Homeএখন খবরপ্রকাশিত হল রাজ্য সরকারের পুজা গাইডলাইন! দেখে নিন পুজা কর্তা ও দর্শনার্থীদের...

প্রকাশিত হল রাজ্য সরকারের পুজা গাইডলাইন! দেখে নিন পুজা কর্তা ও দর্শনার্থীদের কী করা উচিত, কী নয়

নিজস্ব সংবাদদাতা: করোনা পর্বের মধ্যেই শুরু হয়ে গেছে উৎসবের মরশুম। একের পর এক বাঙালির পুজা ও উৎসব। অতিমারি বা মহামারির মধ্যে এই বৃহৎ উৎসব বাঙালির ইতিহাসে প্রথম। গত ২৫ শে সেপ্টেম্বর মূখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পুজোর উদ্যোক্তাদের জানিয়েছিলেন কী কী করা উচিৎ বা উচিৎ নয়। এরপর সরকারের পক্ষ থেকে প্রকাশিত হল গাইড লাইন। দেখা যাক কী রয়েছে সেই গাইডলাইনে।

১) খোলামেলা বড় প্যান্ডেল করতে হবে, ঢোকা ও বেরোনোর গেট আলাদা রাখতে হবে। প্যান্ডেল খোলামেলা হতে হবে। যদি বাধ্য হয়ে ঢাকা সিলিং করলেই হয়, তবে চার দেওয়াল হবে খোলা। আর যদি দেওয়াল থাকতে হয়, তবে সিলিং খোলা রাখতে হবে। প্যান্ডেলের ভেতরে যথেষ্ট জায়গা থাকতে হবে, যাতে দর্শকরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পারেন। ঢোকার ও বেরোনোর গেট আলাদা রাখতে হবে, প্রয়োজনে মেঝেতে দাগ দিয়ে বোঝাতে হবে যাতে কারও কোনও সমস্যা না হয়। কোনওখানেই ভিড় ও জমায়েত করতে দেওয়া যাবে না।

২) মাস্ক পরেই প্যান্ডেলে আসতে হবে দর্শকদের। যদি কেউ না আসেন, সে জন্য প্যান্ডেল কর্তৃপক্ষকে মাস্কের ব্যবস্থাও রাখতে হবে। রাখতে হবে পর্যাপ্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার। এছাড়াও সময়ান্তরে প্যান্ডেল স্যানিটাইজ করতে হবে, আশপাশের এলাকাও স্যানিটাইজ করতে হবে।

৩) পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন রাখতে হবে প্যান্ডেলে। তাঁদের মাস্ক পরতে হবে, স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। ভিড় হলে বা কেউ কোনও নিয়ম না মানলে তাঁরা সামাল দেবেন। অঞ্জলি দেওয়া, প্রসাদ বিতরণ, সিঁদুর খেলা– এসব অনুষ্ঠান পরিকল্পিত ভাবে করতে হবে। কোনও ভিড় করা চলবে না। অঞ্জলির ফুল বাড়ি থেকে আনতে হবে, যাতে ফুল সংগ্রহ করতে ভিড় না হয়। পুরোহিত যেন মাইকে মন্ত্র পড়েন, যাতে অনেক দূর পর্যন্ত শোনা যায়, কেউ ভিড় না করেন।

৪) পুজোমণ্ডপে বা তার আশপাশে কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুমোদিত হবে না।
৫) সেরা পুজো বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বিচারকদের বড় টিম মণ্ডপে এসে ভিড় করতে পারবেন না। বড়জোর দুটো গাড়ির অনুমোদন মিলবে, তাও সকাল ১০টা থেকে দুপুর ৩টের মধ্যে। বেশিরভাগ খুঁটিয়ে দেখার কাজ ভার্চুয়ালি করতে হবে।

৬) নিজেদের পুজোর প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে নিয়ম-নীতিরও প্রচার চালাতে হবে প্রতিটি পুজো কমিটিকে। সোশ্যাল মিডিয়া ও বৈদ্যুতিন মাধ্যমে নিয়মিত চলবে এই প্রচার। ৭) পুজোর উদ্বোধন ও বিসর্জন দুইই করতে হবে ন্যূনতম লোক নিয়ে। উদ্বোধন করতে হবে যতটা সম্ভব ভার্চুয়ালি। বিসর্জনের জন্য কোন ঘাটে কখন কোন পুজোর বিসর্জন তা আগাম পরিকল্পনা করতে হবে প্রশাসনের সঙ্গে ।

৮) পুজো ও তৎসংলগ্ন সমস্ত অনুমোদন অনলাইনে করতে হবে। ৯) ভিড় এড়ানোর জন্য আরও বেশি দিন ধরে খোলা রাখা যেতে পারে প্যান্ডেল। তৃতীয়া থেকেই উদ্বোধন হতে পারে পুজোর। ১০) পুজোর পরে কোনও কার্নিভাল হবে না। ১১) সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সমস্ত কোভিড-নীতি মেনে চলতে হবে পুজো কমিটিগুলিকে এবং দর্শকদেরও।
বিঃদ্রঃ- প্রায়োগিক ক্ষেত্রে এই প্রতিবেদন যথেষ্ট নয়। সরকারের প্রকাশিত মূল গাইডলাইন অনলাইনে দেখে নেবেন।

RELATED ARTICLES

Most Popular