Homeএখন খবরবিজেপি নেত্রীর বোনকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ শাসক দলের বিরুদ্ধে, রণক্ষেত্র চোপড়ার...

বিজেপি নেত্রীর বোনকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ শাসক দলের বিরুদ্ধে, রণক্ষেত্র চোপড়ার জাতীয় সড়ক

ওয়েব ডেস্ক : বিজেপির বুথ সভাপতির বোনকে অপহরণ করে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ উঠলো শাসকদলের বিরুদ্ধে। ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার সকাল থেকে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া। এদিন চোপড়ার কালাগড়ে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। খবর পেয়ে প্রায় দু’ঘন্টা পর ঘটনাস্থলে চোপড়া থানার আইসি গেলে অভিযুক্তকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে তাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখেতে শুরু করে বিজেপি সমর্থকেরা।

ঘটনার সূত্রপাত রবিবার ভোরে। জানা গিয়েছে, রবিবার ভোরে বাড়ির পাশেই শৌচালয়ে গিয়েছিল বিজেপি বুথ সভাপতির বোন। অভিযোগ, ফেরার পথে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী তাকে অপহরণ করে। এরপর বাড়ি থেকে বেশ খানিকটা দূরে সোনারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চোপড়াগজের কাছে একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয় চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ওই কিশোরীকে। অভিযোগ সেখানেই তাকে ধর্ষণ করে দুষ্কৃতিরা৷ এখানেই থেমে থাকেনি তারা৷ এরপর ওই বিজেপির বুথ সভাপতির বোনকে বিষ খাইয়ে খুনের চেষ্টাও করা হয়। এরপর ওই ফাঁকা জায়গায় অসুস্থ কিশোরীকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা।

এদিকে ততক্ষণে পরিবারের লোকেরা কিশোরীর খোঁজ শুরু করে দিয়েছে। কিন্তু কোথাও খুঁজে না পেয়ে গোটা এলাকায় খোঁজ শুরু করে স্থানীয়রা। কয়েকঘন্টা পর ওই ফাঁকা জায়গা থেকে অচৈতন্য অবস্থায় কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। এরপর তাকে প্রথমে চোপড়ার দলুয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে দ্রুত ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেইমতো হাসপাতালে নিয়েও যাওয়া হয়৷ কিন্তু চিকিৎসা শুরুর আগেই মৃত্যু হয় ওই কিশোরীর। এরপর দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। চারিদিক খতিয়ে দেখে সেখান থেকে মানি ব্যাগ, আধার কার্ড এবং একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়৷ এমনকি ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে একটি সাইকেল পড়ে থাকতেও দেখা গিয়েছে।

এবিষয়ে উত্তর দিনাজপুর জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুরজিৎ সেন বলেন, “তৃণমূল এই কাজ করেছে।” যদিও এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত শাসকদলের তরফে সেভাবে প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে, ঘটনার পর থেকেই চোপড়ার কালাগড়ে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। রীতিমতো রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় জাতীয় সড়ক। এর জেরে জাতীয় সড়ক জুড়ে কয়েক ঘন্টা তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

এর প্রায় কয়েকঘন্টা পর ঘটনাস্থলে যান চোপড়ার আইসি-সহ উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা। সেসময় বিজেপি কর্মী সমর্থকরা চোপড়ার আইসিকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। ঘটনার পর জাতীয় সড়ক সহ গোটা এলাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী নামানো হয়েছে৷ পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে। এ প্রসঙ্গে ইসলামপুরের পুলিশ সুপার শচীন মক্কার বলেন,”তদন্ত করছি। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।”

RELATED ARTICLES

Most Popular