Homeএখন খবরচাল চেয়েছিল তৃণমূল নেতা, দেইনি বলেই প্রতিহিংসা! বিস্ফোরক অভিযোগ সবংয়ের ডিলারের

চাল চেয়েছিল তৃণমূল নেতা, দেইনি বলেই প্রতিহিংসা! বিস্ফোরক অভিযোগ সবংয়ের ডিলারের

নিজস্ব সংবাদদাতা: সবং পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ তাঁর কাছে অতিরিক্ত ২০০কেজি চাল চেয়েছিলেন আর সেটা দিতে রাজি না হওয়াতে রাজনৈতিক প্রভাব কাজে লাগিয়ে সাসপেন্ড করা হয়েছে খাগড়াগেড়িয়া কৃষি সমবায় সমিতির রেশন ডিলারশিপ এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন ওই সমবায় সমিতিরই সম্পাদক তথা তৃণমূলেরই নেতা গুরুপদ মাইতি। শুধু মৌখিক অভিযোগ নয়, এমনই অভিযোগ তিনি করেছেন খাদ্য নিয়ামক দপ্তরকে দেওয়া শো-কজের জবাবে।

উল্লেখ্য রেশনে মানুষকে কম দ্রব্য দেওয়ার আভিযোগে সম্প্রতি খাগড়াগেড়িয়া কৃষি সমবায় সমিতির লাইসেন্স স্থগিত করে দিয়েছে খাদ্য নিয়ামক দপ্তর । মাইতি বলেন, ‘প্রথম দফার তদন্তে খুশিই ছিলেন স্থানীয় খাদ্য নিয়ামক দপ্তর কিন্তু প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্যই খোদ খাদ্য সচিবকে প্রভাবিত করে দ্বিতীয় দফায় কলকাতা থেকে তদন্ত করানো হয়। এ নিয়ে কিছুই বলার নেই কারন আমাদের মাননীয় মূখ্যমন্ত্রী সেই খাদ্য সচিবকেই অপসারিত করেছেন। বাকিটা আপনরা বুঝে নিন।”
খড়গপুর মহকুমা খাদ্য নিয়ামককে একটি শো-কজের জবাব দিতে গিয়ে মাইতি জানান, ” সবং পঞ্চায়েত সমিতির অফিসেই মৎস ও প্রানী কর্মাধ্যক্ষ আবু কালাম বক্স আমাকে বলেন, ” সাংসদ মানস ভূঁইয়া স্ত্রী বিধায়ক গীতা ভূঁইয়া লকডাউনের জন্য মানুষকে ত্রান বিতরন করবেন তাই ২০০কেজি চাল দিতে হবে। আমি দিতে পারবনা বলেছিলাম এটাই আমার অপরাধ।”

ওই চিঠিতেই মাইতি জানান, ‘আমি জীবন ভোর মমতা ব্যানার্জীর আদর্শ মেনেই কাজ করে আসছি। আমি আমার জীবন উৎসর্গ করেছি মমতা ব্যানার্জীর নীতি ও আদর্শকে বাস্তবায়িত করতে। কিন্তু আমি প্রভাবশালী নেতা নই। তাই এই অবস্থা করা হচ্ছে অথচ আমরা কোনও চুরি করিনি।” উল্লেখ্য মাইতি নিজেও সবং পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাচিত সদস্য।
এদিকে এই আভিযোগ সম্পূর্ন উড়িয়ে দিয়ে কর্মাধ্যক্ষ তথা সবং তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি আবু কালাম বক্স বলেছেন, ‘গুরুপদ মাইতির সঙ্গে আমার পারতপক্ষে কথাই হয়না তো চাল চাইব কী করে? উনি এখন রেশন দ্রব্য চুরি করে ধরা পড়ে আমার ওপর দোষ চাপাচ্ছেন।” সবং কর্মাধ্যক্ষ আরও জানান, ‘রেশন দোকানদারদের কাছ থেকে আমরা কোনও চাল নেইনি। সবং ও পিংলা মিলিয়ে আমাদের বিধায়ক ৭০কুইন্টল চাল ও ৩৫ কুইন্টল আলু ত্রান হিসাবে দিয়েছি। এটা আমাদের দলীয় ও ব্যক্তিগত তহবিল থেকে। আমি নিজে চার হাজার টাকা খরচ করেছি। আমরা আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি ত্রান কার্য বজায় রাখার ।

মাইতির আভিযোগ এই ত্রান দেওয়ার জন্য চাল কোথা থেকে যোগাড় করা হয়েছে তা সবংয়ের রেশন ডিলার ও চালের আড়তদাররা ভাল ভাবেই জানেন ।  আভিযোগ আর পাল্টা অভিযোগের মধ্যেই অবশ্য মূখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী আর খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের তৃনমূল নেতা কর্মীদের প্রতি হুঁশিয়ারি আবার স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যেখানে তাঁরা বারবার সাবধান করেছেন যে নেতা কর্মীরা যেন রেশন দোকান থেকে চাল নিয়ে ত্রান না দেন। এদিকে ওই সমিতির লাইসেন্স বর্তমানে না থাকায় পার্শ্ববর্তী ডিলারকে দিয়েই আপাতত খাদ্য সামগ্রী বন্টন করা হবে বলেই জানা গেছে। সে জন্য প্রক্রিয়া চালু করে দিয়েছেন খড়গপুর মহকুমা খাদ্য নিয়ামক।

RELATED ARTICLES

Most Popular