Homeএখন খবরপ্রয়াগ ফিল্মসিটিতে আবর্জনার স্তূপে আগুন! দমকলের তৎপরতায় বেঁচে গেল কোটি কোটি টাকার...

প্রয়াগ ফিল্মসিটিতে আবর্জনার স্তূপে আগুন! দমকলের তৎপরতায় বেঁচে গেল কোটি কোটি টাকার সম্পদ

নিজস্ব সংবাদদাতা: প্রায় কিছুই নেই! একে একে শেষ হয়ে যাচ্ছে সবই। তাজমহল থেকে ইতালির হেলানো মিনার, চারমিনার থেকে ব্যাঙ্গালুরু রেল স্টেশন। দার্জিলিং থেকে দেরদুন কিংবা আরব থেকে আমেরিকা সবই এখন খসে খসে পড়ছে। হ্যাঁ, এরকমই সব রেপ্লিকা, মিনিয়েচার এখনও কিছুটা টিকে রয়েছে। এই সমস্ত সম্পদ নিয়ে এটাই ছিল পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে বড় ফিল্ম সিটি যেখানে সাতটি ঘোড়া পাশাপাশি ছুটে যাওয়ার দেবের যোদ্ধার শ্যুটিং হয়েছিল। তবুও যা টিকে আছে তার ওপর নির্ভর করেই যেখানে কয়েকদিন আগেও শ্যুটিং লোকেশন ঠিক করে গেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। রবিবার সেই টুকুও সম্পদ পুড়ে ছাই হয়ে যেতে যেতে রক্ষা পেয়ে গেল দমকলের তৎপরতায়।

দুর্ঘটনাটি ঘটেছে এদিন দুপুরে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা রোড লাগোয়া ডুকি প্রয়াগ ফিল্মসিটির ভেতরেই। ওখানে অবস্থিত একটি আবর্জনার স্তূপে আগুন লেগে যায়। ধোঁয়ায় ছেয়ে চতুর্দিক। মুহুর্তে চাঞ্চল্য ছড়ালো সমগ্র এলাকায়। প্রয়াগ ফিল্মি সিটির কর্মীরা বিষয়টি দেখতে পেয়ে খবর দেন দমকল আধিকারিকদের। এরপরই ঘটনাস্থলে ঘটনাস্থলে দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে ঘণ্টাখানেকের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

প্রয়াগ ফিল্মসিটির কর্তৃপক্ষের প্রাথমিক অনুমান ওই পরিত্যক্ত জায়গায় পড়েছিল শুকনো পাতা ও গাছের ডাল পাশাপাশি প্রয়াগ ফিল্ম সিটির অবস্থান জঙ্গল লাগোয়া হওয়ায় জঙ্গলের শুকনো পাতায় কেউ বা কারা আগুন লাগিয়ে দেয়, হয়ত সেই আগুনই চলে এসে এই ঘটনা ঘটে। যদিও এই ঘটনা রাতের বেলায় ঘটে থাকলে মারাত্মক অবস্থা হতে পারত ভেবে রীতিমত আতঙ্কে কর্মীরা।

জ্বলছে কেশিয়াড়ীর জঙ্গল

কর্মীদের বক্তব্য, ‘পুরো এলাকাটাই বর্তমানে খটখটে আর শুকনো ঝোপ জঙ্গলে ভর্তি হয়ে রয়েছে। রাতে এই আগুন লাগলে একের পর এক ঝোপ জঙ্গল পুড়ে গিয়ে জ্বলে যেতে পারত সমগ্র ফিল্ম সিটিটাই। ইদানিং কালে জঙ্গলে কেউ বা কারা আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে। কিছুদিন আগেই শালবনী ভাদুতলার জঙ্গলে হাজার হাজার হেক্টর বনাঞ্চল আগুনের গ্রাসে নষ্ট হয়ে গেছে।

এখনো আগুন জ্বলছে কেশিয়াড়ী থানার অন্তর্গত বিনন্দপুর সংলগ্ন জঙ্গলে। ওদিকে দাউদাউ করে জ্বলছে শুশুনিয়ার জঙ্গল। মানুষের লোভেই এবার ধ্বংস হয়ে যেতে যেতে বাঁচল কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি। বনদপ্তরের বারংবার আবেদন, প্রচার, সচেতনতা শিবির স্বত্ত্বেও নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছেনা এই দুষ্কর্ম। একদিকে ফিল্ম সিটিকে বাঁচিয়ে রাখার উদাসীনতা অন্য দিকে মানুষের এই দুষ্কর্ম এড়িয়ে কতদিন বাঁচবে এই ফিল্ম সিটি, প্রশ্ন সেটাই।

RELATED ARTICLES

Most Popular