Homeএখন খবরপঞ্চায়েত সদস্যকে কান ধরানোর প্রতিশোধে রাতের অন্ধকারে মথুরাপুর গ্রামে হামলা শাসকদলের দুস্কৃতিদের

পঞ্চায়েত সদস্যকে কান ধরানোর প্রতিশোধে রাতের অন্ধকারে মথুরাপুর গ্রামে হামলা শাসকদলের দুস্কৃতিদের

ওয়েব ডেস্ক: আমফানে ক্ষতিগ্রস্থ রাজ্যের বিভিন্ন জেলা। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে পরিবার পিছু ২০,০০০ টাকা দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই টাকা বিডিও অফিসে এসে পৌঁছালেও প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে তা না পৌঁছে চলে যাচ্ছে শাসকদল ঘনিষ্ঠদের অ্যাকাউন্টে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে একই ছবি। অভিযোগ, বিডিও অফিসে বারংবার জানানো হলেও কোনো সুরাহা হয়নি। এর জেরে সাধারণ মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। গত মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর ২ নং ব্লকের এমনই এক ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়ে গ্রামবাসীরা। তাদের অভিযোগ,আমফানের জন্য বরাদ্দ টাকা থেকে প্রায় ১ লক্ষ টাকা নিজের পকেটে ঢুকিয়েছেন পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন কুমার ঘাটু। স্থানীয়দের বিক্ষোভে শেষ অবধি অভিযোগ স্বীকার করে তাকে কান ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই পঞ্চায়েত সদস্যকে কান ধরিয়ে দোষ স্বীকার করানোয় শাসকদল বুঝতে পারে যে গ্রামবাসীরা তাদের চুরি হাতেনাতে ধরে ফেলেছে। ফলে নিজেদের দোষটা ধামাচাপা দেওয়ার উদ্দেশ্যে পাল্টা গ্রামবাসীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে মঙ্গলবার গভীর রাতে গ্রামে ঢুকে হামলা চালায় স্থানীয় তৃণমূল সদস্যরা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, মঙ্গলবার গভীর রাতে গ্রামবাসীদের ওপর চড়াও হয়ে তাদের মারধর করে পঞ্চায়েত সদস্যের মারধর করা হয় বাসিন্দাদের। এই ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার সকাল থেকে স্থানীয়রা পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এমনকি জোর করে পঞ্চায়েত কার্যালয়ে ভিতর ঢোকার চেষ্টা করে। সেই সময় পুলিশ এসে বাধা দেওয়ায় পুলিশের সাথে গ্রামবাসীদের খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

যদিও ঘটনায় নিজেদের দোষ ঢাকতে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন শাসকদল। তাদের অভিযোগ, রাজনৈতিক ফায়দা লুঠতে বিজেপি মিথ্যে অভিযোগ করে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। তবে মনে করা হচ্ছে, সাধারণ মানুষ শাসকদলের দুর্নীতি ধরে ফেলে প্রশাসনের বিরুদ্ধে তাঁরা মুখ খোলাতেই তাদের এই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ বলেই মনে করছেন একাধিক রাজনৈতিক মহল।

RELATED ARTICLES

Most Popular