Homeএখন খবরদমবন্ধ হয়ে আসছিল' বলে দল ও পদ থেকে ইস্তফা দীনেশ ত্রিবেদীর! তৃনমূলে...

দমবন্ধ হয়ে আসছিল’ বলে দল ও পদ থেকে ইস্তফা দীনেশ ত্রিবেদীর! তৃনমূলে রক্তক্ষরণ অব্যাহত

নিজস্ব সংবাদদাতা: শুভেন্দু, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সহ এক এক করে অনেকেই দল ছাড়ার পর তাঁদের বিরুদ্ধে ধান্দাবাজ, দুর্নীতিগ্রস্থ, মীরজাফর ইত্যাদি নানা তকমা দিয়েছে তৃনমূলের নেতানেত্রীরা কিন্তু এবার তাঁরা কি বলবেন সেটাই এখনদেখার কারন এবার আর যে সে ব্যক্তি নয় দল ছেড়ে দিলেন দলের প্রবীণতম সদস্য, বিচক্ষণ, উচ্চশিক্ষিত, মার্জিত রুচিসম্পন্ন, মৃদুভাষী সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী (Dinesh Trivedi)। একই সঙ্গে দল ও পদ দুই-ই থেকেই ইস্তফা দিলেন তিনি। আর যাওয়ার আগে শুনিয়ে গেলেনগভীর মনোবেদনার কথা। বললেন, দমবন্ধ হয়ে আসছিল। শুক্রবার নাটকীয় ভাবেই রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে আচমকাই ইস্তফা দিলেন তৃণমূলের এই রাজ্যসভার সাংসদ। রাজ্যসভাতেই বলে গেলেন, ”দলে থেকে কাজ করতে পারছিলাম না। দমবন্ধ হয়ে আসছিল। আমার অন্তরাত্মার কথা শুনেছি। আর চুপ করে থাকা সম্ভব হচ্ছিল না আমার পক্ষে। তাই এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলাম।”

‌সংসদীয় রাজনীতিতে হঠাৎই এই নাটকীয় মোড়ে পুরোপুরি বাকস্তব্ধ হয়ে গেছে তৃনমূল নেতৃত্ব। প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া দিতে লোক খুঁজে পাওয়া যায়নি প্রথম দিকে। গত লোকসভা নির্বাচনে অর্জুন সিংয়ের কাছে পরাজিত হওয়ার পর মমতা ব্যানার্জী ফের তাঁকে সাংসদ করে নিয়ে আসেন রাজ্যসভায়। এতটাই মমতা ব্যানার্জী গুরুত্ব দিতেন তাঁকে। কিন্তু তারপরেও তিনি কেন দল ছেড়ে দিলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

গোটা বিষয়টা নিয়েপ্রবল চাঞ্চল্য রাজনীতিক মহলে। ভাষণ দিতে গিয়ে আচমকাই ইস্তফার কথা জানালেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী। তিনি বলেন, ‘‌দলে এখন দমবন্ধকর পরিবেশ। বাংলায় রাজনৈতিক হিংসা বেড়েই চলেছে। তাই আর চুপ থাকতে পারছি না। মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। তাই পদত্যাগ করলাম। মানুষকে কখনো না কখনো অন্তরাত্মার ডাক শুনতে হয়। আমি সেই ডাকে সাড়া দিয়ে পদত্যাগ করলাম। বাংলায় যেভাবে হিংসা হচ্ছে, তাতে আমার খারাপ লাগে। কিন্তু আমি কিছুই করতে পারিনি। এবার বাংলায় গিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াব।’‌

গত লোকসভা ভোটে ব্যারাকপুর কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে হেরে যান দীনেশ ত্রিবেদী। তারপর তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠান মমতা। দলের তরফে মূলত হিন্দিভাষীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার দায়িত্ব ছিল তাঁর। দীনেশ ত্রিবেদী যে এমন নাটকীয়ভাবে সাংসদ পদে ইস্তফা দেবেন, সে কথা ঘূণাক্ষরে টের পাননি দলের কেউ। তাঁর ইস্তফার খবর ছড়িয়ে পড়ার বেশকিছুক্ষন পর সৌগত রায় জানান, ‘‌গত শনিবার একসঙ্গে ফ্লাইটে দিল্লি এসেছি। এমন কিছু ঘটবে জানা ছিল না। কিন্তু ভোটের আগে এভাবে ছেড়ে যাওয়া দুঃখজনক ঘটনা।’‌
এদিন সংসদে দাঁড়িয়ে কোভিড মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর নজির বিহীন প্রশংসা করে দীনেশ ত্রিবেদী বলেন, ‘‌গোটা বিশ্ব এখন ভারতের দিকে তাকিয়ে আছে।’‌ তবে কি তিনি বিজেপির দিকেই ঝুঁকছেন?‌ রাজনৈতিক মহলে জোরালো হচ্ছে সেই প্রশ্ন।

যদিও সে সব নিয়ে এখুনি কিছু বলেননি এই প্রবীণ সাংসদ। তবে এবার তিনি মানুষের পাশে দাঁড়াবেন এই মর্মার্থ আন্দাজ দিচ্ছে এখুনি রাজনীতির ময়দান ছাড়ছেননা তিনি। বিজেপির পক্ষ থেকে বারংবার দাবি করা হয়েছে তৃনমূলের ‘আরও অনেক’ কেউকেটা দল ছাড়তে চলেছেন। কিছুদিন আগে এমনটাই ফের দাবী করে বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পদক তথা পশ্চিমবঙ্গের পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয় বর্গীয় বলেছিলেন, তালিকায় আরও অনেক নাম রয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, ২০শে ফেব্রুয়ারির মধ্যে কলকাতা, দক্ষিণ ২৪পরগনায় তৃনমূল কোম্পানি করার লোক পাওয়া যাবেনা। দীনেশের পদত্যাগও কী সেই পথের ইঙ্গিত?

RELATED ARTICLES

Most Popular