Homeএখন খবরমাদকচক্রে গ্রেফতার রিয়ার ভাই শৌভিক, এবার কি লক্ষ্য রিয়াও?

মাদকচক্রে গ্রেফতার রিয়ার ভাই শৌভিক, এবার কি লক্ষ্য রিয়াও?

ওয়েব ডেস্ক : সুশান্ত মৃত্যু মামলায় গ্রেফতার রিয়া চক্রবর্তীর ভাই শৌভিক ও সুশান্তের হাউজ ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা। দীর্ঘ তিনমাসের তদন্তের পর সুশান্ত মামলায় এই প্রথম দু’জনকে গ্রেফতার করা হল। টানা ১৪ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর অবশেষে শুক্রবার রাতে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর তরফে শৌভিক ও মিরান্ডাকে গ্রেফতার করা হয়। রিয়ার ভাই শৌভিকের সাথে মাদক যোগ রয়েছে, এর একাধিক প্রমাণ পেয়েছে এনসিবি। সেকারণে এবার সরাসরি গ্রেফতার করা হল রিয়া চক্রবর্তীর ভাই শৌভিক চক্রবর্তীকে৷

তবে শুধু শৌভিক নয়, পাশাপাশি এদিনই গ্রেফতার করা হয়েছে স্যামুয়েল মিরান্ডাকেও। এবিষয়ে এনসিবি-র ডেপুটি ডিরেক্টর কেপিএস মালহোত্রা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত তাদের তরফে রিয়া চক্রবর্তীকে সমন পাঠানো হয়নি। তবে শৌভিক ও মিরান্ডার পরিবারকে তাদের গ্রেফতারির বিষয়ে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি আরও জানানো হয়েছে, প্রয়োজনীয় মেডিক্যাল টেস্ট করে শনিবারই শৌভিক ও মিরান্ডাকে এসপ্লানেড আদালতে তোলা হবে।

জানা গিয়েছে, নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর তরফে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শুক্রবারই শৌভিককে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদের সময় রীতিমতো চাপের মুখে পড়ে শৌভিক। শেষমেশ নিজের মাদকযোগের কথা স্বীকার করে নিয়েছে শৌভিক। তবে শুধুমাত্র শৌভিক কিংবা মিরান্ডা নয়, এদিনের জেরায় রিয়া চক্রবর্তীর নামও উঠে এসেছে। এদিন এনসিবির আধিকারিকদের শৌভিক জানিয়েছে, দিদি রিয়ার কথাতেই সে ড্রাগ আদান-প্রদান করত৷ অন্যদিকে, স্যামুয়েল মিরান্ডাও নিজের দোষ স্বীকার করে নিয়েছে। তবে একই সাথে সেও দাবি করেন রিয়া চক্রবর্তীই তার ভাই শৌভিককে ড্রাগ আনাতে বলতেন এবং শৌভিকের নির্দেশে ড্রাগ আনতেন মিরান্ডা।

এদিকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল মাদক সরবরাহকারী আবদুল বসির পরিহারকে। শুক্রবারই তাকে আদালতে তোলা হয়৷ এদিন আদালতে এনসিবি জানায়, মুম্বাইয়ের হাই প্রোফাইল ব্যক্তিত্বদের মাদক সাপ্লাই করে এই মাদক চক্র। সেকারণে এই মামলার তদন্তের স্বার্থে আবদুল বসির পরিহারকে এনসিবির হেফাজতে নেওয়ার অনুমতি চাওয়া হয়। এদিকে শুক্রবার সকাল ৬টা ৩০ মিনিট নাগাদ আচমকা রিয়া চক্রবর্তীর বাড়িতে তল্লাশি চালায় নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর আট সদস্যের দুটি দল। এদিন প্রায় তিন ঘন্টা ধরে রিয়ার বাড়ি তল্লাশি চালানো হয়। তাদের বাড়ি থেকে কিছু পুরনো ফোন, ল্যাপটপ সহ বেশ কয়েকটি ইলেকট্রনিক্স গ্যাজেট নেয় এনসিবি। এদিকে ওই একই সময় স্যামুয়েল মিরান্ডার বাড়িতেও তল্লাশি চালায় এনসিবির চার সদস্যের দল। এরপর তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়।

RELATED ARTICLES

Most Popular