Homeএখন খবরদেড় মাস ধরে নিখোঁজ দিল্লির সরকারের খোঁজে নন্দীগ্রামে এসেছি! এবার সবজি বেচব...

দেড় মাস ধরে নিখোঁজ দিল্লির সরকারের খোঁজে নন্দীগ্রামে এসেছি! এবার সবজি বেচব পার্লামেন্টের সামনেই , রাকেশ টিকায়েত

নিজস্ব সংবাদদাতা : “গত দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে খোঁজ মিলছেনা দিল্লিতে অবস্থিত ভারত সরকারের। শুনেছি তারা নাকি বাংলায় পড়ে রয়েছেন তাই তাঁদের খোঁজে বাংলায় এসেছি। খোঁজ পেলে বেঁধে দিল্লি নিয়ে যাব!” নির্বাচনী প্রচারের মাঝে শনিবার এমনই এক অদ্ভুদ সমাবেশের স্বাক্ষী রইল নন্দীগ্রাম। যে সমাবেশে হাজির ছিলেন তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লি সীমান্তে আন্দোলনরত কৃষকদের একটি অংশ। আর তাঁদেরই পক্ষ থেকে কথা গুলি বলছিলেন, সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা মহাপঞ্চায়েতের কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত।

উল্লেখ্য দিল্লি সীমান্তে অবস্থানরত এই কৃষকরা পাঞ্জাব হরিয়ানার মতই বাংলায় মহাপঞ্চায়েত গঠনের ডাক দিয়েছে। তারই অঙ্গ হিসাবে কৃষক আন্দোলনের দুই পরিচিত জায়গা সিঙ্গুর এবং নন্দীগ্রামে মহাপঞ্চায়েত গঠনের ডাক দিয়েছেন। সেই উপলক্ষ্যেই শনিবার নন্দীগ্রামে এসে পৌঁছালেন তাঁরা। এদিন বক্তব্যের শুরুতেই টিকায়েত বলেন যে, “কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে প্রচারে আসিনি আমরা। ভোট বাংলার, বাংলার মানুষই বেছে নেবেন তাঁদের প্রতিনিধিদের। আমরা আসলে খুঁজতে এসেছি দিল্লিতে যাঁরা সরকার চালান তাঁদের। গত দেড়মাস খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা তাঁদের। বাংলায় ভোটের প্রচার চলছে। শুনলাম এখানেই এসেছেন তাঁরা। তাদের খুঁজে বেঁধে দিল্লী নিয়ে যাব।”

২০০দিন ধরে আন্দোলনরত কৃষকদের নেতা টিকায়েত এদিন নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মান্ডি বাদ দিয়ে অন্যান্য জায়গায় সবজি বিক্রি করার পরামর্শ দিয়েছেন কৃষকদের। আমরা তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবার থেকে সংসদ ভবনের সামনেই সবজি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
উল্লেখ্য কোনও দলের হয়ে ভোট প্রচারে না এলেও টিকায়েতরা জানিয়েছেন, ‘আপনারা আপনাদের পছন্দের রাজনৈতিক দলকে ভোট দিন কিন্তু বিজেপিকে ভোট দেবেননা। কারন বিজেপি শ্রমিক কৃষকদের কথা ভাবেনা। ওরা বড় বড় শিল্পপতি, বড়লোকদের সুবিধা করে দেওয়ার জন্যই সরকারে আসতে চায় কারন ওরা ধনী শিল্পপতিদেরই পার্টি। ক্ষমতায় এলে আপনাদেরও সর্বনাশ করে দেবে।”

কৃষক আন্দোলনের নেতারা দাবি করেছেন এই মহাপঞ্চয়েতের কর্মসূচি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক। কৃষকদের স্বার্থ রক্ষাই মহাপঞ্চয়েতের প্রধান ও একমাত্র উদ্দেশ্য। যেহেতু বিজেপি কৃষক বিরোধী এবং কৃষকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে তাই শুধু মানুষের কাছে একটা কথা বলতে এসেছেন বিজেপি যেন জিততে না পারে । বিজেপি ক্ষমতায় এলে কৃষকদের জমি বাড়ি চলে যাবে ।
কৃষক নেতাদের আভিযোগ কেন্দ্র সরকার বড় বড় শিল্পপতিদের জন্যে কাজ করছে । কৃষি বিলের নামে বড় বড় শিল্পপতিদের হাতে কৃষকদের জমি তুলে দেওয়ার চেষ্টা করছে । সেকারণে দেশের কোনায় কোনায় আন্দোলন ছড়িয়ে দিতে হবে ।
কৃষক নেতার জানান বিজেপিকে হারানোর জন্যে তাঁরা মানুষের কাছে এসেছেন।

এই পঞ্চায়েতে কৃষক আন্দোলনের নেতাদের পাশে উপস্থিত ছিলেন সমাজকর্মী মেধা পাটেকার। মেধা বলেন, আমার মনে আছে এই নন্দীগ্রামের জমি আন্দোলনে এখানকার মানুষ জাতি ধর্ম নারী পুরুষ ভেদাভেদ না করে আন্দোলন করেছিলে। এখন সেই নন্দীগ্রামেই ধর্মীয় বিভাজনের বীজ পোঁতা হচ্ছে রাজনীতির নামেই। কৃষি আইন ভারতের কৃষকদের কী ভাবে অস্তিত্বহীনতায় ঠেলে দিতে চলেছে তাঁর বিবরণ দেন মেধা। মেধা দাবি করেন, শুভেন্দু অধিকারী সিবিআইর ভয়ে বিজেপিতে গিয়েছেন। ওনার কথাও শুনবেননা। বিজেপি বাদে যাকে খুশি ভোট দিন আপনারা।

RELATED ARTICLES

Most Popular