Homeএখন খবরমেদিনীপুর মেডিক্যালে প্রসূতি ভবনের সামনে পিপিই কিট পরিহিতা প্রসূতিকে ফেলে পালালো আ্যম্বুলেন্স...

মেদিনীপুর মেডিক্যালে প্রসূতি ভবনের সামনে পিপিই কিট পরিহিতা প্রসূতিকে ফেলে পালালো আ্যম্বুলেন্স চালক, আতঙ্কে ছোটাছুটি মানুষের

নিজস্ব সংবাদদাতা: পিপিইকিট পরা করোনা আক্রান্ত আসন্ন প্রসবাকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মাতৃমা ভবনের সামনে ফেলে পালালো আ্যম্বুলেন্স চালক। ওই অবস্থায় যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে প্রসূতি আর তার পাশে রয়েছেন পিপিই কিট পরা প্রসূতির পরিবারের আরেক মহিলা।

কেউ কিছুই বুঝতে পারছেনা কী হচ্ছে বিষয়টা! হাসপাতালের করিডোরে কী তবে দুই করোনা রোগি! যার একজন ছটপট করছেন মৃত্য যন্ত্রনায়? সাত পাঁচ ভেবে আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু হয়ে গেল। এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কিছুই জানেনা। ফলে দীর্ঘক্ষণ চলল এই আতঙ্কের প্রহর। প্রায় ২ঘন্টা পরে শেষমেশ বেডে দেওয়া হল প্রসূতিকে। সোমবার এমনই দু ঘণ্টার চিত্রনাট্য মেদিনীপুর মেডিক্যালে।

জানা গেছে চন্দ্রকোনা ১ ব্লকের ক্ষীরপাইয়ের আদবপুর গ্রামের বাসিন্দা ছায়া মল্লিক দে (২১) প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে সোমবার সকালে প্রথমে ভর্তি হয় ক্ষীরপাই প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। সেখানেই প্রথমে করোনা অ্যান্টিজেন পরীক্ষা হয় এবং পজিটিভ রিপোর্ট আসে। যেহেতু ওখানে করোনা আক্রান্ত প্রসূতির প্রসব জনিত সুবিধা নেই তাই গর্ভবতী মহিলাকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেয় স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। ক্ষীরপাই থেকেই পিপিই কিট পরিয়ে পাঠানো হয় প্রসূতি ও তাঁর আত্মীয়াকে।

যেহেতু গ্রামের সবাই মেডিক্যাল কলেজের সমস্ত কিছু সম্পর্কে ওয়াকি বহাল নয় তাই মাতৃযান বা অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে প্রসূতিকে ভর্তি করিয়ে বেড অবধি পৌঁছে দেওয়া। কিন্তু এই চালক মহিলাকে ভর্তি করিয়েই চম্পট দেয়। প্রসূতি আর তাঁর আত্মীয়া মাতৃমা ভবনের সামনে অসহায় হয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন। এদিকে প্রসব যন্ত্রনা বাড়ায় প্রসূতি মেঝেতে বসেই ছটকাতে থাকেন।

পিপিই কিট পরে থাকায় কেউ সামনে আসতেই সাহস পাননি। প্রায় ২ঘন্টা এই অবস্থা চলার খবর পেয়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রসূতিকে নিয়ে আসেন করোনা আক্রান্ত প্রসূতির বেডে। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, করোনা আক্রান্ত প্রসূতির জন্য আমাদের বিশেষ বেড থাকে কিন্তু আ্যম্বুলেন্স চালকের গাফিলতিতেই এই ঘটনা ঘটেছে।

RELATED ARTICLES

Most Popular