Homeআবহাওয়াইয়াসের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলার একাধিক জেলা; শুক্রবার আকাশপথে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত জায়গাগুলি পরিদর্শন...

ইয়াসের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলার একাধিক জেলা; শুক্রবার আকাশপথে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত জায়গাগুলি পরিদর্শন করবেন মুখ্যমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক: করোনার মাঝেই রাজ্যে আছড়ে পড়লো ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড বাংলার একাধিক জেলা। এর মধ্যে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগণা ও উত্তর ২৪ পরগণা। এই জেলা গুলিতে ঝড়ের প্রভাব পড়েছে ভয়াবহ। এই ক্ষতিগ্রস্থ জায়গাগুলি আকাশপথে পরিদর্শনে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার তিনি সাগর, হিঙ্গলগঞ্জ, দিঘা পরিদর্শন করবেন। এছাড়াও সেখানে প্রশাসনিক বৈঠকও করবেন তিনি।

এদিন নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, শুক্রবার আকাশপথে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে থাকবেন খোদ মুখ্যসচিব।এছাড়াও থাকবে রাজ্য প্রশাসনের একটি দল। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান যে, শুক্রবার প্রথমে সাগর পরিদর্শন করবেন মুখ্যমন্ত্রী ও তার দল। আকাশপথে সমগ্র এলাকা পরিদর্শনের পর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণার পরিস্থিতি দেখা হবে। আকাশপথে খতিয়ে দেখা হবে সুন্দরবন এলাকার পরিস্থিতি।

এরপর সেখান থেকে সাগরে গিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক সারবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাগরে বৈঠকের শেষে মুখ্যমন্ত্রী ও দল উড়ে যাবে দিঘার উদ্দেশ্যে। সেখানে দিঘার আসে পাশের জায়গা শ কাঁথি, রামনগর, নন্দীগ্রাম, দেশপ্রাণ সহ অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত জায়গা পরিদর্শন করা হবে। এরপর পূর্ব মেদিনীপুরে হওয়া ইয়াসের জেরে ধ্বংসের সম্পূর্ণ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি দিঘাতেও প্রশাসনিক বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

উল্লেখ্য, ইয়াসের গতিবিধি ও তাণ্ডবলীলা নিয়ে এদিন নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের উপকূলের জেলাগুলির বাসিন্দাদের সতর্ক করে বলেন, ‘অনেক গ্রামে জল ঢুকে গেছে। রাত ৮.৪৫ পর্যন্ত জোয়ার চলবে। তারপর ক্রমশ নামবে জলস্তর। ১৩৪টি বাঁধ ভেঙে গেছে। ৫ ফুট অর্থাৎ মানুষ সমান উঁচু ঢেউ উঠেছে।‘

এছাড়াও তিনি বলেন যে, ‘জোয়ারের জল ঢুকে যাতে ক্ষতি না হয় দেখতে হবে। রাতে আরও বেশি জল ঢুকবে। প্রয়োজনে ক্লাব, স্কুলে মানুষদের নিয়ে আসতে হবে। ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেওয়া মানুষজন যাতে সমস্যায় না থাকে তার ব্যবস্থা করতে হবে।খুব সতর্ক থাকতে হবে আজ রাতে। কলকাতার যেসব জায়গায় জল উঠেছে, সেখানকার মানুষকে সতর্ক থাকতে হবে। প্রয়োজনে পুলিশকেও প্রচার চালাতে হবে। কেন্দ্র ও রাজ্যের এজেন্সি একসঙ্গে কাজ করেছে বলেও জানান তিনি।এখনই কেউ ত্রাণ শিবির ছেড়ে বাড়ি ফিরবেন না। মানুষকে যতটা সম্ভব সাহায্য করা হবে।‘

প্রসঙ্গত, বুধবার সকালে সাড়ে ৯ টা নাগাদ বালেশ্বরে আছড়ে পড়ে পড়ে ইয়াস। তারপর থেকেই ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে দাপট দেখিয়ে চলেছে সে। এদিকে এই ইয়াসের প্রভাবে বাঙালির প্রিয় ভ্রমণ স্থল দিঘা কার্যত লন্ডভন্ড। সমদ্র উত্তাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাঁধ ভেঙেছে নদীগুলিও।

RELATED ARTICLES

Most Popular