভেতরে থাকা মুরগির বাচ্চার পাশাপাশি প্লাস্টিকের খাবার ও জলের পাত্র, জাল, খাবার আনা মজুত পলিথিন বস্তা ইত্যাদি দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন হুহু করে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের ভয়াবহতা টের পেয়েই খামারের বাইরে চলে আসেন কর্মচাররা। খবর যায় মালিকের কাছে। মালিক দমকলকে ফোন করলে খড়গপুর থেকে একটি ইঞ্জিন নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছান দমকল কর্মীরা। কয়েকঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে এলেও ততক্ষনে কয়েক হাজার বর্গফুটের খামার পুড়ে শেষ হয়ে গেছে।

প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে বিদ্যুৎতের সংযোগ থেকেই শর্টসার্কিট হয়ে আগুন লেগেছে। বেশকিছু বিদ্যুতের সরঞ্জামও পুড়ে গেছে তবে ঘটনায় কোনও ব্যক্তির কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। দিনের আলোতে এই ঘটনা ঘটাতেই রেহাই পেয়ে গেছেন এখানকার কর্মীরা। খামারের ভেতরে ঘুমাতেন বেশ কয়েকজন কর্মী। রাতে এই দুর্ঘটনা ঘটলে তাঁদের প্রাণ সংশয় হতে পারত। খামারে অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা যথেষ্ট ছিল কিনা, বিদ্যুৎ সংযোগ পদ্ধতি যথাযথ নিয়ম মেনে করা হয়েছিল কিনা খতিয়ে দেখছেন দমকল আধিকারিকরা।

RELATED ARTICLES

Most Popular