Homeএখন খবরSabang Accident: জোড়া মৃত্যু সবংয়ে! বেহাল রাস্তায় ছেলের বাইক থেকে পড়ে ট্রলির...

Sabang Accident: জোড়া মৃত্যু সবংয়ে! বেহাল রাস্তায় ছেলের বাইক থেকে পড়ে ট্রলির তলায় পিষে গেলেন অসুস্থ স্বামীকে দেখতে যাওয়া গৃহবধূ, মোবাইল নিয়ে বকুনির জেরে আত্মহত্যা ছাত্রীর

শশাঙ্ক প্রধান: নির্বাচন আসে আর নির্বাচন যায়। বেহাল রাস্তা বেহাল হয়েই পড়ে থাকে। করছি আর করব, হচ্ছে আর হবের রাস্তায় দুর্ঘটনা ঘটেই চলে। পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং থানার তেমনই এক রাস্তার অংশ বিষ্ণুপুর থেকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটি। বিশেষ করে লাঙলকাটা শিবালয় মন্দিরের সামনের অংশটি। মঙ্গলবার দুপুরে যেখানে দুর্ঘটনার বলি হলেন ৫৪বছরের এক গৃহবধূ। পুলিশ জানিয়েছে মৃত গৃহবধূর নাম তপতী বর্মন। বিষ্ণুপুর এলাকার পূর্ববাঁধের বাসিন্দা তপতীর মৃত্যু হয়েছে অসুস্থ স্বামীর কাছে যাওয়ার পথে।

জানা গেছে মৃত গৃহবধূ তপতী বর্মনের স্বামী সুদর্শন বর্মন পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর থানার মংলামাড়ো স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন। তাঁকে দেখার জন্যই ছেলের বাইকে করে নিজের পূর্ববাঁধের বাড়ি থেকে যাচ্ছিলেন। লাঙলকাটা এলাকায় নদীর সেতু পের হলেই পূর্ব মেদিনীপুর। তারই একটু আগে শিবালয় মন্দির। সেই মন্দিরের সামনে রাস্তার বেহাল দশা। এই জায়গাটাই মাকে নিয়ে পের হচ্ছিলেন ছেলে। সামনে হঠাৎই একটি গর্ত পড়ে যাওয়ায় ব্রেক কষে ছেলে। উদ্দেশ্য ছিল গর্ত এড়িয়ে পাশ দিয়ে জায়গাটা পেরিয়ে যাওয়া কিন্তু সেটা আর হয়নি। আচমকা ব্রেক কষতেই বাইক থেকে পেছনে পড়ে যান তপতী। আর ঠিক তখনই তাকে পিষে দেয় বাইকের পেছনে আসা একটি মেশিন ট্রলি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সামনে গর্ত পড়ে যাওয়ায় পেছনে বসে থাকা মায়ের ঝাঁকুনি লাগতে পারে মনে করেই ব্রেক কষে গাড়ির গতি কমিয়ে দিয়েছিল ছেলে। তাতেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যান ওই মহিলা। পেছনেই আসছিল মেশিন ট্রলিটি। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তার চাকা গড়িয়ে যায় তপতীর ওপর দিয়ে। এলাকাবাসীদের বক্তব্য এর আগে এমন মর্মান্তিক ঘটনা না ঘটলেও এখানে দুর্ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। ছেলে ব্রেক না কষে গর্তের ওপর দিয়ে গেলেও ঝাঁকুনিতে পড়ে যেতে পারতেন তপতী।

অভিযোগ, এমন দুর্ঘটনা এখানে হয়েই থাকে। পঞ্চায়েত প্রশাসন জেনেও কিছু ব্যবস্থা নেয়না। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা হলেও তাঁদের কাছের বাজার পাশের জেলা মংলামাড়ো, ভগবানপুর। হাট বাজার অসুখ বিসুখে তাঁদের ওদিকেই যেতে হয়। সেই সুবিধার কারণেই তপতীর স্বামী সুদর্শনকে মংলামাড়ো স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছিল। পূর্ব মেদিনীপুরের যোগাযোগের এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি দিনের পর দিন অবহেলার শিকার হয়ে রয়ে গেছে।

এদিনই সবং থানার বলপাই অঞ্চলে আরও একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। পারিবারিক মান অভিমানের জেরে আত্মহত্যা করেছে এক দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে বলপাই গ্রামের বাসিন্দা মৃত ছাত্রীর নাম মমতা মালাকার। ১৭বছরের মমতা স্থানীয় বলপাই উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে চলতি বছরেই দ্বাদশ শ্রেণীতে উর্ত্তীণ হয়েছিল। বাবা চন্দন মালাকারের মৃত্যু হয় ২বছর আগে। এরপর মা আর দাদুর সঙ্গেই থাকত মমতা। পড়াশুনার পাশাপাশি তামার গহনা বানানোর কাজ করত সংসারের সাশ্রয়ের জন্য। মঙ্গলবার তার অতিরিক্ত মোবাইল আসক্তির কারনে তাকে বকাবকি করেন তার দাদু গৌর মালাকার। এরপরই বিকাল চারটা নাগাদ ঘরের চিলেকোটাতে নিজের ওড়না গলায় জড়িয়ে আত্মহত্যা করে সে। স্থানীয় চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন তাকে। পুলিশ জানিয়েছে দাদুর বকাবকিতেই আত্মহত্যা নাকি প্রণয় ঘটিত কোনও কারন রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারন সেরকমও একটি সূত্র উঠে এসেছে পুলিশের কাছে।

RELATED ARTICLES

Most Popular