Homeসাহিত্যরবিয়াণীঅপেক্ষার অন্ধকার

অপেক্ষার অন্ধকার

✍️কলমে: অভিজিৎ রায়

(তৃতীয় পর্ব)

যখন কিছু বলার থাকে না তখন শব্দের অন্ধকার, নীরবতার অন্ধকার, যতিচিহ্নের অন্ধকার আর অপেক্ষার অন্ধকার মাচায় বসে আড্ডা জমায়। লাল চা আর বিড়ি সহযোগে তারা শব্দের আলো নীরবতার আলো, যতিচিহ্নের আলো আর অপেক্ষার আলোকে গালমন্দ করে এবং সারাদিনের খাবার হজম করে নিজের নিজের ঘরে ফিরে যায়। সে ঘর থেকে আলো বেরিয়ে গেছে অনেকদিন আগেই। এখন সে আকাশ খুঁজছে আর পাতায় পাতায় সবুজ রঙের অন্তরাত্মাকে জড়িয়ে দিয়ে বেঁচে থাকার লড়াইয়ের খেলায়। এর মধ্যে কোনো অবহেলা, উদাসীনতা থাকে না। অপেক্ষার আলো দুশ্চিন্তা করে অপেক্ষার অন্ধকারকে নিয়ে। শব্দ, যতিচিহ্ন বা নীরবতার আলোরাও তাদের অন্ধকার নিয়ে দুশ্চিন্তা করে, মনখারাপ করে। অন্ধকারগুলোরও মন ভাল নেই। তাদের আলোগুলোকে হারিয়ে ফেলে শব্দ, নীরবতা, যতিচিহ্ন এবং অপেক্ষা যখন পথ হারিয়ে ফেলে তখন তাদের নিজের নিজের ঘরগুলো শূন্য হয়ে যায়। সেই শূন্যতা সৃষ্টির আদিরস থেকে আমাদের বঞ্চিত করে। সেই বঞ্চনার যন্ত্রণাটুকু নিয়ে অপেক্ষার আলো আর অন্ধকার বিব্রতবোধ করে। অপেক্ষার বিব্রতভাব শব্দের সৃষ্টিশীল হৃদয়, নীরবতার কর্মঠ শরীর আর যতিচিহ্নের অবাক করা লাবণ্যকে এলোমেলো করে দেয়। কারা যেন লুটেপুটে খায় সৃষ্টির আলোকে আর ব্যবহার করে সৃষ্টির অন্ধকারকে। অথচ সৃষ্টিশীল অন্ধকারের হদিশ যাদের নেই তাদের অপেক্ষার অন্ধকার কোনোদিনই সৃষ্টির আলো মুঠোয় ধরতে পারবে না। এই অপ্রাপ্তি শুধুমাত্র তাকে চাতুর্যের ভাস্কর্যের অন্ধকার ও আলো পড়তে শেখায়।

RELATED ARTICLES

Most Popular