ওয়েব ডেস্ক : করোনাযুদ্ধে পরাজিত হয়ে প্রয়াত বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা তথা প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী শ্যামল চক্রবর্তী। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর৷ গত কয়েকদিন আগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। বৃহস্পতিবার সেখানেই শেষ হল তাঁর জীবনযুদ্ধ। বৃহস্পতিবার দুপুরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন শ্যামল চক্রবর্তী। এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদের মৃত্যুতে রাজনৈতিক মহলে শোকস্তব্ধ রাজনৈতিক মহল।
জুলাই মাসের শেষের দিকে জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন শ্যামলবাবু। এমনকি প্রস্রাবও অনিয়মিত হচ্ছিল। যেহেতু তিনি সিওপিডিতে আক্রান্ত ফলে পরিবারের তরফে প্রথমে মনে করা হচ্ছিল সিওপিডি থাকার কারণেই তাঁর শ্বাসকষ্টের সমস্যা হচ্ছে৷ কিন্তু ক্রমশ শ্বাসকষ্ট বাড়তে থাকলে দেরি না করে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে উল্টোডাঙার একটি বেসরকারি হাসপাতালে সিপিএমের প্রবীণ নেতা শ্যামল চক্রবর্তীকে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে তাঁর নিউমোনিয়া ধরা পড়ে। এর পর তাঁর করোনা টেস্টও করা হয়। জানা যায়, প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী তথা সিটু নেতা শ্যামল চক্রবর্তীর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
এরপর তাঁকে বাসপাসের ধারে পিয়ারলেস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল তাঁর। গত দুদিন আগেই অসুস্থ বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা শ্যামল চক্রবর্তীর খোঁজ নিতে মেয়ে ঊষসী চক্রবর্তীকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কেমন রয়েছেন শ্যামলবাবু, সে বিষয়ে খোঁজখবরও নেন তিনি। এবিষয়ে নিজের ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর সৌজন্যের কথা জানিয়ে তাঁকে ধন্যবাদও দেন শ্যামল চক্রবর্তীর কন্যা অভিনেত্রী উষসী। কিন্তু গত কয়েকদিন যাবত সুস্থ থাকার পর ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন শ্যামলবাবু। অবশেষে করোনার মতো মারণ ভাইরাসের হাতেই মৃত্যু হল বর্ষীয়ান রাজনীতিকের। শ্যামলবাবুর মৃত্যুর খবর শোনা মাত্রই শোকস্তব্ধ বাংলার রাজনৈতিক মহল।