Homeউত্তরবঙ্গআলিপুরদুয়ারRafale in Hasimara: অবশেষে হাসিমারা এয়ারবেসে রাফায়েল! জল কামানে স্বাগত জানালো...

Rafale in Hasimara: অবশেষে হাসিমারা এয়ারবেসে রাফায়েল! জল কামানে স্বাগত জানালো বায়ু সেনা

নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে শেষ পর্যন্ত আলিপুরদুয়ারের হাসিমারা বায়ুসেনা ছাউনির মাটি স্পর্শ করলো ফ্রান্সের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির যুদ্ধ বিমান রাফায়েল। বুধবার নয়া দিল্লি থেকে ভারতীয় বায়ু সেনার তরফে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে ওই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।তবে সংখ্যায় কয়টি রাফায়েল দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ওই বায়ু সেনা ছাউনিতে এসে পৌঁছেছে, তা নিরাপত্তার স্বার্থেই প্রকাশ্যে আনা হয়নি।

উল্লেখ্য পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত দেশের উত্তর-পূর্বে চীনের শক্তির কথা মাথায় রেখেই ভারতীয় বায়ুসেনার এই নবীন যুদ্ধবিমানের ঘাঁটিটি তৈরি হয়েছিল উত্তরবঙ্গের সবুজে মোড়া হাসিমারায়।হাসিমারা থেকে বাংলাদেশ, ভুটান এবং চীন তুলনামূলকভাবে নিকটবর্তী। অবস্থানগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। বায়ুসেনা মনে করছে হাসিমারায় রাফাল এসে যাওয়ায় এটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটিতে পরিণত হল।

চীনের কথা ভেবেই ভারত সামরিক ঘুঁটি সাজাচ্ছে। আগামী দিনের পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে হাসিমারায় নিজেদেরকে তৈরি রাখতে রাফাল যুদ্ধবিমান কার্যকর ভূমিকা নেবে বলেই দাবি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের।সাড়ে ন’ টন অস্ত্র বহন এবং এয়ার ডিফেন্স ও গ্রাউন্ড অ্যাটাকে সক্ষম রাফাল হাসিমারায় এসে গেলে পড়শি দেশ চীন চিন্তায় পড়বে স্বাভাবিকভাবেই।

মূলতঃ ভারত-ভুটান-চীন সীমান্তের চিকেনস্ নেক নামে পরিচিত আকাশ পথের সীমান্তে দেশের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই হাসিমারা বায়ুসেনা ছাউনিতে রাফায়েল যুদ্ধ বিমান আনা হয়েছে বলে মনে করছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টারা।সুখোই যুদ্ধ বিমানের পর হাসিমারা বায়ুসেনা ছাউনিতে রাফায়েল চলে আসায় চীন সীমান্তে নজরদারি ও নিরাপত্তা আরও আঁটোসাঁটো হল।

উল্লেখ্য হাসিমারায় শেষবার ১৯৯৩ সালে রানওয়ের আস্তরণ সংস্কার করা হয়েছিল। এরপর রাফালের কথা মাথায় রেখেই সম্প্রতি ফের রানওয়ে সংস্কারের কাজে হাত দেওয়া হয়েছিল। যতটা সম্ভব মসৃণ করে তোলা হহয়েছে সেটি। কয়েকমাস আগেই শেষ হয়েছে সেই কাজ। হাসিমারার বর্তমান রানওয়ে ৮৫০০ থেকে ৯ হাজার ফুট লম্বা। যা অত্যাধুনিক এই যুদ্ধবিমানের জন্য আদর্শ। হ্যাঙারও বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। যাতে শুধু রাফালই নয়, আরও এক অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান সুখোই-৩০ সেখানে থাকতে পারে।

বুধবার ওই যুদ্ধ বিমানের আগমনের সময় জলকামান থেকে জল ছুঁড়ে স্বাগত জানানো হয় হাসিমারা বায়ুসেনা ছাউনির ১০১ স্কোয়াড্রনের তরফে।ওই স্কোয়াড্রনের তরফে রাফায়েল যুদ্ধ বিমান গ্রহণ করেন এয়ার মার্শাল অমিত দেব, যিনি ১০১ স্কোয়াড্রনের ইস্টার্ন কমান্ডের কমান্ডিং ইন চিফ।

RELATED ARTICLES

Most Popular