Homeএখন খবরদিদিকে বল করতে গিয়ে জনরোষে শিউলি সাহা , কেশপুর ছেড়ে পালালেন বিধায়ক

দিদিকে বল করতে গিয়ে জনরোষে শিউলি সাহা , কেশপুর ছেড়ে পালালেন বিধায়ক

নামলেন , দাঁড়ালেন , পালালেন 

নিজস্ব সংবাদদাতা: অর্থ দিয়ে কর্পোরেট বুদ্ধির কৌশলে দিদিকে বলো কর্মসুচীতে গিয়ে জনরোষের মুখে তৃনমূলের কেশপুরের বিধায়ক শিউলি সাহা। টীম পিকের ফর্দ আর ফর্মূলা নিয়ে হাজির হয়ে বড়জোর ছয়/ সাত মিনিট  গ্রামে ঢোকার মুখে দাঁড়ানোর সাহস ছিল। তারপর  গ্রামবাসীদের প্রশ্ন বান সহ দূর্নীতি, কাটমানি, অনুন্নয়ন নিয়ে কয়েকটা কথা শুনেই ধৈর্য হারিয়ে বিধায়ক ক্ষেপে ওঠেন।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বিক্ষোভকারীদের সিপিআইএম ক্যাডার আখ্যা দিয়ে আবার গ্রাম ছাড়ানোর হুমকি দিলে প্রবল জনরোষ সহ বিক্ষোভ শুরু হয়।বিধায়ক তখন তাড়াতাড়ি করে গাড়ীতে উঠে পড়েন। গ্রামের ঢোকার মুখে গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ে। কারন বাম জমানার মোরাম রাস্তায় এখন কাঁদা দঁক।  গাড়ী নিয়ে গ্রামের ভিতরে যাওয়ার মতো অবস্থায় নেই রাস্তাটি।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
কেশপুর থানার ১২ নম্বর অঞ্চলের ঘোষপুর গ্রামে সোমবার সকালে দিদিকে বলো কর্মসূচিতে অংশ নিতে পৌঁছান এলাকার বিধায়ক শিউলি সাহা। এলাকায় ঢোকার সময় তার গাড়িকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে গ্রামবাসীরা। একদিকে বেহাল রাস্তা দীর্ঘদিন সারানো হচ্ছেনা। গত সাড়ে তিনবছরে কেশপুরের এমন গ্রাম বা অঞ্চলে তাকে একটিবারও দেখা যায়নি।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
গাড়ী থেকে নেমে পা হেঁটে গ্রামে যাওয়ার কথা বলায় গ্রামের মানুষ বলেন, আপনাকে গাড়ী নিয়ে এই রাস্তায় যেতে হবে, নইলে গ্রামে ঢুকতে পারবেন না। এতই যদি উন্নয়ন করেছেন তবে দিদিকে বলো, করতে আসছেন কেনো। দিদিকেই আসতেই বলুন। দূর্নীতির ফর্দ হাতে আছে উনাকেই ধরিয়ে দেবো। গরীব মানুষকে গৃহ আবাস পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ২৫- ৩০ হাজার অগ্রিম নিয়েছে তৃনমূলের পঞ্চায়েত।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এমন ২৭ জনকে কোনো ঘর দেওয়া হয়নি। যে ছয় জনকে ঘর দেওয়া হয়েছে তাদের  কাছ থেকে ৫০ হাজার করে  কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ তুলে গ্রামবাসীরা। তৃনমূলের পঞ্চায়েত ও বুথ সভাপতি তার ও তার পরিবারে নামে চারটা পাঁচটা করে ঘর তৈরীর টাকা নিয়েছে। অসংঘটিত,  নির্মান শ্রমিকদের বঞ্চিত করে ঐ নেতারা নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নামে সমূহ সামাজিক ভাতা  ভোগ করছেন। অথচ তারা কোনো শ্রমিকই নয়।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এমন অভিযোগ গ্রামবাসীরা তোলায়, বিধায়ক গ্রামবাসীদের  সিপিএম এর ক্যাডার বলে গ্রামছাড়া করার হুমকি দেয়। তখনই গ্রামবাসী ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তালিকায় নাম থাকা গরীব মানুষদের  ইন্দিরা আবাস যোজনা, গীতাঞ্জলি প্রকল্পের মতো সরকারি প্রকল্পগুলির সুবিধা পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ করেন গ্রামবাসীরা।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বিক্ষোভের মুখে পড়ে বিধায়ককে বলতে শোনা যায়, হাইকমান্ডের নির্দেশে গ্রামে এসে তিনি দিনভর ঘুরে দেখবেন গ্রামের অবস্থা, এমনকি গ্রামেই রাত্রিযাপন করতে চান বলেন। তখন গ্রামবাসীরা দূর্নীতির তালিকা হাতে ধরিয়ে বলেন,  আগে এই বিষয় গুলির সমাধান বা উত্তর দিন, আর আমাদের গ্রামছাড়া করার হুমকি দেওয়ার জন্য ক্ষমাচান। নইলে আপনাকে ঘেরাও করে রাখবো। জনরোষের মুখে বিধায়কের দেহরক্ষীরা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। সেই সময় বিধায়ক গাড়ীতে উঠে পড়েন। এবং গ্রামছেড়ে পালাতে বাধ্য হন ।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এর আগে ঠিক একই রকম ভাবে গড়বেতা, ঘাটাল, চন্দ্রকোনা, নারায়নগড় এমন বহু স্থানে স্থানীয় তৃনমূল  বিধায়কদের  দফায় দফায় বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল। ফের দিদিকে বলো কর্মসূচিতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ায় যথেষ্ট অস্বস্তিতে ঘাসফুল শিবির। সামনে উপনির্বাচন। তাই এমন বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ বিধায়ক থেকে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

RELATED ARTICLES

Most Popular