Homeআবহাওয়াএক ঘন্টার কালবৈশাখীর দাপটে বিধ্বস্ত শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি, বিপর্যস্ত জনজীবন 

এক ঘন্টার কালবৈশাখীর দাপটে বিধ্বস্ত শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি, বিপর্যস্ত জনজীবন 

নিউজ ডেস্ক: এক ঘন্টার কালবৈশাখীর দাপটে বিধ্বস্ত শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি; ব্যাপক ক্ষতির মুখে জেলাবাসীরা। বুধবার গভীর রাতে শিলাবৃষ্টি হয় শহরে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই গুমোট ভাব দেখা যায় আবহাওয়ায়। এদিন সকাল ১০টা ১৫ মিনিট নাগাদ শিলিগুড়িতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ প্রবল ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়। প্রায় ১২০কিলোমিটার বেগে শহরের উপর দিয়ে যায় কালবৈশাখী। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলে ঝড়ের দাপট। ঝড়ের আগে ঘন কালো মেঘে ঢেকে গিয়েছিল চারদিক। সেসময় চারদিকে এতোটাই অন্ধকার ছিল যে সকাল বলে বুঝে ওঠাই দায় হয়ে পড়েছিল। অফিসের সময় বলে অনেকেই তখন বাড়ির বাইরে ছিলেন। সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়েন তারা।

শিলিগুড়ির কলেজপাড়া, সেবক রোড, বর্ধমান রোড,প্রধাননগর সহ বেশ কিছু এলাকায় ঝড়ের দাপটে গাছ ভেঙে পড়েছে। বেশকিছু এলাকায় তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। পুরকর্মী ও বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা সেখানে পৌছে কাজ শুরু করেছেন। শহরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাওয়ার রাস্তা পরিস্কারের কাজে জুড়ে যান। তড়িঘড়ি গাছ কেটে রাস্তা পরিস্কারের কাজে নামে বিপর্যয় মোকাবিলা টিম।শিলিগুড়ি প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডের অলিগলিতে গাছ ভেঙ্গে পড়ায় সাফাই কর্মীদের নিয়ে গাছ কেটতে দেখা যায় কো অডিনেটরদের।

এদিকে জলপাইগুড়িতেও একই দৃশ্য; বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে এগারোটা নাগাদ ময়নাগুড়ি ব্লকে কালবৈশাখী ঝড়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে ময়নাগুড়ি সহ বিভিন্ন এলাকা। সেইসঙ্গে বিদ্যুৎ পড়া ঝলকানি , দিশেহারা হয়ে পড়েন এলাকার মানুষজন। প্রচুর বৃষ্টিপাতে রাস্তা ঘাটে জল জমে যায়। জলপাইগুড়ি শহরের আদর পাড়া এলাকায় বহু বাদুর মরে পরে রয়েছে বলে খবর মেলে। পান্ডা পাড়া, বৌবাজার সহ শহর ও শহর সংলগ্ন বেশ কিছু এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। রাস্তায় গাছ পড়ে সদর ব্লকের জলপাইগুড়ি-হলদিবাড়ি রোড, তরুলপাড়া ধাপগনজে রাস্তা আটকে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। তেলিপাড়া মাঝাবাড়িতে ঝড়ে প্রচুর গাছ উল্টে পড়ে যায়, ক্ষতিগ্রস্থ হয় তিনটি বাড়ি। এরই পাশাপাশি জলপাইগুড়ির বিভিন্ন জায়গায় ঝড়ে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়।

বুধবার রাতে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবারও রাজ্যের একাধিক জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া দপ্তর। সেই পূর্বাভাস মিলে গেল। এদিকে, বৃষ্টির ফলে কিছুটা নেমেছে তাপমাত্রার পারদ। ভ্যাপসা গরম থেকে রেহাই পেয়েছেন শহরবাসী।

RELATED ARTICLES

Most Popular