Homeএখন খবরজঙ্গলমহলে মদ্যপ যুবকের হাতে তির বিদ্ধ মা ও বৌদি! গ্রেপ্তার যুবক

জঙ্গলমহলে মদ্যপ যুবকের হাতে তির বিদ্ধ মা ও বৌদি! গ্রেপ্তার যুবক

নিজস্ব সংবাদদাতা: মদ খেয়ে মায়ের সঙ্গে বচসা ও মারধরের জেরে মা ও বৌদিকে তির বিদ্ধ করল এক যুবক। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনী থানার মেমুল গ্রামের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। তির বিদ্ধ অবস্থায় ওই দুই মহিলাকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনার পর দীর্ঘ অপারেশনের পর দুজনের দেহ থেকেই তির দুটি বের করতে সক্ষম হয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে শরীরের অত্যন্ত গভীরে শলাকা ঢুকে যাওয়ায় দুই মহিলাকেই নিবিড় পর্যবেক্ষনে রাখা হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। অন্যদিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই যুবককে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে অভিযুক্তের নাম রাম মুর্মু। শনিবার সকালে রাম মদ খেয়ে বাড়িতে ফিরে চিৎকার ও গালাগালি শুরু করে পরিবারের সদস্যদের। রামের মা লক্ষী মুর্মু তাকে চুপ করতে বলে কিন্তু তাতেও সে চুপ না করায় বকাবকি করে লক্ষী। এতেই ক্ষেপে গিয়ে মাকে বেধড়ক মারধর শুরু করে। লক্ষ্মীর চিৎকার শুনে ছুটে আসে বৌদি বাসন্তী মুর্মু ৷ তখন বাসন্তীর সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে ছেলে রাম।

জানা গেছে শাশুড়ি ও পুত্রবধূ মিলে রামকে বকাবকি শুরু করলে রাম হঠাৎই সে বাড়ির ভেতরে গিয়ে তির ধনুক বের করে আনে এবং ঘরের দরজা থেকেই মা ও বৌদিকে লক্ষ্য করে অতর্কিতে তির ছোঁড়ে বলে অভিযোগ। কিছু বুঝে ওঠার আগেই একটা তির ঢুকে যায় বৌদি বাসন্তির পেটে। বিপদ বুঝে পালাতে যায় লক্ষ্মী কিন্তু রেহাই পাননি তিনিও। রামের তির ছোঁড়া ঢুকে যায় লক্ষ্মীর শিরদাঁড়ায়। দুজনেই লুটিয়ে পড়েন মাটিতে।

প্রতিবেশীরা জানতে পেরে গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে প্রথমে শালবনী হাসপাতালে নিয়ে যান৷ সেখান থেকে তাঁদের মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তিরত করা হয়। সেখানেই কয়েক ঘন্টার অপারেশন শেষে তির গুলি বের করতে সক্ষম হন চিকিৎসকেরা। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যান শালবনী থানার পুলিশ আধিকারিক সহ কর্মীরা। গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্ত রাম মুর্মুকে।

স্থানীয় কিছু মানুষের বক্তব্য রাম মানসিক ভারসাম্যহীন। এমনটাই দাবি করেছেন রামের দিদি পানমনি মুর্মু। তিনি বলেন, “আমরা পুলিশকেও বলেছি যে ওর কিছুটা মাথার সমস্যা রয়েছে। মানসিক ভারসাম্যহীনতার কারণেই ও মা ও বৌদির সাথে তর্ক করার সময় এই কান্ড ঘটিয়েছে। ” পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। প্রশ্ন উঠেছে রাম যদি মানসিক ভারসাম্যহীন হয় তবে তাকে মদ খাওয়ার টাকা যোগালো কে? আর যে বাড়িতে এমন ভয়ংকর প্রবণতা সম্পন্ন মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি থাকে সেই বাড়িতে তাঁর হাতের নাগালে এই অস্ত্র রাখা হয় কেন?

RELATED ARTICLES

Most Popular