Homeএখন খবরআত্মহত্যার প্ররোচনা সহ একাধিক অভিযোগ, শীঘ্রই গ্রেফতার হতে পারে রিয়া

আত্মহত্যার প্ররোচনা সহ একাধিক অভিযোগ, শীঘ্রই গ্রেফতার হতে পারে রিয়া

ওয়েব ডেস্ক : দিন যত গড়াচ্ছে সুশান্তের মৃত্যু তদন্তে ক্রমশ মাদক যোগ স্পষ্ট হচ্ছে। এতদিন সুশান্তের মৃত্যুটা খুন বলে মনে করা হলেও সিবিআইয়ের তদন্তে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, সুশান্ত মাদকাসক্ত ছিল। রিয়াই সুশান্তের অজান্তে তাকে মাদক সেবন করিয়ে ধীরে ধীরে মাদকাসক্ত করে তুলেছিলেন। এর জেরে এক সময় ক্রমশ সুশান্তের শারিরীক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। তবে কেন রিয়া সুশান্তকে মাদকের নেশা ধরাতে গেলেন? তা জানা যায়নি।

সিবিআই তদন্তে উঠে আসছে একের পর তথ্য যার পরতে পরতে রয়েছে রহস্য। জানা গিয়েছে, শুধু মাত্র রিয়া কিংবা তার ভাই সৌভিক নন, জানা গিয়েছে, রিয়া চক্রবর্তী-সহ তাঁর গোটা পরিবার অর্থাৎ তার মা-বাবাও মাদক সেবন করতেন বলেই জানা গিয়েছে। তবে সেই মাদকের রেশ কিন্তু রিয়া ও তাঁর পরিবারেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। সূত্রের খবর, রিয়াই প্রথম সুশান্তকে মাদকের নেশা ধরিয়েছিলেন। সুশান্ত মৃত্যুর তদন্তে মাদক যোগ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে এনসিবি। সেই তদন্তেই এধরণের নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। শুধু তাই নয়, জানা গিয়েছে, সুশান্তের জন্য রিয়ার ভাই বাড়িতে যথেষ্ট পরিমাণ মাদক মজুত করে রাখত।

সূত্রের খবর, গত বছরের শেষের দিকে সুশান্তের মাদকাসক্ত হওয়ার কথা জানতে পেরেছিলেন তাঁর দিদি। সেসময় তিনি ভাইকে সাবধানও করেছিলেন। তিনি অনুমান করেছিলেন সুশান্তের মাদকাসক্ত হওয়ার পিছনে রিয়ার যোগ থাকতে পারে। সেকারণে সুশান্তকে রিয়ার থেকে দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। এদিকে এরপর থেকেই রিয়া এবং সুশান্তের দিদির মধ্যে তিক্ততা ক্রমশ বাড়তে থাকে। এরপর ধীরে ধীরে ক্রমশ পরিবারের সাথে দূরত্ব বাড়তে শুরু করে। সেসময় সুশান্তকে পরিবারের তরফে একাধিকবার যোগাযোগ করা হয় এমনকি তাকে বোঝানো হলেও সে সময় সুশান্ত শুধুমাত্র রিয়ার কথা মতই চলত। তদন্তে এধরণের একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে।

এদিকে সুশান্তের মৃত্যুর দিন পাঁচেক আগেই ৮ জুন সুশান্তের প্রাক্তন ম্যানেজার দিশা সালিয়ানের আত্মহত্যার খবর চাউর হয়। দিশার নামের আগে বারংবার সুশান্তের নাম নেওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই রীতিমতো ভেঙে পড়েন সুশান্ত সিং রাজপুত। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রিয়া ও সুশান্তের মধ্যে ৮জুন রাতে অশান্তি হয় এবং রিয়া সুশান্তের বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। তদন্তকারীদের অনুমান, একেই সুশান্ত আগে থেকেই মাদকাসক্ত ছিলেন, তারওপর রিয়ার চলে যাওয়া মেনে নিতে না পেরে সে মাত্রাতিরিক্ত মাদক সেবন করতে শুরু করে।

প্রসঙ্গত, সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুতে মাদক যোগ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজনের সঙ্গে রিয়া চক্রবর্তীর ভাই সৌভিকের দৈনিক যোগাযোগ ছিল। প্রায়শই তার কাছ থেকে মাদক নিত সৌভিক এমনটাই তথ্য রয়েছে। এদিকে শুক্রবার ফের জিজ্ঞাসাবাদ্দ্র জন্য ইডির দফতরে সৌভিককে ডেকে পাঠানো হয়েছে। জানা গিয়েছে এদিনের জিজ্ঞাসাবাদে উপস্থিত থাকবেন সিএফএসএল এবং এইমসের দুজন সদস্য।

RELATED ARTICLES

Most Popular