Homeএখন খবরহাত গুটিয়ে পুলিশ, 'ইয়ে লো আজাদি' বলেই পড়ুয়াদের মিছিলে গুলি চালাল...

হাত গুটিয়ে পুলিশ, ‘ইয়ে লো আজাদি’ বলেই পড়ুয়াদের মিছিলে গুলি চালাল রামভক্ত তরুন

নিজস্ব সংবাদদাতা: সামনে দাঁড়িয়ে ১০০পুলিশ, সামনের দিকে এগিয়ে আসছে মিছিল আর পুলিশের সামনেই দাঁড়িয়ে  মিছিলকে লক্ষ্য করে ‘ ইয়ে লো আজাদি’ বলে গুলি চালিয়ে দিল ১৯বছরের এক তরুন। বৃহস্পতিবার, গান্ধী হত্যার দিনটিকেই দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা বেছে নিয়েছিলেন  সিএএ বিরোধী মিছিলের জন্য। আর সেই ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিয়ে আন্দোলনকারীদের উদ্দ্যেশে গুলি চালালেন নিজেকে রামভক্ত গোপাল বলে দাবি করা ওই তরুন । আর তাঁকে বাধা দেওয়া তো দূর, বরং চোখের সামনে সব কিছু দেখেও কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করল দিল্লি পুলিশ, সেই দিল্লি পুলিশ যাদের কিছুদিন আগেই দেখা গিয়েছিল জামিয়া মিলিয়ার ক্যাম্পাসে ঢুকে আন্দোলনরত পড়ুয়াদের ওপর বেপরোয়া লাঠি চালাতে।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এদিন মহাত্মা গান্ধীর ৭২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে সিএএ বিরোধী মিছিল নিয়ে রাজঘাট অর্থাৎ গান্ধীজীর সমাধিস্থলের দিকে এগোচ্ছিল জামিয়া পড়ুয়া এবং সাধারণ মানুষের একটি দল।  আগে থেকেই ওই এলাকায় বিশাল পুলিশ মোতায়েন ছিল। মিছিল আটকাতে হোলি ফ্যামিলি হাসপাতালের সামনে বসানো হয়েছিল ব্যারিকেডও। এগোতে না পেরে ব্যারিকেডের সামনেই রাস্তায় বসে পড়েন আন্দোলনকারীরা। সেইসময়ই তাঁদের উপর চড়াও হন গোপাল নামের ওই যুবক। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, পিস্তল উঁচিয়ে আন্দোলনকারীদের শাসান তিনি। বলেন, ‘‘কিসকো আজাদি চাহিয়ে? ম্যায় দুঙ্গা আজাদি। ইয়ে লো আজাদি।’’তার পরেই ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিয়ে আন্দোলনকারীদের দিকে গুলি ছোড়েন।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
অভিযুক্তের ছোড়া গুলিতে শাদাব ফারুখ নামের জামিয়ার এক পড়ুয়া আহত হয়েছেন। তাঁর হাতে গুলি লাগে। তিনি আদতে জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। হামলার পর প্রথমে হোলি ফ্যামিলি হাসপাতালেই নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। পরে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স (এমস)-এর ট্রমা সেন্টারে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লির ডিসিপি চিন্ময় বিসওয়াল বলেন, ‘‘শাদাবের বাঁ হাতে গুলি লেগেছে। চিকিৎসকের জানিয়েছেন, উনি বিপন্মুক্ত। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’’

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
মজার বিষয় হল গুলি ছোঁড়ার পরেও পুলিশকে তৎপর হতে দেখা যায়নি ওই তরুনকে ধরতে। পড়ুয়ারাই তাকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। দুপুরের এই ঘটনার খবর আগুনের মত ছড়িয়ে পড়ে দেশ জুড়ে। দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে শুর হয়ে যায় প্রতিবাদ মিছিল। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির পক্ষ থেকে দাবি করা হয় বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে বিবৃতি দিতে হবে। যদিও রাত অবধি এ বিষয়ে নরেন্দ্র মোদী কিছু বলেননি। এরপর সম্ভবত দেশ জুড়ে সমালোচনার মুখে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, কোনও মতেই ছাড় দেওয়া হবেনা। কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদিও শাহর এই মন্তব্যের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।

RELATED ARTICLES

Most Popular