Homeএখন খবরদিলীপ ঘোষ আর শুভেন্দু অধিকারীর বোঝাপড়ার অভাবে হেরে যেতে বসেছে আমাদের পার্টি!...

দিলীপ ঘোষ আর শুভেন্দু অধিকারীর বোঝাপড়ার অভাবে হেরে যেতে বসেছে আমাদের পার্টি! ভাইরাল করা হল RSS এর গোপন রিপোর্

নিজস্ব সংবাদদাতা: ভোটের আগে ভাইরাল হওয়া রিপোর্টের ছড়াছড়ি। কে কোথায় এই রিপোর্ট পাচ্ছে জানা নেই কিন্তু মোবাইলে মোবাইলে ঘুরছে সেই রিপোর্ট। কখনও সেই রিপোর্ট পুলিশের আবার কখনও রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ বা RSS য়ের। দ্য খড়গপুর পোষ্টের হাতে এসেছে এরকমই একটি ভাইরাল হওয়া রিপোর্ট যার সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ বলছে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে কোথা থেকে এই রিপোর্ট ছড়ানো হয়েছে। RSS এর এই রিপোর্টকে গোপন রিপোর্ট বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিয়ে বলা হয়েছে যে বিশেষ কয়েকটি কারনে বিজেপি হেরে যেতে বসেছে তার অন্যতম কারণ হল রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং সদ্য বিজেপিতে আসা শুভেন্দু অধিকারীর মধ্যে মতের মিল না হওয়া।

RSS রিপোর্ট বলে যে ভাইরাল রিপোর্ট ছড়ানো হয়েছে তাতে দেখানো হয়েছে চন্দ্রকোনা বিধানসভা কেন্দ্রের তৃনমূল প্রার্থী জয়ী হতে চলেছেন ৫০০০ কাছাকাছি ব্যবধানে। এখানে লোকসভায় তৃনমূল ১০০০/১১০০ ভোটে এগিয়েছিল। এবার সেই ব্যবধান বাড়িয়ে নিয়েছে তৃনমূল। ১৫ই মার্চ থেকে ২৫শে মার্চ সার্ভে করা হয়েছে বলে দাবি করা এই রিপোর্টে RSSয়ের প্রতীক ব্যবহার করা হয়েছে। এই রিপোর্টে বিজেপি প্রার্থীর সম্ভাব্য হারের কারন বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বলা হয়েছে, (১) দিলীপ ঘোষ এবং শুভেন্দু অধিকারীর মধ্যে বোঝাপড়ার অভাবের ফলে প্রভাব পড়েছে নিচু তলাতেও (২) বিজেপির একটা অংশ গোপনে তৃণমূলকে মদত দিচ্ছে (৩) বিজেপি নেতৃত্বের প্রতি নিচুতলার কর্মকর্তারা অসন্তুষ্ট (৪) জনতাকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন না করায় মানুষ ক্ষুব্ধ রয়েছেন। রিপোর্টে বলা হয়েছে এই কারনে তৃনমূল এখানে এগিয়ে রয়েছে এবং ‘আমাদের পার্টি’র অবস্থা ক্রমশ সঙ্কট জনক হয়ে পড়ছে।

২৯শে মার্চ এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে হিন্দিতে। এখানে দেখানো হয়েছে ১৪টি গ্রাম পঞ্চায়েতে ও দুটি পৌরসভার মধ্যে ৬টি এলাকায় বিজেপি সামান্য এগিয়ে রয়েছে। ১টিতে লড়াই হচ্ছে সমান সমান আর ৯টি জায়গায় পিছিয়ে রয়েছে বিজেপি, এগিয়ে তৃনমূল। রিপোর্ট মোতাবেক রামজীবনপুর পৌরসভায় বড় ব্যবধানে এগিয়ে তৃনমূল অন্যদিকে চন্দ্রকোনায় সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে বিজেপি। রিপোর্টে কতখানি জল রয়েছে তা নিয়ে অবশ্য সন্দেহ রয়েছে কারন প্রায় আড়াই লক্ষ ভোটারের মধ্যে হিসাব দেওয়া হয়েছে ১লক্ষের কিছু বেশি। এটা বোঝা যাচ্ছেনা যে মতামত সংগ্রহের ক্ষেত্রে শুধু ওই ১লক্ষ মানুষের কাছেই যাওয়া হয়েছিল কিনা?

দ্বিতীয় দফা ভোটের মাত্র একদিন আগে প্রকাশ্যে এসেছে এই রিপোর্ট। একই সত্যি গোপন নাকি ইচ্ছা করেই ভুয়ো রিপোর্ট তৈরি করে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে যাতে ভোটের দিন মরিয়া হয়ে বিজেপি কর্মীরা ওই ব্যবধান ঘোচাতে আদাজল খেয়ে লেগে পড়ে তা বোঝা মুশকিল। আবার এও হতে পারে যে এই রিপোর্ট দেখে আত্মসন্তুষ্ট তৃনমূল কর্মীরা ভোটের দিন নিশ্চিন্তে ঘরে বসে থাকবেন আর সেই সুযোগে নিজেদের ভোটারকে বেশি বেশি বুথমুখি করার চেষ্টা করবে বিজেপি।

পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার জানিয়েছেন এরকম একটি রিপোর্ট তাঁদের নজরেও এসেছে। কারা এই কাজ করেছে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উল্লেখ্য কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচন শেষ না হওয়া অবধি এই ধরনের সমীক্ষা রিপোর্ট বাইরে আনা যায়না। তাই পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। উল্লেখ্য এদিন পুলিশের গোপন রিপোর্ট বলে নারায়নগড় ও কেশপুর বিধানসভার রিপোর্ট লিফলেট আকারে বাজারে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল যা ভুয়ো বলে দাবি করেছে পুলিশ। পুলিশ একটি মামলাও দায়ের করেছে। ওই দুই বিধানসভাতেও তৃণমূলকেই এগিয়ে রাখা হয়েছিল।

RELATED ARTICLES

Most Popular