Homeএখন খবর১০ দিনেরও বেশি জ্বর! যাননি হাসপাতালে,সবংয়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু রেশন ডিলারের

১০ দিনেরও বেশি জ্বর! যাননি হাসপাতালে,সবংয়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু রেশন ডিলারের

নিজস্ব সংবাদদাতা: পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং থানা এলাকার কুন্ডলপাল গ্রামে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক ৬৭ বছর বয়সী রেশন ডিলারের, মৃত্যুর পরই তাঁর নমুনা সংগ্ৰহ করা হয় ওই ব্যক্তির যেখানে দেখা যায় করোনা আক্রান্ত ছিলেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার ভোর রাতে। ঘটনার পরেই তৎপরতা শুরু হয়েছে সবং ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও পুলিশের তরফে। পরিবারের সবার নমুনা পরীক্ষার পাশাপাশি আর কার কার নমুনা সংগ্ৰহ করা দরকার তার তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে।

সবং গ্রামীন হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে ইংরেজি হিসাবে শনিবার রাত ৩টা নাগাদ আনা হয় ওই ব্যক্তিকে। তখনই সম্ভবত মৃত্যু হয়েছিল তাঁর। বাড়ির লোকেরা হাসপাতালের চিকিৎসক কে জানিয়েছে, গত ১০দিনেরও বেশি জ্বর ছিল ব্যক্তির। স্থানীয় ওষুধ দোকান থেকে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খেয়েছিলেন তিনি। শুক্র ও শনিবার মধ্য রাতে পেচ্ছাপ করার জন্য বাইরে উঠেছিলেন, বাইরে গিয়ে পড়ে যান। আর উঠতে পারেননি। বাড়ির লোকেরা চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। সবাই মিলে সবং গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসক সেখানেই মৃত ঘোষনা করেন।

সবং গ্রামীন হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডক্টর সুভাস কান্ডার বলেন, “যেহেতু মৃত অবস্থায় ওনাকে আনা হয়েছিল তাই দেহ ময়না তদন্তের জন্য খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। পূর্বের ইতিহাস জানার পর আমরা ময়নাতদন্তের পাশাপাশি ওনার কোভিড টেস্ট করার জন্যও বলেছিলাম। সেই মত খড়গপুরেই ওনার র‍্যাপিড টেস্ট করা হয়েছিল যা পজিটিভ এসেছে।”

স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে পরিবারের কয়েকজনের জ্বর ছিল বলে খবর পাওয়া গেছে। ওই ব্যক্তির ৯০ বছর বয়সী মা সহ ৮ জন পরিবার সদস্য রয়েছেন যাঁদের আগে এদের সবার কোভিড টেস্ট করা হবে তারপর যে প্রতিবেশীরা রাতে সাহায্য করতে এসেছিলেন তাঁদের কোভিড টেস্ট করা হবে। তবে এখানে আরও একটি সমস্যা হল ওই ব্যক্তি জ্বর অবস্থায় রেশন দোকান চালিয়ে ছিলেন কিনা। যদি থাকেন তবে ওর সরাসরি সংস্পর্ষে আসা দের খুঁজে বের করে সবারই পরীক্ষা করা দরকার।
জানা গেছে ওই ব্যক্তি কোথাও বাইরে যাননি

তাহলে প্রশ্ন হল কী ভাবে তিনি আক্রান্ত হলেন? এক্ষেত্রে দুটি সম্ভাব্য উত্তর স্বাস্থ্য কর্তাদের কাছে রয়েছে। প্রথমত রেশন নিতে আসা কারো কাছ থেকে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি অথবা বাড়ির লোক বাইরে গেছিলেন সেই মারফৎ আক্রান্ত হতে পারেন। সেই সম্ভবনাও আছে কারন পরিবারের মাদুরের ব্যবসা রয়েছে। পুলিশ ও স্বাস্থ্য দপ্তরের লোকেরা এখন সেই উৎস খুঁজছেন।

সবং স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তারা আফসোস করে বলেছেন, প্রায় ২পক্ষ কাল জ্বরে ভোগা স্বত্ত্বেও ওই ব্যক্তি হাসপাতালে আসেননি শুধু তাই নয় স্থানীয় যে চিকিৎসককে দেখিয়েছিলেন তিনি করোনা পরীক্ষার পরামর্শ দেওয়া স্বত্ত্বেও তিনি করোনা পরীক্ষা করান নি। যা করলে মৃত্যু এড়ানো সম্ভব হত। এখনও অবধি জানা গেছে ওই পরিবার থেকে শেষবার ১৮জুলাই রেশন দেওয়া হয়েছে। ব্যক্তি নিজে রেশন দিয়েছেন ৪জুলাই। ওই ব্যক্তির মৃতদেহ সরকার নিজের দায়িত্বে খড়গপুর মন্দির তলা শ্মশানের বিদ্যুৎ চুল্লিতে সৎকার করবেন।

RELATED ARTICLES

Most Popular