Homeরাজ্যবেসরকারি স্কুলগুলিতে ইচ্ছেমতো অতিরিক্ত ফি নেওয়া যাবে না, হুশিয়ারি রাজ্য সরকারের

বেসরকারি স্কুলগুলিতে ইচ্ছেমতো অতিরিক্ত ফি নেওয়া যাবে না, হুশিয়ারি রাজ্য সরকারের

ওয়েব ডেস্ক : করোনা সংক্রমণের জেরে মার্চ মাস থেকে বন্ধ স্কুল-কলেজ সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান৷ সিলেবাস শেষ করতে বেসরকারি স্কুল গুলিতে চলছে অন লাইন ক্লাস৷ কিন্তু দেখা যাচ্ছে স্কুলগুলিতে টিউশন ফি ছাড়া যেসব পরিষেবা এই মূহুর্তে বন্ধ আছে সেই সমস্ত ফি-ই নেওয়া হচ্ছে। তার ফলে স্বাভাবিকভাবেই অভিভাবকদের উপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। অভিভাবকদের দাবি, যেহেতু এই মূহুর্তে অন্যান্য পরিষেবা পাচ্ছেন না সেহেতু শুধুমাত্র টিউশন ফি ছাড়া কিছুই দেবেন না তাঁরা। তবে অভিভাবকদের সেই দাবি মানতে নারাজ বেশিরভাগ স্কুল কর্তৃপক্ষ। তবে এবার অভিভাবকদের পাশে দাঁড়াল রাজ্য সরকার।

মঙ্গলবার রাজ্য সরকারের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, যেহেতু এই মূহুর্তে স্কুল বন্ধ সেহেতু পরিবহণ, কম্পিউটার ল্যাব, লাইব্রেরি ফি নেওয়া যাবে না। স্কুলের পক্ষ থেকে যতটুকু পরিষেবা দেওয়া হবে শুধুমাত্র ততটুকুই ফি নিতে পারবে স্কুলগুলি। এমনকি স্কুলগুলি চাইলে নিজেদের ইচ্ছেমতো কোনও ফি বৃদ্ধি করা যাবে না। অনলাইন ক্লাস থেকে বাদও দেওয়া যাবে না পড়ুয়াদের। কোনও পড়ুয়ার ফি দিতে দেরি হলে তা মানবিকতার সঙ্গে বিচার করতে হবে। জরিমানা চাপিয়ে দেওয়া চলবে না।

এর আগেও রাজ্য সরকারের তরফে বারংবার বেসরকারি স্কুলগুলিকে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে মানবিক হওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এরপরও দেখা গিয়েছে, ফি জমা দিতে না পারলে স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে ছাত্রছাত্রীদের অনলাইন ক্লাস করতে না দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। এবার নির্দেশিকা অমান্য করলে সরকারের তরফে স্কুলগুলির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর। কোভিড পরিস্থিতিতে শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনার জন্য কোনও পরামর্শ বা অন্য কোনও অভিযাগ থাকলে তা আগামী ২৭ জুলাইয়ের মধ্যে স্কুল শিক্ষা দফতর কমিশনারের কাছে জানানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে করোনা আবহের মধ্যেই বহুবার কলকাতার বেশ কয়েকটি প্রথম সারির বেসরকারি স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন অভিভাবকরা। বারবার তাঁরা জানিয়েছেন, টিউশন ছাড়া অন্যকোনও ফি এই মূহুর্তে তাদের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। তবে অভিভাবকদের কথায় পাত্তা না দিয়েই নিজেদের ইচ্ছে মতো ফি নিচ্ছেন কলকাতার নামজাদা বেশ কয়েকটি স্কুল কর্তৃপক্ষ। তবে রাজ্যের এই সিদ্ধান্ত স্বাভাবিকভাবেই অভিভাবকদের নৈতিক জয় হল বলেই মনে করছেন অনেকে। এই সংকটের পরিস্থিতির মধ্যেও অভিভাবকদের অসুবিধার কথা মাথায় রেখে রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তে স্বস্তিতে সাধারণ মানুষ।

RELATED ARTICLES

Most Popular