Homeরাজ্যউত্তরবঙ্গবিজেপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরেই বিক্ষোভের ঝড় উত্তর থেকে দক্ষিণে

বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরেই বিক্ষোভের ঝড় উত্তর থেকে দক্ষিণে

অশ্লেষা চৌধুরী: বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর বিক্ষোভের ঝড় উত্তর থেকে দক্ষিণে। কোথাও পার্টি অফিস ভাঙচুর, কোথাও বিক্ষোভ, তো কোথাও জেলা নেতৃত্ব জানিয়ে দিলেন, তারা না কি মনোনীত প্রার্থীকে চেনেনই না। দুদিন আগেই শাসক শিবিরকে করা একই বিষয় নিয়ে কটাক্ষ যেন বুমেরাং হয়ে ফিরে এল গেরুয়া শিবিরের কাছে।

রবিবারই তৃতীয় ও চতুর্থ দফায় প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে গেরুয়া শিবির। আর তালিকা প্রকাশ্যে আসতেই দেখা গিয়েছে তালিকা প্রকাশ পেতেই প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে বিজেপির আদি-নব্যের লড়াই। একদিকে রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যকে প্রার্থী করা নিয়ে সিঙ্গুরে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন সেখানকার বিজেপি সমর্থকরা। তাদের অভিযোগ, কোনও ভাবেই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যকে তারা সিঙ্গুরের প্রার্থী হিসেবে মেনে নেবেন না। তিনি তৃণমূলের দালাল। আবার প্রার্থী তালিকায় বান্ধবী স্থান পায়নি বলে এক সঙ্গে জুটি বেঁধে দল ছাড়ার সিদ্ধান্তের কথা একেবারে কারণসহ চিঠি লিখে জানিয়ে দিয়েছেন শোভন-বৈশাখী। আবার প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় ভাঙচুর করা হল হাওড়া গ্রামীণ জেলার বিজেপি কার্যালয়ে।

এদিকে উত্তরের জেলাতেও বিক্ষোভের আঁচ; আলিপুরদুয়ার জেলায় বিজেপি প্রার্থীর নাম ঘোষণার পরেই অসন্তোষ প্রকাশ জেলা বিজেপি সভাপতি গঙ্গা প্রসাদ শর্মা। এমনকি আলিপুরদুয়ারের ঘোষিত প্রার্থী অশোক লাহিড়ীকে তিনি চেনেনও না বলেই জানিয়ে দেন। তাঁকে প্রার্থী সম্পর্কে আগে জানানোই হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি। আবার কালচিনি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী বিশাল লামাকে করা হয়েছে, যিনি কি না দুদিন আগেই গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা থেকে বিজেপিতে যোগদান করেন; তাঁকে প্রার্থী করা ও যোগদান কোনও ব্যাপারেই জেলার কোন মতামত নেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ করেছেন গঙ্গা প্রসাদ বাবু। বিষয়টি নিয়ে আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল প্রার্থী সৌরভ চক্রবর্তী কটাক্ষ করে বলেন, বিজেপি যে উত্তরবঙ্গ ও আলিপুরদুয়ার বিরোধী সে কথার প্রমাণ মিলল। পাশাপাশি যারা এতদিন বিজেপির নামে প্রচার করেছিলেন বা বিজেপি করেছিলেন তাদের এইভাবে দল ছুঁড়ে ফেলে দিল, তাদেরই কদর করল না, তো সাধারণ মানুষের কীভাবে করবে।‘

রবিবার বিজেপি প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর দেখা যায়, বেশ কিছু চমক রেখেই সেই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। একদিকে যেমন দিনহাটায় উদয়ন বধে দাঁড় করানো হয়েছে সাংসদ নিশীথ প্রামাণিককে, তেমনই চুঁচুড়ায় মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের বিপরীতে সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে প্রার্থী করেছে বিজেপি। অপরদিকে শিল্পী পাড়ায় তুফান তুলতে টালিগঞ্জ থেকে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়কে প্রার্থী করা হয়েছে। এছাড়া সিঙ্গুরের মাস্টারমশাই, যিনি টিকিট না পেয়ে তৃণমূল ছেড়ে পদ্ম শিবিরে ভিড়েছেন মাত্র দু-চারদিন আগে, তাকেও নিরাশ করেনি বিজেপি। বেচারামের বিপক্ষে তাকেই সেখানে লড়াইয়ের সুযোগ দিয়েছে গেরুয়া শিবির। নিরাশ করেনি রাজীবকেও, যার হুঁশিয়ারি আগের থেকেই ছিল যে তৃণমূল ছেড়ে দিলেও প্রার্থী হয়ে সেখান থেকেই লড়বেন, কারণ তিনি সেখানকার ভূমিপূত্র। আর সাথে তো তারকা চমক ছিলই। কিন্তু বিক্ষিপ্ত ভাবে দলের অন্দরের বিরোধ প্রকাশ্যে চলে আসায় চরম অস্বস্তিতে পড়তে হয় গেরুয়া শিবিরকে।

RELATED ARTICLES

Most Popular