Homeসাহিত্যরবিয়াণীএকটি হলুদ রবিবারে

একটি হলুদ রবিবারে

✍️কলমে: আশিস মিশ্র

প্রযুক্তির চলমান ধারাটি কোথাও গিয়ে কি থেমে যাবে? তা হতেই পারে না । এ ধারা তো চলতেই থাকবে। তার ফলে আমরা সবসময়ই নতুনভাবে প্রযুক্তিকে ব্যবহার করবো। এই যেমন এখন ঘরে বসে বেশি সময় যেহেতু কাটছে, বিশেষ করে কাব্য প্রেমের জোয়ারে যখন আমরা ডুবে গেছি,তখনও তো প্রযুক্তি ছাড়া আমাদের গতি নেই। ফেসবুকেও তাই কোনো ছুটির দিন নেই। সে সবসময় চলমান। তাই হঠাৎ কোনো বন্ধুকে কোনো লেখা চাইলে সে এখন এই ভাষায় কথা বলছে, আরে দাঁড়াও। কাল লেখা দিতে পারবো না। কাল আমার’ লাইভ ‘আছে।

তার মানে আমরা প্রযুক্তিকে বুড়ো বলতে পারি না। সে যখনই যেমন ভাবে আসুক,তা আমাদের কাছে নতুন। এবং তাকে নিয়ে আমাদের মেতে থাকা ছাড়া উপায় নেই। তুমি না তার দিকে গেলে, সে তো তোমাকে টানবেই।
তাই নার্সিং- এর ছাত্র সায়নও রবিবারের দুপুরে নির্জন ঝাউগাছের ছায়ার বসে কবিতার অডিও ভিস্যুয়াল বানিয়ে ইউটিউবে আপলোড করে বলে,ভালো লাগলে শেয়ার ও সাবস্ক্রাইব করুন।
সে তেমন করে রবীন্দ্রনাথ ও আইনস্টাইনকে না জানলেও, মেঘ দেখে রোমান্টিক হয়ে যায়, আবার মেঘকে মনে করে জলকণার স্তুপ।
প্রযুক্তির এই প্রক্রিয়ার মধ্যে আমরা কিন্তু এখনো ভুলে যাইনি কামারশাল- কে। সেখানেও রোজ লাইন। যখনই সেখানে যাই, তখনই মনে হয় এখানেও কতো গল্প ও কবিতা রয়েছে। বাংলা সাহিত্যে তার কতো উদাহরণ আছে।
তাই বিষয় যাই হোক, তাকে সাজিয়ে তুলতে পারাই তো একজন লেখকের মুন্সিয়ানা। যেমন পেঁয়াজের দাম মাঝে মাঝে বেড়ে গেলে তাতে সাহিত্যের কী যায় আসে। তা নিয়ে রাজনীতি গরম হতে পারে। কিন্তু না। পেঁয়াজের আড়ালে যে বিশ্বায়ন লুকিয়ে রয়েছে, তা খুঁজে বের করতে হবে। তাই লেখক উদয়ন ঘোষকে এখন মনে পড়ে খুব। কোনো এক রবিবারে উখড়ার এক সাহিত্য বাসরে এই পেঁয়াজ নিয়ে রসালো বক্তব্যটি আজীবন মনে থাকবে।
তেমনি প্রযুক্তি ও নাগরিক জীবনের চরম লড়াইয়ে এগিয়েও আমরা ছাড়তে পারিনি বঁটিদা -কে। তাই ফেসবুকের পাশাপাশি কামারশালেরও দরকার খুব।

(চলবে)

RELATED ARTICLES

Most Popular