Homeএখন খবরঅবহেলিত ড্রেজিং, ধ্বংসের মুখে শংকরপুর বন্দর , রামনগরে জাতীয় সড়ক অবরোধ মৎসজীবীরা

অবহেলিত ড্রেজিং, ধ্বংসের মুখে শংকরপুর বন্দর , রামনগরে জাতীয় সড়ক অবরোধ মৎসজীবীরা

নিজস্ব সংবাদদাতা: দেশের বৃহত্তম মৎস্যবন্দরের খ্যাতি রয়েছে শংকরপুরের । হাজার হাজার পরিবারের অন্ন যোগায় এই মৎস্যবন্দর। কিন্তু ড্রেজিংয়ের অভাবে নাব্যতা হ্রাস হয়ে মরতে চলেছে এই বন্দর। সেই মৎস্য বন্দরের হাল ফেরাতে পথে নামলেন মৎস্যজীবী পরিবার গুলি। বুধবার  ড্রেজিংয়ের দাবি জানিয়ে রামনগর বাজারে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে অবস্থান-বিক্ষোভে সামিল হন কয়েক হাজার মৎস্যজীবী।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
অবরোধের জেরে প্রায় ঘন্টাখানেক যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে যায় ১১৬ বি জাতীয় সড়কে। দিঘা-কলকাতা ব্যস্ততম এই জাতীয় সড়কের উভয়ধারে আটকে পড়ে দিঘা এবং কলকাতাগামী কয়েকশো যানবাহন।খবর পেয়ে তড়িঘড়ি রামনগরে বাজারে ছুটে আসেন রামনগর ১ ব্লকের বিডিও আশিস রায়।উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন তিনি। এই আশ্বাসের পর অবরোধ তুলে নিলেও মৎস্যজীবীরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অবিলম্বে ড্রেজিং এর ব্যবস্থা না করা হলে তাঁরা আরো বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
মৎসজীবীদের অভিযোগ , শঙ্করপুর রাজ্যের সবচেয়ে বড় এবং পুরানো মৎস্য বন্দর।এই মৎস্য বন্দরে ট্রলার ও মাছ ধরার নৌকায় তেল ,বরফ তোলা বা ভরা ও মাছ নামিয়ে বাজারজাত করার জন্যে ৩টি জেটি রয়েছে । কিন্তু  দীর্ঘদিন বন্দরে ঢোকার মুখে দিঘা মোহনা ও শঙ্করপুর এলাকায়  পলি জমে নাব্যতা কমে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন মৎস্যজীবীরা।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
মৎস্যজীবীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ড্রেজিং না হওয়ার কারণে নাব্যতা সমস্যা ক্রমেই প্রকট হয়ে উঠেছে।বেশ কয়েকবার ট্রলার ভর্তি মাছ ডুবেছে সমুদ্রে।কোটি কোটি টাকার মাছ নষ্ট হয়েছে।গত বছরের চেয়ে এ বছর নাব্যতা আরও কমেছে, অনেক ডুব চর জেগে উঠেছে বন্দরের মুখে। ফলে মোহনা পর্যন্ত যাওয়া খুব ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে লঞ্চ-ট্রলারের।ফলে তারা মাছ নিয়ে বন্দরে ঢুকতে না পেরে পেটুয়া মৎস্য বন্দরে অথবা ওডিশার ধামরাতে চলে যাচ্ছে।যার কারণে শংকরপুরের মৎস্যবন্দর বন্ধ হতে বসেছে।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
জানা গেছে, ৫০০টির বেশি লঞ্চ-ট্রলার শঙ্করপুর মৎস্যবন্দর থেকে সমুদ্রে মাছ ধরতে যায়।আর এই সব  লঞ্চ-ট্রলার থেকে রোজ  ২০০- ৩০০টন সামুদ্রিক মাছ দিঘা মোহনার মাছের বাজারে বিক্রি হয়। সামুদ্রিক মাছের ৬০-৭০ শতাংশ বিদেশে ও ভিন রাজ্যে রপ্তানিও করা হয়।কিন্তু নাব্যতা সমস্যার কারণে লঞ্চ-ট্রলার শঙ্করপুর ছেড়ে চলে যাওয়ার কারণে বন্দর এলাকায় অর্থনৈতিক সংকট তীব্র আকার ধারণ করছে বলে দাবি মৎস্যজীবীদের।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
শঙ্করপুর ফিসারমেন এন্ড ফিস ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের ডাকে এদিন এই অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মীসূচিতে সামিল হয়েছিলেন মৎস্যজবীরা।সংগঠনের সম্পাদক তথা রামনগরের প্রাক্তন বিধায়ক স্বদেশরঞ্জন নায়ক বলেন,” গত তিন বছর ধরে বন্দর মোহনাতে ড্রেজিং না হওয়ার ফলে ট্রলার-লঞ্চ ঢুকতে পারছে না।  পেটুয়া চলে যাচ্ছে। যার ফলে খরচ অনেক বেড়েছে।পেটুয়াতে যাতায়াতের জন্যে ২৫-৩০ হাজার টাকার বাড়তি খরচ হচ্ছে।”

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
শুধু তাই নয় পেটুয়াতে মাছ নামানোর পর তা আবার দিঘা মোহনার মাছের বাজারে আনার ফলে মাছের গুণগত মান নষ্ট হচ্ছে।শুধু মাছ ধরা নয় এই বন্দরকে কেন্দ্র করে যে ২৫-৩০ টি বরফ কারখানা রয়েছে বরফের চাহিদা না থাকায় তারাও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।পাশাপাশি  জাল সারাই ,মাছ বাছার কাজ যারা করতেন তারাও কাজ হরাতে বসেছেন।বন্দর বন্ধ হয়ে গেলে রামনগর এলাকার অর্থনীতি প্রচন্ড ভাবে ভেঙে পড়বে।

RELATED ARTICLES

Most Popular