Homeএখন খবররবিবারই এনসিবি দফতরে হাজিরা রিয়ার, তবে কি এবার গ্রেফতার হতে পারে রিয়াও?

রবিবারই এনসিবি দফতরে হাজিরা রিয়ার, তবে কি এবার গ্রেফতার হতে পারে রিয়াও?

ওয়েব ডেস্ক : সুশান্ত মৃত্যু মামলায় ইতিমধ্যেই রিয়ার ভাই শৌভিক চক্রবর্তী, স্যামুয়েল মিরান্ডা ও পরিচারক দীপেশ সাওয়ান্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার শৌভককে জিজ্ঞাসাবাদের সময় জেরার মুখে শৌভিক জানিয়েছে দিদি রিয়া চক্রবর্তীর কথাতেই সে মাদক আদান-প্রদান করতো৷ এরপরই মাদক যোগে সন্দেহ ভাজন হিসাবে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব‍্যুরোর নজরে আসে রিয়া চক্রবর্তী। শুক্রবার শৌভিক চক্রবর্তীকে গ্রেফতারের পর শনিবারই নারকোটিকস কন্ট্রোল ব‍্যুরোর তরফে রিয়া চক্রবর্তীকে জেরার জন‍্য সমন পাঠানো নয়। সে অনুযায়ী রবিবারই জেরার জন্য তাকে এনসিবি দফতরে হাজিরা দিতে হবে। তবে কি এবার রিয়াও গ্রেফতার হতে চলেছে? এই নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে।

রবিবার সকালেই আনুষ্ঠানিকভাবে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর পক্ষ থেকে ডেপুটি ডিরেক্টক কেপিএস মালহোত্রা জানান, “রিয়াকে সমন হাতে ধরাতে একটি টিম গিয়েছে। আজ রিয়াকে তদন্তে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এটা উঁনার উপর নির্ভরশীল উনি নিজে আসবেন নাকি আমাদের টিমের সঙ্গে আসবেন।” এদিকে মাদক চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা নিজেদের মুখেই স্বীকার করে রিয়ার ভাই শৌভিক ও সুশান্তের হাউস ম‍্যানেজার স‍্যামুয়েল মিরান্ডা। এরপর তাদের বয়ানের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতেই তাদের গ্রেফতার করে এনসিবি। এরপর শনিবার সকালে যাবতীয় শারীরিক পরীক্ষার পর তাঁদের দক্ষিণ মুম্বইয়ের ম‍্যাজিস্ট্রেট আদালতে পেশ করা হয়। এদিন আদালতে শৌভিকের জামিনের দাবিতে দলিল পেশ করেন রিয়ার আইনজীবী সতীশ মানেশিন্ডে।

তবে যেহেতু এনসিবির কাছে এই মূহুর্তে শৌভিকের বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে, সেহেতু আপাতত তাকে জামিন দেওয়া হয়নি। বরং ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাদের এনসিবির হেফাজতেই থাকতে হবে। পাশাপাশি মাদকচক্রের সাথে জড়িত দুই মাদক কারবারী জায়েদ ও বসিতের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতো শৌভিক। এনসিবির জিজ্ঞাসাবাদে সেই কথাই উঠে এসেছে। ওই দুই মাদক কারবারীর কথা কতটা সত্যি তা যাচাই করতে তাঁদের কল ডিটেলস ও লোকেশনও খতিয়ে দেখে এনসিবি। তাতে দেখা যায় শৌভিক নিয়মিত জায়েদ ও বসিতের সাথে যোগাযোগ রেখেছে। সব মিলিয়ে শৌভিক যে মাদক চক্রে যুক্ত সেই বিষয়ে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে এনসিবির হাতে।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকাল সাড়ে ছটা নাগাদ আচমকা রিয়া চক্রবর্তীর বাড়িতে তল্লাশির জন্য হানা দেয় নারকোটিকস কন্ট্রোল ব‍্যুরো আধিকারিকরা। টানা তিন ঘন্টা রিয়ার বাড়িতে তল্লাশি চালানোর পর রিয়ার মোবাইল ফোন, ল‍্যাপটপ সহ বেশ কিছু ইলেকট্রনিকস গ্যাজেট বাজেয়াপ্ত করে এনসিবি। অন্যদিকে, ওই একই সময় সুশান্তের হাউজ ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডার বাড়িতেও তল্লাশিতে যান এনসিবির চার সদস্যের দল। সেখানে তল্লাশি চালানোর প‍রই মিরান্ডাকে আটক করে তাকে নারকোটিকস কন্ট্রোল ব‍্যুরোর অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে টানা ১৪ ঘন্টা জেরার পর জেরার মুখে তাঁর মাদক যোগের কথা স্বীকার করে মিরান্ডা। এরপরই তার বয়ানের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। একই সাথে রিয়ার ভাই শৌভিককেও গ্রেফতার করা হয়। এদিকে শুক্রবার রাতেই সুশান্তের হাউজ হেল্প দীপেশ সাওয়ান্তকে আটক তাকে টানা কয়েকঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে গ্রেফতার করে এনসিবি। রবিবার সকাল ১১ টায় তাকে আদালতে তোলা হবে।

RELATED ARTICLES

Most Popular